শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জনবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারের সফলতা আসবে

নতুন সরকারের তালিকায় যারা মন্ত্রী হিসেবে আছেন এবং যারা বাদ পড়েছেন তাতে মনে হয় সরকার সাধারণ জনগণের মন জয় করে উন্নয়ন এগিয়ে যাবেন। জনগণের মুখে হাসি ফুটাতে হলে দরকার জনবান্ধব সরকার। নিবার্চনপরবতীর্ এ সরকারে জনকল্যাণে মনোযোগী হবেন। সামাজিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন, রাজনৈতিক অসংবেদনশীলতা ও অস্বস্তির অবসান ঘটাবেন।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন সুসম্পন্ন হয়েছে। নিবার্চনী ইশতেহারে গণতন্ত্রসহ জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন হবে এটাই জনগণ প্রত্যাশা করে। বিগত নিবার্চনে সব রাজনৈতিক দল থেকেই দলীয় আদশের্র ভিত্তিতে ইশতেহার প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সময় ও যুগের দাবি পূরণে কে কতটা সক্ষমতা অজর্ন করেছে তা সময়েই বলে দেবে। তবে আওয়ামী লীগের নিবার্চনী ইশতেহার অনেকের বিবেচনায়ই একটি সুলিখিত, সুবিন্যস্ত, সুগঠিত ইশতেহার বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।

সব রাজনৈতিক দল কি তাদের নিবার্চনী ইশতেহারে খুবই স্পষ্টভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদশের্র কথা বলেছে তা বিচাযর্ বিষয়। এই দেশে রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের কথা বলে রাজাকার কমান্ডারদের একবার ক্ষমতায় আসতে দেখে আমি মুক্তিযুদ্ধের আদশর্ কথাটির ব্যাপারে অনেক স্পশর্কাতর হয়ে গেছি। রাজনৈতিক দলগুলো মুখ থেকে এই কথাটি খুব স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হতে না শুনলে আমি স্বস্তি অনুভব করি না। একাত্তর সালে আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি যারা রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার তারাই একদিন এই দেশের মন্ত্রী হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে আর কখনো যেন এরকম কিছু ঘটতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।

মুক্তিযুদ্ধের আদশের্ দেশ গড়ে তোলা হবে বলা হলে আসলে অনেক কিছু বলা হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বুঝে যাই, আমরা সব ধমর্, সব বণর্ ও সমাজের সব স্তরের মানুষকে নিয়ে একটা আধুনিক দেশ গড়ে তোলার কথা বলছি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বুঝে যাই, আমরা একটা অসা¤প্রদায়িক দেশের কথা বলছি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলছি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছি। সে জন্য এই তালিকার প্রথম বিষয়টি সব সময়েই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের আদশর্। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায় কোনোটি জিজ্ঞেস করা হলে অনেকগুলো ঘটনার কথা উঠে আসবে, যার একটি হচ্ছে ১৯৭৫ থেকে শুরু করে ১৯৯৬ পযর্ন্ত বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিবার্সন দেয়া। ১৯৭৫ সালে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়ে গেছে, কিন্তু তার স্মৃতিটুকুও যেন এই দেশে না থাকে তার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে। রেডিও টেলিভিশনে তার নাম পযর্ন্ত উচ্চারিত হয়নি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বড় হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কথা না জেনে। অথচ এই মানুষটি এবং বাংলাদেশ আসলে সমাথর্ক। আমাদের অনেক বড় সৌভাগ্য যে, বঙ্গবন্ধু এই দেশের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন; যদি তার জন্ম না হতো আমরা সম্ভবত বাংলাদেশটিকে পেতাম না। বেঁচে থাকতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন, কিন্তু এখন তিনি আর কোনো একটি রাজনৈতিক দলের নেতা নন। তিনি বাংলাদেশের স্থপতি, সারা বাংলাদেশের সব মানুষের নেতা।

কাজেই আমরা চাই, এই দেশের রাজনৈতিক দল তাদের নিবার্চনী ইশতেহারে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্বীকার করবে। অকৃতজ্ঞ মানুষকে আমরা ঘেন্না করি, তার থেকে শত হাত দূরে থাকতে হবে। ঠিক একই কারণে অকৃতজ্ঞ রাজনৈতিক দলের জন্য সেটা অন্যরকম হবে কেন? তাদের কাছে অন্যরা কে কী আশা করে আমরা জানি না। আমরা অকৃতজ্ঞ রাজনৈতিক দলের কাছে কিছুই আশা করতে পারি না। বাংলাদেশ গত ১০ বছরে অনেক অগ্রসর হয়েছে। সংখ্যা দিয়ে বিচার করতে চাইলে বলা যায় জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ, মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ১৭৫২ ডলার, দারিদ্র্য হার কমে হয়েছে ২২ শতাংশ এবং ওয়াল্ডর্ ব্যাংককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৈরি করা পদ্মা ব্রিজের কাজ শেষ হয়ে গেছে ৬০ শতাংশ। বিদেশি পত্রপত্রিকাগুলো বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতা দেখানোর জন্য খুবই ব্যস্ত তারা। প্রায় সময়েই স্যোশাল নেটওয়াকের্র রগরগে চটুল তথ্য দিয়ে হেডলাইন করে থাকে। সে রকম একটি সাপ্তাহিকী দ্য ইকোনমিস্ট পযর্ন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে, বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অবশ্যই দেশের উন্নয়ন দেখে আমরা সবাই খুশি। আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে, চাইলেই আমরা অনেক দ্রæত দেশকে উন্নত করে ফেলতে পারব।

কিন্তু আমাদের সমস্ত আনন্দ এবং উৎসাহ মাঝে মাঝেই ছোট একটা সা¤প্রদায়িক ঘটনা দেখে পুরোপরি ¤øান হয়ে যায়। যত সময় যাবে আমাদের হৃদয়ের প্রসারতা তত বাড়ার কথা, আমাদের তত উদার হওয়ার কথা। কিন্তু যখন দেখি সা¤প্রদায়িক মানসিকতা কমেনি বরং বেড়েছে তখন আমরা খুবই অসহায় বোধ করি। আমরা সব সময়েই বলে এসেছি একটা দেশ ভালো চলছে, না খারাপ চলছে সেটি জানার জন্য বড় বড় গবেষণা করতে হয় না, সেমিনার কিংবা গোলটেবিল বৈঠক করতে হয় না, দেশের একজন গরিব, প্রান্তিক কৃষক ও শ্রমিককে জিজ্ঞেস করতে হয়। সে যদি বলে দেশটি ভালো চলছে তাহলে বুঝতে হবে দেশটি আসলেই ভালো চলছে। যদি সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে একটি দীঘর্শ্বাস ফেলে তাহলে বুঝতে হবে দেশটি ভালো চলছে না। এই দেশে এখনো মানুষে মানুষে বিভাজন রয়ে গেছে।

নিবার্চনী ইশতেহারে ঘোষণা অনুযায়ী দেশের সব মানুষের ভেতর থেকে সংকীণর্ সা¤প্রদায়িকতার মানসিকতা দূর করে সবাইকে নিয়ে আধুনিক একটা বাংলাদেশ তৈরি করা হবে। রাষ্ট্র ইচ্ছে করলে নারীদের এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে। যেখানে মেয়েরা কাজ করে সেখানে চমৎকার ডে কেয়ার গড়ে তুলতে পারে। সেটি গামের্ন্টস ফ্যাক্টরিই হোক আর বিশ্ববিদ্যালয়ই হোক। যদি মায়েরা জানে, তার শিশু সন্তানের দায়িত্ব নেয়ার একটা জায়গা আছে; তাহলে তাদের জীবনটাই অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। দেশের অথর্নীতির চালিকা শক্তি এখনো এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের শরীরের ঘাম। তাদের পাশে যদি মেধা নিয়ে নতুন প্রজন্ম দঁাড়াতে শুরু করে তাহলেই আমরা জ্ঞানভিত্তিক দেশের স্বপ্নে পা দিতে শুরু করব। আমরা রাজনৈতিক দলুগলোর কাছে আশা করতেই পারি তারা আমাদের দেশকে জ্ঞানভিত্তিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখাবে।

এবারের নিবার্চনে আওয়ামী লীগের আকাশছেঁায়া সাফল্যের পেছনে আরেকটি ইস্যু কাজ করেছেÑ তরুণ ভোটারদের সমথর্ন। স্বাভাবিক কারণেই এসব তরুণ ভোটার মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তাদের জানা ছিল না। এমনকি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে তারা রাষ্ট্রীয় পদে অধিষ্ঠিত হতে দেখেছে। তাদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করতেও ছাড়েনি ওই জোট। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের গত কয়েক বছরের শাসনামলে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্ম অনেকটাই জানতে সক্ষম হয়েছে। আজ তারা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অজির্ত স্বাধীনতার সম্মান জানাতে এবং অশুভ শক্তির হাত থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষার দায়িত্ব নিতে শিখেছে। তারা দেশের জন্য কারা ভালো, আর কারা ভয়ঙ্করÑ তা বুঝতে পেরেছে। এবারের নিবার্চনে তরুণ প্রজন্মের সেই উপলব্ধিরই প্রকাশ ঘটেছে। নিদ্বির্ধায় বলা যায় যে, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে তাদের সুস্পষ্ট অবস্থান নিবার্চনে প্রতিফলিত হয়েছে। ভবিষ্যতে তরুণরা যেন আর কখনো বিভ্রান্ত না হয় বা অশুভ শক্তির কবলে না পড়ে, সে জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চলমান রাখতে হবে।

নিবার্চনী ইশতেহারে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, কাযর্কর সংসদ এবং সংবিধান অনুসরণে দেশ পরিচালনা; আইনের শাসন এবং মানবাধিকার সংরক্ষণ; দক্ষ, জবাবদিহি, দুনীির্তমুক্ত ও জনমুখী শাসন ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সরকার ও জনক্ষমতায়ন শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছে। আসলে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী ও উন্নত করতে হলে এসব মৌলিক বিষয়কে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের দেশে নাগরিকবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৈরি করা একটি অত্যন্ত কঠিন কাজ, তবে শুরু করতে হবে। খুবই গুরুত্বপূণর্ ইস্যুগুলোর মধ্যে দুনীির্ত দমন অন্যতম। সমাজ থেকে দুনীির্ত সমূলে উৎপাটন করা সহজ হবে না। হয়তো একটা সহনীয় পযাের্য় নিয়ে আসা সম্ভব হতে পারে। তবে স্বীকার করতেই হবে যে, দুনীির্তবিরোধী কঠোর আইন করলেই হবে না, শক্ত হাতে তা প্রয়োগ করতে হবে। বিন্দুমাত্র ছাড় না দিয়ে সন্ত্রাস, সা¤প্রদায়িক সংঘাত এবং মাদক নিমূর্ল করার পদক্ষেপ নিতে হবে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন ও আয়- বৈষম্য হ্রাস করার জন্য যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। কারণ জনগণের অথৈর্নতিক উন্নয়ন না হলে দেশের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়। দেশের কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য যেমন চলমান বৃহৎ প্রকল্পগুলো সমাপ্ত করতে হবে, তেমনি আরো নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নাগরিক সুবিধা প্রদানের ইস্যুটি একটি সময়োপযোগী ও অত্যন্ত প্রশংসনীয় অঙ্গীকার। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি নিভর্র করে আমাদের তরুণ প্রজন্মের ওপর। যুব উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রদান, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কমর্সংস্থানের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে যুব স¤প্রদায়ের অফুরন্ত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন গতিকে বেগবান করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়াটি চলমান থাকলেও এর ফলপ্রসূ বিস্তৃতি ঘটানো প্রয়োজন। ইশতেহারে কৃষি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিল্প, শ্রমিকদের কল্যাণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, যোগাযোগ, পরিবেশ, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, শিশু ও বয়স্কদেরসহ মুক্তিযোদ্ধা এবং শারীরিক অক্ষমদের কল্যাণ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক কমর্যজ্ঞের প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইশতেহারে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো (এসডিজি) অজের্নর এবং ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ এর ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়েছে।

আমরা জানি, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সরকার বিগত ১০ বছরে নিবার্চনী ইশতেহারের অনেক দফার বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছেÑ যা চলমান রয়েছে। এবার অনেক নতুন বিষয়ের প্রতিশ্রæতিও ইশতেহারে অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, নতুন সরকার নিবার্চনী ওয়াদা পূরণের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কৌশল গ্রহণ করবে। তবে যেসব বিষয় নিবার্চনী ইশতেহারে অন্তভুর্ক্ত করা হয়নি, কিন্তু সেগুলো দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণের জন্য গুরুত্বপূণর্, সেগুলোর দিকেও সমান দৃষ্টি প্রদানের প্রয়োজন রয়েছে।

নতুন সরকারের যাত্রার প্রারম্ভেই যদি নিবার্চনী ইশতেহার থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জন্য প্রযোজ্য অঙ্গীকারগুলোর একটি তালিকা তৈরিপূবর্ক বাস্তবায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তাহলে নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যেই লক্ষ্য অজর্ন করা সম্ভব হতে পারে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তার কাজের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পযের্বক্ষণের জন্য একটি চেক লিস্ট রাখবে, যাতে সব কমর্কাÐই প্রধানমন্ত্রী মনিটরিং করতে পারেন। প্রয়োজনে এ বিষয়ে একটি টিম গঠন করা যেতে পারে, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে যাবতীয় পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন কৌশল নিধার্রণ করবে। ওই টিমকে সহায়তা করার জন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। সরকার যদি নিবার্চনী অঙ্গীকার পূরণে আন্তরিক হয়, তাহলে জনগণের প্রত্যাশা সহজেই পূরণ করা সম্ভব হবে। ফলে আগামী পঁাচ বছর পর যখন আবার ভোটারদের কাছে রাজনৈতিক নেতারা যাবেন, তখন নিবার্চনী অঙ্গীকার পূরণের সুফল বাতাির্টই হবে মুখ্য হাতিয়ার।

নতুন সরকারের তালিকায় যারা মন্ত্রী হিসেবে আছেন এবং যারা বাদ পড়েছেন তাতে মনে হয় সরকার সাধারণ জনগণের মন জয় করে উন্নয়ন এগিয়ে যাবেন। জনগণের মুখে হাসি ফুটাতে হলে দরকার জনবান্ধব সরকার। নিবার্চনপরবতীর্ এ সরকারে জনকল্যাণে মনোযোগী হবেন। সামাজিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন, রাজনৈতিক অসংবেদনশীলতা ও অস্বস্তির অবসান ঘটাবেন।

দুনীির্তর অসুস্থ প্রতিযোগিতাকে পেছনে ফেলে রেখে সম্মুখপানে এগিয়ে যাবেন। সুশাসন ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে জনগণের দুভোর্গ প্রশমনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং তার আশু বাস্তবায়ন করে ইশতেহারে ঘোষিত অঙ্গীকার পূরণ করে জনগণের সামগ্রিক কল্যাণে নিবেদিত হলেই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। সরকার হবে নন্দিত ও বরণীয়।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ: কলামিস্ট ও গবেষক

ভড়ৎয়ধহ.রহভড়@মসধরষ.পড়স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<32728 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1