শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও সম্মানিত সংসদ সদস্য আফজালকে আমার মুগ্ধতার শ্রদ্ধাঞ্জলি

নতুনধারা
  ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

বিশেষ কোনো ব্যক্তির প্রতি বিশেষ বা অতি মুগ্ধতা অনেক সময় নিজের আত্মস্থ জ্ঞান, আদশর্ ও ব্যক্তিত্বের গভীরতা অনেক খানি হালকা করে দেয়। পরে নিজের কাছে নিজেকেই বিব্রত ও লজ্জিত বোধ করতে হয়। নিজের কাছে যেমন অস্বস্তিতে পড়তে হয় তেমনি আমরা নিজেরাই অস্বস্তিতে ফেলে দিই সেই মানুষটাকে যাকে দেখার জন্য বা সান্নিধ্যে আসার জন্য দিনের পর দিন অজির্ত শিক্ষাগুলো থেকে নিজেকে প্রতিনিয়ত তৈরি করার চেষ্টা করি। অতি মুগ্ধতায় যা প্রকাশে ব্যথর্ হই বা নাভার্স হয়ে যা জানি তার উল্টোটা প্রকাশ করি। তাই নয় কি? এ বিষয়ক একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই যা একই সঙ্গে মজার, তিক্ত এবং শিক্ষণীয়। বঙ্গভবন, তার উপর আমার ও আমাদের সবার প্রিয় ব্যক্তিত্ব মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি। সঙ্গে আছেন আমার হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বুদ্ধিদীপ্ত ও ভারী ব্যক্তিত্ব কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সম্মানিত সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন। মূলত তার মাধ্যমেই মহামান্য রাষ্ট্রপতির সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।

আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিতুর রহমান ও সম্মানিত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এই দুজনই আমার আদশর্। কিংবা পরম শ্রদ্ধাভাজন। আমি মহামান্যর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছায়া দেখতে পাই। মোহবিষ্ট হয়ে যাই। তিনি যখন বলেন তখন এমনভাবে শুনি যেন চারপাশে আর কিছু দেখি না। তার সাধারণত্বের মধ্যে অসাধারণত্ব খুঁজে পাই। তাই মহামান্যর সামনে বসে মন্ত্রমুগ্ধের মতো কথা শুনছিলাম। কোনো এক প্রয়োজনে আমাকে ঊীঢ়বপঃধঃরড়হ লিখতে হলো। কিন্তু পিএইচডি ডিগ্রিধারী হয়েও আমি বানানটা ভুল লিখে ফেলি, যা তার বিচক্ষণ চোখের দৃষ্টি এড়ায়নি। তিনি বললেনÑ “কী লিখছ। আমি বললাম স্যার ঊীঢ়বপঃধঃরড়হ লিখেছি। আমি বললাম স্যার ঊীঢ়বপঃধঃরড়হ লিখেছি সঙ্গে শুদ্ধ উচ্চারণটা বানানও করলাম। তিনি বললেন “ভালো করে দেখ তাড়াহুড়া করো আমি দেখলামÑ সত্যিই ভুল হয়েছে। লিখেছি ঊীঢ়বপঃধঃরড়হ লজ্জায় মনে হলো আরও ভুলে গেলাম তিনি আমাকে ঠিক করতে বললেন আমি তখনও ভুল করেছি ঊীঢ়বপঃধঃরড়হ-এর পরে ঊীঢ়বপঃধঃরড়হ তো দিয়েছি ঊীঢ়বপঃধঃরড়হ দিইনি। প এর পরে ধ দিয়েছি : দিইনি। মুখে বলছি শুদ্ধ লিখছি ভুল। অতি মুগ্ধতা ও লজ্জা দুটো বিষয় আমাকে ওই সময়টায় মেধাশূন্য করে দিয়েছিল। যদিও বিনয় ও বিশেষ কোনো ব্যক্তির প্রতি বিশেষ বা অতি মুগ্ধতা অনেক সময় নিজের আত্মস্থ জ্ঞান, আদশর্ ও ব্যক্তিত্বের গভীরতা অনেক খানি হালকা করে দেয়। পরে নিজের কাছে নিজেকেই বিব্রত ও লজ্জিত বোধ করতে হয়। নিজের কাছে যেমন অস্বস্তিতে পড়তে হয় তেমন আমরা নিজেরাই অস্বস্তিতে ফেলে দিই সেই মানুষটিকে যাকে দেখার জন্য বা সান্নিধ্যে আসার জন্য দিনের পর দিন অজির্ত শিক্ষাগুলো থেকে নিজেকে প্রতিনিয়ত তৈরি করার চেষ্টা করি। অতি মুগ্ধতায় যা প্রকাশে ব্যথর্ হই বা নাভার্স হয়ে যা জানি তার উল্টোটা প্রকাশ করি। তাই নয় কি? এ বিষয়ক একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই যা একই সঙ্গে মজার, তিক্ত এবং শিক্ষণীয়। বঙ্গভবন, তার উপর আমার ও আমাদের সবার প্রিয় ব্যক্তিত্ব মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি। সঙ্গে আছেন আমার হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বুদ্ধিদীপ্ত ও ভারী ব্যক্তিত্ব কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সম্মানিত সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন। মূলত তার মাধ্যমেই মহামান্য রাষ্ট্রপতির সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।

ভালোবাসার মানসপুত্র আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান আমাকে লজ্জা দেননি। নিজ গুণ, মেধা ও অভিজ্ঞতা আমার মানসিক অবস্থাটা বুঝেছেন। আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব সম্মানীত সংসদ মো. আফজাল হোসেন বিষয়টিকে হালকা করে আমাকে সহজ করার জন্য চেষ্টা ক রলেন পরোক্ষভাবে গুণী মানুষের বিচক্ষণতার পরিচয় তাদের কাজের মধ্যেই পাওয়া যায়। এ অনুভ‚তি কখনো মজার মনে হয়। কখনো লজ্জার। এ অভিজ্ঞতা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি বুদ্ধিদীপ্ত প্রকাশই নিজের মানদÐ তৈরি করে। মুগ্ধতা সৃষ্টি করে গ্রহণযোগ্যতা। তবুও বলতে চাই আবেগ মানুষের সহজাত একটি বৈশিষ্ট্য। অতিমুগ্ধ তবে অতিমুগ্ধতা আবেগী ও সহজ মানসিকতার একটি অন্যতম দিক। কিছু শ্রদ্ধা, কিছু আবেগ ও কিছু ভালোবাসা সবসময়ই এ দুজন মানুষকে এভাবেই ভালোবাসতে চাই আজীবন। ঈশ^র তাদের দীঘর্জীবী করুন। আমিন।

ড. সানজিদা ইসলাম

গবেষক ও সহকারী রেজিস্ট্রার

শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<32571 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1