শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির যে মতবিরোধ বা বৈরিতা রয়েছে তা যতটা রাজনৈতিক তার চেয়ে আদশের্র বিষয়টিই প্রধান। কেননা আওয়ামী লীগ-বিএনপির দলীয় নীতি-আদশের্র মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ একটি সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। যার বয়স বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেয়েও বেশি। অন্যদিকে বিএনপিও একটি রাজনৈতিক দল। তবে এ দুটি দলের জন্ম ও উত্থান এক নয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং আমরা স্বাধীনতা অজর্ন করি। তবুও দেশের রাজনীতিতে এ দুটি দলই পালাক্রমে ক্ষমতায় এসেছে। ৭১ সালে বাঙালি জাতি জেগে উঠেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে। তারা অস্ত্র ধরেছিল পশ্চিম পাকিস্তানের দীঘর্ ২৪ বছরের শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে। ৭১ সালে বাঙালি জাতি সারা বিশ্বে প্রমাণ করেছে তারা ভীরু বা কাপুরুষ নয়, প্রতিবাদী সাহসী। তাই তারা রক্ত দিয়ে নিজ মাতৃভ‚মিকে পরাধীনতার নাগপাশ থেকে স্বাধীন করেছে, তাই আজ আমরা স্বাধীন। গোটা বিশ্বে আমাদের বড় পরিচয় একটি স্বাধীন সাবের্ভৗম রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে। তাই স্বাধীনতা আমাদের অহংকার ও বঙ্গবন্ধু এ গবির্ত রাষ্ট্রের জনক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদশর্ আমাদের চলার পথ। এই জন্য অবশ্য বাঙালি জাতিকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। ইতোমধ্যে স্বাধীনতার ৪৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এ দীঘর্ সময় একটি জাতির জীবনে কম সময় নয়। এ সময় গণতন্ত্রের নামে দেশে অনেক নিবার্চন হয়েছে। নিবাির্চত দল সরকার গঠন করেছে। কিন্তু একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো সরকারই মুক্তিযুদ্ধের আদশর্ ও চেতনার বাস্তবায়নে কেউ উল্লেখযোগ্য কোনো অবদান রাখেনি। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, শোষণমুক্ত সমাজ, আইনে শাসন জনগণের অথৈর্নতিক মুক্তির লক্ষ্যে বতর্মান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তাই স্বাধীনতার ৪৬ বছরে দেশ অন্ধকার থেকে আলোর পথে। একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধশালী স্বদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সে লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট কতটা ভ‚মিকা রেখেছে বা রাখছে সেটাই বিবেচ্য বিষয়। বতর্মান দেশে নিবার্চনী হাওয়া বইছে। সে নিবার্চনকে সামনে রেখে বড় দুই দলের নেতৃত্বে রাজনৈতিক জোট গঠিত হয়েছে। মহাজোট তথা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ও বিএনপিতেও ঐক্যফ্রন্ট নামে একটি জোট গঠিত হয়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছে ড. কামাল ও মাহমুদুর রহমান মান্না। নবগঠিত এ ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে দেশের রাজনীতিতে নানা ধরনের কথাবাতার্ শোনা যাচ্ছে। আগামী নিবার্চন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে এ জোট গঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে এই জোট বা ঐক্যফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে দুই দফা সংলাপের অংশ নিয়েছেন। সংলাপের মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিল নিরপেক্ষ সুষ্ঠুও অংশগ্রহণমূলক নিবার্চন। প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চাচ্ছেন একটি অংশগ্রহণমূলক নিবার্চন। কারণ তিনি তা না চাইলে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংলাপের প্রস্তাব নাকচ করতেন। অন্যদিকে মহাজোটে থেকে নিবার্চন করার ঘোষণা দিয়েছেন বি চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্ট। মোটা দাগে বলা যেতে পারে ড. কামালের নেতৃত্বে গঠিত ঐক্যফ্রন্টও বি চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট। আগামী নিবার্চনে যে কয়েকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবেন তন্মধ্যে প্রায় সবাই দুভাগে বিভক্ত হয়েছে। এক ভাগে মহাজোটে অন্য ভাগ ঐক্যফ্রন্টে। নিবার্চনে জোট গঠন নতুন কিছু নয় এবং দোষের কিছুও নয়। কিন্তু ক্ষমতার অংশীদারের লোভে আদশির্ক চেতনা মূল্যহীন হয়ে পরে তখন আসে নানা প্রশ্ন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির যে মতবিরোধ বা বৈরিতা রয়েছে তা যতটা রাজনৈতিক তার চেয়ে আদশের্র বিষয়টিই প্রধান। কেননা আওয়ামী লীগ-বিএনপির দলীয় নীতি-আদশের্র মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।

যাহোক, শুরুতে বলার চেষ্টা করা হয়েছে এ দুটি দলের জন্ম বা উত্থান এক নয়। এক দলের জন্ম হয়েছে এ দেশের মাটি ও মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক ও ক্ষমতার বাইরে থেকে। আর এক দলের উত্থান হয়েছে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি থেকে। আগামী নিবার্চনকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক মেরুকরণ ও দল বদল এবং জোটের হিড়িক পড়েছে তাতে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে বিজ্ঞ মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত এবং দলীয় নীতি-আদশর্ এক শ্রেণির রাজনীতিকের কাছে গৌণ হিসেবে আমরা দেখছি। বিগত সেনা সমথির্ত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় তৃতীয় ধারার রাজনীতির কথা দেশবাসী শুনেছে অথার্ৎ সে সময় আওয়ামী লীগ বিএনপির বিকল্পের কথা আমরা শুনেছি এবং একই সঙ্গে এক নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের তৎপরতাও আমরা লক্ষ্য করেছি। বতর্মান যুক্তফ্রন্টের নেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরী বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি পরিচিত নাম। একজন সফল চিকিৎসক হিসেবে দেশ-বিদেশে তার যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। তিনি বিএনপি আমলে রাষ্ট্রপতিও ছিলেন। বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর বিকল্পধারা নামে একটি রাজনৈতিক দলও গঠন করেন। ড. কামাল, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ডাকসুর ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নেতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অলি আহমেদ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তাদের নিজ নিজ অবস্থান দল থাকা সত্তে¡ও বি. চৌধুরী ছাড়া অন্যরা বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঐক্যফ্রন্ট নামে একটি রাজনৈতিক জোট গঠন করেন। গণমাধ্যম থেকে জানা যায় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তারা নিবার্চন করবে। ভোট ও জোটের রাজনীতিতে তাদের কাছে আদশের্র রাজনীতির চেয়ে ক্ষমতার রাজনীতি মুখ্য হিসেবে প্রতীয়মান হয়।

বাংলাদেশের রাজনীতির মূল উপাদানই হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চেতনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে গিয়ে ক্ষমতার রাজনীতি এ দেশের সাধারণ মানুষ ও তরুণ ভোটারদের সমথর্ন আদায় কঠিন হবে। কারণ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পূবার্পর ঘটনা এখন তরুণ ভোটাররা অনেকটা অবগত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো দল বা জোটের কি ভ‚মিকা সেটাও তাদের কাছে অজানা নয়। স্বাধীনতার ৪৬ বছরে বাংলাদেশ যে আদশের্র ওপর দঁাড়িয়ে এবং অস্থি মজ্জায় লেগে আছে লাখো শহীদের রক্ত এবং একাত্তরের চেতনা শুধু ক্ষমতার রাজনীতিতে যখন দেখা যায় এ দেশের কিছু রাজনীতিবিদ সে আদশর্ ও চেতনা থেকে যখন বেরিয়ে আসে তখন বলতেই হয় হায়! রাজনীতি, হায়! আদশর্। আবার যখন দেখি শাসক দলও ধমির্ভত্তিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ভোটের রাজনৈতিক স্বাথের্ সমঝোতা করে তখন অবাক হই। তবে একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, কিছু ত্রæটি বিচ্যুতি থাকা সত্তে¡ও একমাত্র আওয়ামী লীগই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যা যুদ্ধাপরাধীর বিচার এবং ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার বিচার রাষ্ট্রের আদশর্গত কাজের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান। বাংলাদেশের ছোট-বড় অনেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। বাম ঘরানার কিছু রাজনৈতিক দলগুলো অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হলেও তাদের জনসমথর্ন কম। তৃণমূল পযাের্য় তাদের পরিচিতিও তেমন নেই। মোটামুটিভাবে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই জোটবদ্ধভাবে নিবার্চন করবে। কেউ আওয়ামী জোটে, কেউ বিএনপি জোট থেকে। ক্ষমতার লোভ আদশির্ভত্তিক রাজনীতি এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে আমাদের দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি গড়ে ওঠেনি। সুস্থ ধারার রাজনীতি গড়তে গেলে প্রথমেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হওয়া দরকার। ক্ষমতার অংশীদারের রাজনীতিতে তা কতটা সম্ভব ভবিষ্যৎ বলে দেবে।

ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর সহচর এ রাজনীতিক নেতা পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবতের্নর পর বেশির ভাগ সময় তিনি বিদেশে অবস্থান করেন। আওয়ামী লীগের সেই দুঃসময়ে দল তাকে কাছে পায়নি। একপযাের্য় আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গণফোরাম নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু রাজনীতিতে সুবিধা করতে পারেননি। কাদের সিদ্দিকী বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বীরোত্তম খেতাবে ভ‚ষিত হন। টাঙ্গাইলের এ সিদ্দিকী পরিবার একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে অত্যন্ত সাহসী ভ‚মিকা রাখেন। শুধু তাই নয়Ñ পঁচাত্তরে রাজনৈতিক পটপরিবতের্নর পর বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে দেশ ত্যাগ করে ভারতে দীঘর্ কয়েক বছর নিবার্সন জীবনযাপনও করেন। বঙ্গবন্ধু কাদের সিদ্দিকীকে খুবই স্নেহ করতেন ভালোবাসতেন। এমনকি বঙ্গবন্ধু তাকে নিজ পরিবারের সন্তান হিসেবেও মনে করতেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রচ্ছন্ন বিরোধে তিনিও দল থেকে বের হয়ে গঠন করেন ‘কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ’। অন্যদিকে এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান মান্না সাবেক ডাকসুর ভিপি যিনি জাসদ ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনিও নাগরিক ঐক্য নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। আরেক সাবেক ছাত্রনেতা সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর যিনি স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকসু ভবনে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙ্গান। যারা একসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, নৌকা যাদের প্রাণের প্রতীক ছিল তারা কীভাবে ধানের শীষ প্রতীককে নিবার্চন করবেন? তাহলে বলতে হয় ক্ষমতার অংশীদারের রাজনীতি থেকে আদশর্ কতদূর...। তাহলে কি রাজনীতি থেকে নীতি-আদশর্ নিবার্সনে গেল? দুনীির্ত ও ২১ আগস্টে ববের্রাচিত হত্যাকাÐে দÐপ্রাপ্ত দলে কীভাবে ভেড়েন? নিবার্চনী জোটের সমীকরণ মেলানো বড়ই কঠিন। এ কারণেই কি বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক মীর মশাররফ হোসেনের যথাথর্ উক্তি ছিল ‘এ রাজচক্রের মমের্ভদ করা বড়ই কঠিন’। মহাজোট মনে করছে আরেকবার ক্ষমতায় গিয়ে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখা অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের আওয়াজ গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা। কিন্তু দেশবাসী চায় গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাকে সচল রাখা। যারা একসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর কথা বলতেন ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্টের ঘাতকদের গ্রেপ্তারের কথা বলেছেন ক্ষমতার অংশীদারে রাজনীতিতে বিপরীত মেরুতে তাদের অবস্থান এ দেশের তরুণ ভোটাররা তো বটেই সাধারণ ভোটাররাও মুখ ফিরিয়ে নেবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন। রাজনৈতিক দল বা জোট গঠন এটা মানুষের রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু এ জোট গঠন যখন বিপরীত মেরুতে হয়, তখন তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা তো উঠবেই। রাজনীতিবিদদের মন-মানসিকতার পরিবতর্ন সুস্থ রাজনীতি ও গণতন্ত্রের চচার্ আদশির্ভত্তিক রাজনীতি জনগণের মধ্যে যতক্ষণ পযর্ন্ত জাগরণ সৃষ্টি করতে না পারবে, ততক্ষণ যে কোন দল বা জোটই লাভবান হবে না। কারণ ভিতরে ঘা রেখে উপরে মলম লাগালে ক্ষত ভালো হয় না। এই ঘা ভালো করতে পারে আদশির্ভত্তিক রাজনীতি। ক্ষমতার অংশীদারের রাজনীতি কখনো আদশির্ভত্তিক নয়। পরিশেষে বিজয়ের মাসে স্মরণ করি লাখো শহীদের। স্মরণ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অজর্ন করে। বিজয়ের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক।

মোহাম্মদ নজাবত আলী: শিক্ষক, কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<27107 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1