শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপযর্

প্রতি বছর রবিউল আউয়াল মাস এলেই আমাদের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর আলোচনার হিড়িক পড়ে। মাসটি শেষ হয়ে গেলেই যেন আমরা যেইসেই হয়ে যাই। আমরা মনে করি, মহানবী (সা.) শুধু এক মাসের জন্যই আমাদের নবী নন, তিনি আমাদের জীবনের সাবর্ক্ষণিক নবী। অতএব, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার আদশর্ অনুসরণ করে চলতে হবে।
মাওলানা আনোয়ার-উল-করিম
  ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে আরব দেশের মক্কা নগরের কোরাইশ বংশে এক আলোর দ্যুতি ঠিকরে পড়ে। যে আলোকরশ্মি প্রত্যক্ষ করতে সমগ্র সৃষ্টি অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষ্যমাণ ছিল। সপ্তাকাশ, সাত জমিন, নক্ষত্ররাজি, আকাশ, পাতাল, বায়ু তথা নভোমÐল ও ভ‚মÐলের সব মাখলুকাত সেই মহান অতিথির আগমনের প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছিল। শুভ্র আকাশের মেঘপুঞ্জ নেচে নেচে যার প্রশংসাগাথা গাইছিল, বাতাসের হিল্লোল যার শুভাগমন আনন্দে পাতাগুলোকে দুলিয়ে নৃত্য প্রদশের্ন বাধ্য করছিল, মহাসমুদ্রের ঢেউয়ের নাচন আনন্দের আতিশয্যে যার কদমবুচির আগ্রহে নিক্কণধ্বনি তুলছিল, পাÐুর বৃক্ষরাজি বিচিত্র পত্রপল্লবে সৃজিত পাখা নিয়ে যাকে বাতাস করে ধন্য হওয়ার স্বপ্নবিভোর ছিলÑ তিনি বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত উম্মতের কাÐারী বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (স.)। হাদিসে কুদসিতে খোদ আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেছেন, আমি মোহাম্মদকে সৃষ্টি না করলে কুল কায়েনাতের কিছুই সৃষ্টি করতাম না। সুতরাং অতি সহজেই অনুমেয় যে, যাকে সৃষ্টি না করলে বিশ্ব জাহানের কিছুই অস্তিত্বে আসতো না, যার বদৌলতে সমগ্র মাখলুকাত সৃষ্টিÑ তার আগমনে সেদিন সৃষ্টিজগৎ কতটা উল্লাসে মেতেছিল, হুর-পরী কতটা সাজে সেজেছিল। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার সুবহে সাদিকের নিমর্ল প্রকৃতিতে ধরাধামে আগমন করেন হযরত মোহাম্মদ (সা.)। তবে ঐতিহাসিকরা তার আগমন তারিখ নিয়ে মতভেদের দোলাচলে দোল খেয়েছেন। অধিকাংশের মতে, তার জন্মতারিখ ৯ রবিউল আউয়াল। এ ছাড়া ৭, ৮, ১১, ১২ রবিউল আউয়াল সম্পকের্ও কেউ কেউ মত দিয়েছেন। আমাদের উপমহাদেশে সুদীঘর্কাল থেকেই ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী (সা.)-এর জন্মদিন হিসেবে পালন হয়ে আসছে। তবে ১২ রবিউল আউয়াল যে মহানবী (সা.)-এর মৃত্যুদিবসÑ এতে সব ঐতিহাসিকই ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

হিজরি সনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে আমরা মহানবী (সা.)-এর কততম জন্মদিবসে পা ফেলেছি, তা সহজেই ধারণা করা যায়। মহানবী (সা.)-এর চল্লিশ বছর বয়সে নবুয়তপ্রাপ্তির দ্বাদশ বষের্ তিনি জন্মভ‚মি মক্কার মায়া ত্যাগ করে আল্লাহর রাজ কায়েমের নিমিত্তে তিনি পুণ্যভ‚মি মদিনায় হিজরত করেন। ইসলামের ইতিহাস মতে, চল্লিশ বছর বয়সে হযরত মোহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্ত হন। সে মতে দ্বাদশ বষের্ তার বয়স হয় বায়ান্ন বছর। অথার্ৎ বায়ান্ন বছর বয়সে তিনি হিজরত করেন। হিজরতের পরও তিনি এগারো বছর জীবিত ছিলেন।

মোহাম্মদ (সা.) বিশ্বনবী। পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে মানুষকে হেদায়েতের পথে আনতে আল্লাহতায়ালা যুগে যুগে প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার নবী-রাসূল পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। তন্মধ্যে মাত্র ১০৪ জন রাসূলের ওপর আসমানি কিতাব অবতীণর্ হয়। এ ১০৪ জন কিতাবপ্রাপ্ত নবী ছাড়াও দুই লক্ষাধিক নবী-রাসূলই মহানবী (সা.)-এর উম্মত হওয়ার জন্য আল্লাহতায়ালার দরবারে প্রাথর্না করেছিলেন। অন্যান্য নবী-রাসূল আগে পৃথিবীতে আগমন করলেও মহানবীকে (সা.) আকষর্ণ হিসেবে আল্লাহতায়ালা সবের্শষ হিসেবে বিশ্বমাঝে প্রেরণ করেন। তাই তো তিনি শেষ নবী তিনি খাতামুন্নাবিয়্যিন।

মোহাম্মদ (সা.) এক আদশর্ মহামানব। এর স্বীকৃতিস্বরূপ আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেনÑ নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূল মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে রয়েছে অনুপম আদশর্। তিনি মানবজীবনের সব ক্ষেত্রে আদশর্। শিশু, যুবা, আবালবৃদ্ধবনিতা নিবিের্শষে তিনি সবার জন্যই আদশর্। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, পেশাজীবীÑ সবার জীবনেই তিনি আদশর্। নিভর্রযোগ্য ঐতিহাসিক গ্রন্থে মহানবী (সা.)-এর আগমন মুহূতর্ সম্পকের্ বলা হয়েছে, তিনি মা আমেনার পবিত্র গভর্ থেকে অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুর মতো ভ‚মিষ্ঠ হননি। শুভ্র বসনের এক প্যাকেটজাত প্রক্রিয়ায় তিনি ধরাধামে আগমন করেন। একই সঙ্গে অন্যান্য শিশুর মতো তিনি চিৎ হয়ে ভ‚মিষ্ঠ হননি। তিনি পৃথিবীতে আগমন করেন উপুড় হয়ে। অথার্ৎ লজ্জাস্থান যে মানুষের দৃষ্টি হতে চরম হেফাজতের বস্তু, তা শিশুনবীর জন্মের মাধ্যমেই পৃথিবীবাসী অবলোকন করতে সক্ষম হয়েছে।

মহানবী (সা.) তখন শৈশবের গÐি পেরিয়ে ১৭ বছরের বালক। তিনি দেখলেন, আরব দেশে বংশানুক্রমে গোত্রবিভেদ চরম আকার ধারণ করে আছে। একে কেন্দ্র করে ক’দিন পরপরই মারামারি হানাহানি হয়। বালক মোহাম্মদের অন্তরাত্মায় ব্যাপারটি দারুণভাবে বেদনার শলাকাবিদ্ধ করল। তিনি ভাবলেনÑ যে করেই হোক মানবতাকে এ দুবির্ষহ জীবন থেকে মুক্তি দিতেই হবে। কিন্তু প্রক্রিয়া কী? আরববাসীর অস্তিমজ্জায় বংশপরম্পরায় যে প্রতিশোধের দাবানল জ্বলে আছে, তা থেকে অত সহজেই কি তাদের মুক্তবিহঙ্গে নিয়ে আসা যাবে? তিনি নিজ বয়সী তেরজন বালককে তার ব্যথাটি বোঝাতে সক্ষম হলেন। তারা বালক মোহাম্মদকে এ ক্ষেত্রে সাবির্ক সহযোগিতা করতে প্রত্যয়দীপ্ত হলেন। তিনি মাত্র সতের বছর বয়সে প্রতিষ্ঠা করলেন সেবামূলক সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুল’। এ হিলফুল ফুজুলের পরশে এসে সে যুগের যুবসমাজ এক বেহেশতি পরিবেশ খুঁজে পেল। ক্রমেই গোত্রবিদ্বেষ ছাইচাপা পড়তে শুরু করল। যৌবনের তাড়ণায় যুবসমাজ যেসব অপকমের্ লিপ্ত হয়, বালক মোহাম্মদের পাশে এসে তারা হয়ে উঠলো সোনার মানুষ। উলঙ্গপনা, বখাটেপনা, ইভ টিজিং, মাদকাসক্তি যে বয়সী যুবকদের নিত্যদিনের কমর্, তারা মোহাম্মদের মিশনে যোগ দিয়ে হয়ে উঠল এর প্রতিরোধ আন্দোলনের জানবাজ সৈনিক। তাই তো বালক মোহাম্মদ এক অতুলনীয় আদশর্। আজকের সমাজ যদি বালক মোহাম্মদের এ নৈতিকতার পরাকাষ্ঠা থেকে শিক্ষা নিতো, তাহলে অবশ্যই আমরা এক সোনালি সুন্দর সমাজ বিনিমাের্ণ সক্ষম হতাম।

আমানতদারির ক্ষেত্রে মোহাম্মদ (সা.)-এর তুলনা দুষ্প্রাপ্য। সেই জাহেলি যুগের পৌত্তলিকতায় আচ্ছন্ন মানুষ পযর্ন্ত মহানবীকে (সা.) শ্রেষ্ঠ আমানতদার বলে বিশ্বাস করত। তাই তো তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে ‘আল-আমিন’ বা ‘মহাবিশ্বাসী’ বলে উপাধি দিয়েছিল। অতএব, আমানতদারির ক্ষেত্রে মোহাম্মদ (সা.)-এর মতো দ্বিতীয় কাউকে বিশ্বইতিহাসে খঁুজে পাওয়া সাদা কাকের মতোই বিরল।

শ্রমিকের অধিকার সম্পকের্ মহানবী (সা.) অনুপম আদশর্। ‘শ্রমিকের ঘাম শুকাবার আগেই তার পারিশ্রমিক পরিশোধ করে দাও’Ñ বলে বিশ্বনবী (সা.) যেই চিরন্তন উক্তি উচ্চারণ করে গেছেন, তা কালের আবতের্ গবেষণার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। শ্রমের সঠিক মূল্য না পাওয়ার কারণেই আমাদের দেশে কদিন পর পর আন্দোলন-সংগ্রাম তীব্র আকার ধারণ করে। আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মাকেের্ট শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যে আট শ্রমিক জীবন বিলিয়ে দিয়েছে, তাদের স্মরণ করতো আজ বিশ্বপরিমÐলে আন্তজাির্তক শ্রমিক অধিকার দিবস পালিত হয়ে থাকে। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে শ্রমিকদরদী মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রদত্ত উপযুর্ক্ত উক্তি যদি আজকের মালিকসমাজ সঠিকভাবে গ্রহণ করে, তাহলে মানুষ সত্যিই এক অনুপম পরিবেশ খঁুজে পেত। একইভাবে মহানবী (সা.) নিজে উটের লাগাম ধরে পালাক্রমে শ্রমিককে উপরে বসিয়ে টেনে নেয়ার নজির গোটা বিশ্বে দ্বিতীয়টি আছে কি?

নারীর অধিকার বাস্তবায়নে মহানবী (সা.)-এর অনুপম আদশর্ বিশ্বনন্দিত। যেই যুগে মেয়েসন্তান জন্মানোকে কৌলিন্যের চাবিকাঠি মনে করা হতো, মেয়েসন্তান জন্মালে তাকে জীবিত গতের্ প্রোথন করে হত্যা করা হতো। এহেন অমানবিক ও জঘন্য অপরাধ আরব সমাজকে বিশ্বদরবারে আজও নিন্দিত ও ধিক্কার দিয়ে আসছে। বিশ্বনবী (সা.) জাহেলি যুগের সেই কলুষিত অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে আরব জাতিকে সুসভ্য জাতিতে পরিণত করেছিলেন। হযরত দাহিয়া কালবী রাজি. হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর কাছে তার জাহেলি যুগের ঘটনা বণর্না করে বলেন, আমার একটি কন্যা ছিল। সে আমাকে খুব ভালোবাসতো। তাকে নাম ধরে ডাকলে সে দৌড়ে কাছে আসত। একদিন আমি তাকে ডাকলাম। তাকে সঙ্গে নিয়ে হঁাটতে লাগলাম। পথে একটি কুয়া পেলাম। তার হাত ধরে ধাক্কা দিয়ে তাকে কুয়ার মধ্যে ফেলে দিলাম। তার যে শেষ কথাটি আমার কানে ভেসে এসেছিল। তা হলোÑ হে আব্বা! হে আব্বা! একথা শুনে রাসূলুল¬াহ (সা.) কেঁদে ফেললেন। তার চোখ দিয়ে অশ্রæ ঝরতে লাগল। উপস্থিত লোকদের মধ্যে একজন বললেন, ওহে! তুমি রাসূলুলা¬হ (সা.)-কে শোকাতর্ করে দিয়েছ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা তাকে বাধা দিও না। যে বিষয়ে তার কঠিন অনুভ‚তি জেগেছে সে বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করতে দাও। তারপর তিনি বললেন, তোমার ঘটনাটি আবার বণর্না করো। সে ব্যক্তি আবার তা শুনালেন। ঘটনাটি আবার শুনে তিনি এত বেশি কঁাদতে থাকলেন যে, চোখের পানিতে তার দাড়ি মোবারক ভিজে গেল। এরপর তিনি বললেন, জাহেলি যুগে যা কিছু করা হয়েছে আল¬াহ তা মাফ করে দিয়েছেন। এখন নতুন করে জীবন শুরু করো (সুনানে দারামি)। এমন অসংখ্য নিমর্ম হত্যাযজ্ঞ আরব সমাজে ঘটেছিল। ইসলাম-পূবর্ যুগে কন্যাসন্তানদের প্রতি পুতুল পূজারী কাফির-মুশরিকদের আচরণ ছিল অত্যন্ত কুৎসিত ও জঘন্য।

যেই সমাজে নারীকে অসুর মনে করা হতো, নারীর অধিকার বলতে যে সমাজে কিছুই ছিল নাÑ সেই যুগে বিশ্বনবী সা. ঘোষণা করলেন, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত’। বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বললেন, পুরুষের যেমন অধিকার রয়েছে, মহিলারও সমান অধিকার রয়েছে। তিনি আরও বললেন, ‘সে-ই সবচেয়ে ভালো পুরুষ, যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো’। নারীমুক্তির অগ্রদূত মহানবী (সা.)-এর এসব বাণী হতে নারীজাতি পেল তাদের বেঁচে থাকার অধিকার। পেল প্রকৃত স্বাধীনতা। তাই তো তিনি নারীমুক্তি আন্দোলনের আদশর্।

একজন ব্যবসায়ী হিসেবে মহানবী সা. বিশ্ববাজারে আদশর্। তিনি নিজেই ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। ব্যবসার ক্ষেত্রে সবর্প্রকার ধেঁাকা ও প্রতারণার আশ্রয় নিতে তিনি নিষেধ করেছেন। একবার তিনি নিজেই এক বণিক কাফেলার কাছে কাপড় বিক্রি করেন। ঘটনাক্রমে ওই কাপড়ের গাইটের এক স্থানে কিছুটা খঁুত ছিল। তিনি ভুলক্রমে বিষয়টি তাদের বলেননি। বণিক কাফেলা বহুদূর যাওয়ার পর ব্যাপারটি প্রিয়নবী (সা.)-এর মনে পড়ে। তিনি তৎক্ষণাৎ ঘোড়া হঁাকিয়ে তাদের কাছে গিয়ে ব্যাপারটি তাদের অবহিত করে খঁুতের কারণে অতিরিক্ত মূল্য তাদের ফিরিয়ে দেন।

আরেকবার তিনি বাজারে গিয়ে এক খেজুর বিক্রেতার ঝুড়িতে নিজ হাত ঢুকিয়ে দেখেনÑ খেজুরের ঝুড়ির নিচের অংশে ভেজা খেজুর ও উপরে শুকনো খেজুর। তিনি বিক্রেতাকে ভৎর্সনা করে এমন প্রতারণার ব্যবসা হতে বিরত থাকতে নিদের্শ দিলেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘তোমরা সঠিক ওজনে পরিমাপ করো’। বিশ্বনবী (সা.)-এর এ সুন্দর আদশর্ আজ যদি আমাদের সমাজে বলবৎ থাকতো, তাহলে সত্যিই এক সোনালি সমাজ অবলোকন করা যেত।

সংক্ষেপে এর মমার্থর্ হচ্ছে, দোলনা হতে কবর পযর্ন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অথৈর্নতিক, রাজনৈতিক, আইন-কানুন, দÐবিধি যে বিভাগেই হোক না কেন, সবর্ত্রই রাসূল (সা.)-এর অনুপম আদশর্ রয়েছে। বতর্মান দুনিয়ার সবর্ত্র মহানবী (সা.)-এর প্রদশির্ত আদশর্ অনুসরণ করলে সত্যিকারের কল্যাণরাষ্ট্র বিনিমার্ণ সম্ভব।

প্রতি বছর রবিউল আউয়াল মাস এলেই আমাদের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর আলোচনার হিড়িক পড়ে। মাসটি শেষ হয়ে গেলেই যেন আমরা যেইসেই হয়ে যাই। আমরা মনে করি, মহানবী (সা.) শুধু এক মাসের জন্যই আমাদের নবী নন, তিনি আমাদের জীবনের সাবর্ক্ষণিক নবী। অতএব, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার আদশর্ অনুসরণ করে চলতে হবে।

মাওলানা আনোয়ার-উল-করিম: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ

ধহধিৎঁষশধৎরস৭৩@মসধরষ.পড়স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<23353 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1