বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঐতিহ্য হারাচ্ছে দেশের ফুটবল

দেশের ফুটবলের জৌলুস-গৌরব, ক্লাব আঙ্গিনায়, মাঠে ফুটবলপ্রেমীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও আড্ডা আগের মতো নেই। বিনা টিকিটে খেলা দেখার প্রচার-প্রচারণা দিয়েও মাঠে দশর্ক টানা কঠিন হয়ে গেছে এখন। পাড়া-মহল্লায় প্রিয় ক্লাবের পতাকা উড়ানোর ধুম চোখে পড়ে না। দেশের ফুটবলের বিবণর্ চিত্র এবং দশর্কদের মাঠের প্রতি আকষর্ণ কমে যাওয়ার জন্য ফুটবল খেলার উন্নয়নে নিবেদিত লোকজনের আকালই বহুলাংশে দায়ী ।
জহির চৌধুরী
  ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অস্বীকার করার উপায় নেই, দেশের ফুটবল সংকটকাল অতিক্রম করছে। দেশের মাটিতে নেপালের কাছে হেরে সাফ ফুটবল থেকে বিদায় নেয়ার পর বঙ্গবন্ধু কাপ থেকেও দ্বিতীয়বারের মতো লজ্জাজনক বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ফিফার র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলক অনগ্রসর ক্ষুদ্র দেশ ভুটানেরও নিচে। ফুটবলের করুণদশা অনবগুণ্ঠিতই। ফুটবলের চলমান চিত্রে ফুটবলভক্তসহ এক সময়কার মাঠ কঁাপানো ফুটবলারদের সোনালি অতীত স্মরণ করে হতাশা ব্যক্ত করতে দেখা যায় প্রায়ই। ষাটের দশকের কিংবদন্তি লেফট আউট স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের সহঅধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরা ফুটবলের বতর্মান দশায় আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘ফুটবল খেলা ছেড়েছি প্রায় চার দশক আগে । ফুটবলার হিসেবে আমারই লজ্জা হচ্ছে মুখ দেখাতে।’ স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক ও ষাটের দশকের অন্যতম সেরা স্টার জাকারিয়া পিন্টু একই পত্রিকাকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে যা হচ্ছে তা কল্পনাতীত।’ দায়ীদের নিবার্সনে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন এ সাবেক ফুটবলার। আশির দশকের অন্যতম সেরা স্টার কায়সার হামিদ বলেছেন, ‘ফুটবলের অবকাঠামো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। গত দশ বছরে ফুটবলের মান বাড়েনি । উল্টো পেছনের দিকে হঁাটছে বাংলাদেশ।’ এ দশা কেন হলো বাংলাদেশের ফুটবলের? দেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা ক্ষয়িষ্ণু বা ফুটবলে প্রতিভাবানরা আসছে না বলে ফুটবলের বতর্মান দশা বলার সুযোগ নেই। কয়েক মাস আগে রাশিয়ায় বিশ^কাপ ফুটবলের আসর বসেছে । ওই সময় বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও বিশ^কাপ উন্মাদনায় মেতেছে । বাংলাদেশের ফুটবলমোদিরা যে যে দেশের সমথর্ক, সে নিজ ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠানে সে দেশের পতাকা উড়িয়ে, জাসির্ পরে উজ্জীবিত হয়ে বিশ্বকাপের খেলাগুলো উপভোগ করেছে। ফুটবল জনপ্রিয়তা হারলে বিশ^কাপ জ¦র বাংলাদেশে দেখা যেত না। বিশ^কাপের শীষর্ স্থানীয় বহুদেশেই বাংলাদেশের মতো ফুটবল উন্মাদনা নেই। বিশ্বকাপ ফুটবল বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের যেভাবে আলোড়িত করে তাতে বিশ্বকাপের শীষর্স্থানীয় দেশগুলোও অবাক হয় ।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাফ অনূধ্বর্-১৫ ফুটবল প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিভাবান ফুটবলার আছে তা অনূধ্বর্-১৫ ফুটবল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রমাণ করেছে । নিদ্বির্ধায় বলা যায়, দেশের ফুটবল অনাদর-অবহেলা, অনিয়মসহ নানা অনাকাক্সিক্ষত কমর্কাÐের কারণে দৈন্য দশায় নিপতিত হয়েছে। দেশীয় ফুটবলের প্রতি ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ কমেছে জৌলুস হারানোতেই। চোখের সামনে এখনো জ্বলজ্বল করছে ফুটবলের ফেলে আসা সোনালি দিনগুলো। ফুটবলের সোনালি দিনগুলোতে প্রিয় দল, প্রিয় খেলোয়াড়ের খেলা দেখার জন্য কাক ডাকা ভোর থেকে ঢাকা স্টেডিয়ামের টিকেট কাউন্টারে ফুটবল ভক্তরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দঁাড়িয়ে থাকত টিকেটের জন্য। ফুটবল পাগল দশর্কদের টিকেট হাতে পাওয়া মাত্র খুশিতে আত্মহারা হয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য ফটক পানে ছুটা, উৎফুল্লচিত্তে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চিত্র চোখের সামনেই ভাসছে। প্রিয় দলের এবং প্রিয় খেলোয়াড়দের খেঁাজখবর নিতে ভক্তদের ক্লাব ট্যান্টে অনেক রাত পযর্ন্ত অবস্থান করতে নিকট অতীতেও দেখা যেত।

দেশের ফুটবলের জৌলুস-গৌরব, ক্লাব আঙ্গিনায়, মাঠে ফুটবলপ্রেমীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও আড্ডা আগের মতো নেই। বিনা টিকিটে খেলা দেখার প্রচার-প্রচারণা দিয়েও মাঠে দশর্ক টানা কঠিন হয়ে গেছে এখন। পাড়া-মহল্লায় প্রিয় ক্লাবের পতাকা উড়ানোর ধুম চোখে পড়ে না। দেশের ফুটবলের বিবণর্ চিত্র এবং দশর্কদের মাঠের প্রতি আকষর্ণ কমে যাওয়ার জন্য ফুটবল খেলার উন্নয়নে নিবেদিত লোকজনের আকালই বহুলাংশে দায়ী।

সত্তরের দশকের কৃতী খেলোয়াড় সাবেক জাতীয় ফুটবলার আবদুল গাফফার ফুটবলের দুরাবস্থা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দৈনিক যুগান্তরকে বলেন, ‘আজ যারা ফুটবল ফেডারেশনে আছেন তাদের ক্লাব নেই। তাই ফুটবলের জন্য কোনো চিন্তা নেই। ফুটবল উন্নয়নের কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রকৃত ফুটবল সংগঠককেই আজ বাফুফেতে বসানো প্রয়োজন।’ আগে নিঃস্বাথর্-নিখাদ ক্রীড়া অনুরাগীদের ক্লাব এবং খেলাধুলার উন্নয়নে গঠিত সংস্থাগুলো পরিচালনার দায়িত্বে দেখা যেত। এ সব ক্রীড়া সংগঠক ক্লাব আর খেলার মাঠ ছাড়া কিছুই বুঝতেন না। ঘর-সংসার, পরিবার-পরিজনের সান্নিধ্য, ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য এ মানুষগুলোর কাছে ছিল একেবারেই তুচ্ছ। দিন-রাত ক্লাবে, না হয় মাঠেই পড়ে থাকতেন ক্রীড়া পাগল সংগঠকরা। ঢাকা মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের মইনুল ইসলাম, আবাহনী ক্রীড়া চক্রের হারুনর রশীদ, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির হাজি আউয়াল, ধানমন্ডি ক্লাবের মহসিনসহ ক্লাব প্রধানরা অনেকেই ক্লাব ট্যান্টে যেভাবে পড়ে থাকতেন তাতে মনে হতো ক্লাব আঙ্গিনাই তাদের ঘরবাড়ি।

খেলোয়াড় তৈরি কারিগর বলা হয় কোচদের। অতীতে কোচদের অনেকেই সম্মানীর চেয়ে ভালো খেলোয়াড় তৈরির মধ্যে অধিকতর সন্তুষ্টি খুঁজে পেতেন। এমন অনেক কোচই ছিলেন যারা মাঠে পড়ে থেকে জীবনের মূল্যবান সময় পার করে দিয়েছেন। ফুটবল কোচ আশরাফ, আবদুর রহিম, গফুর বেলুচ, সাহেব আলী, আলী ইমাম, দীপু (দিলকুশা স্পোটিং ক্লাবের অধিনায়ক ও পরবতীর্ সময়ে কোচ) সহ অনেকেই মাঠে জীবন পার করেছেন বলা যায়। শুধু ফুটবল কোচরাই নন, অন্যান্য খেলার কোচদের মধ্যেও অনেকেই ছিলেন যারা ক্লাব ট্যান্ট এবং মাঠকে মনে করতেন তাদের ধরাধামের ঠিকানা। হকি কোচ আবদুস সালাম, কাউসার আলী, প্রতাপ শংকর হাজরা, ক্রিকেট কোচ আলতাফ হোসেন, ওসমান, সীতারাম (উদিতি ক্রিকেট ক্লাবের)সহ অনেকেই মাঠে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবন-যৌবনের সোনালি সময়। খেলোয়াড়ের মধ্যেও ছিল খেলার মান বৃদ্ধির সাধনা, ক্লাবের মযার্দা রক্ষার অঙ্গিকার । দল পরাজিত হলে অনেক খেলোয়াড়কেই মাঠে শিশুর মতো কান্নাকাটি করতে দেখা যেত।

ঢাকার ফুটবলের জৌলুস, দশর্ক উন্মাদনা ঐতিহ্য। স্বাধীনতার আগেও ঢাকার ফুটবলের মান, দশর্ক উন্মাদনা পশ্চিম পাকিস্তানের হাজার গুণ বেশি ছিল। পাকিস্তানের ফুটবল বলতে ঢাকার ফুটবলকেই বুঝাত। পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতিভাবান ফুটবলাররা ঢাকায় আসতেন নিজেদের মেলে ধরার জন্য। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পরপরই ঢাকায় ফুটবলের জমজমাট আসর শুরু হয় প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ চালুর মধ্য দিয়ে । পঞ্চাশের দশক ছিল ঢাকার ফুটবলের মান ও আকষর্ণ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা শুরুর সময়। পঞ্চাশের দশকে বেশ কয়েকজন ফুটবলার বেরিয়ে আসেন, যারা মাঠে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে বরণীয় হয়ে আছেন। পঞ্চাশের দশকে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানো ফুটবলারদের মধ্যে আশরাফ, কবীর, মারী, গজনবী, সাহেব আলী, নবী চৌধুরী ছিলেন অন্যতম। পঞ্চাশের দশকের কৃতী ফুটবলারদের নৈপুণ্যের গুণগান সত্তর-আশির দশকে ঢাকা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে প্রবীণদের মুখে মুখে শোনা যেত। ষাটের দশককে ঢাকার ফুটবলের জ্যোতি বৃদ্ধির সময় বলা যায়। ষাটের দশকে তদানীন্তন পূবর্ পাকিস্তানের বাঙালি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের অবাঙালি ফুটবলারদের উৎকষর্ ফুটবল, শক্তিশালী বিদেশি দল নিয়ে ঢাকার মাঠে ‘আগা খান গোল্ড কাপ’’ আন্তজাির্তক ফুটবল টুনাের্মন্টের জমজমাট আয়োজন ফুটবলের মান, ফুটবল উন্মাদনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি ঘটায়। ষাটের দশকে বাঙালি ফুটবলারদের মধ্যে জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শংকর হাজরা, হাফিজ উদ্দীন, গোলাম সারওয়ার টিপু, বলাইসহ আরো অনেকেই ছিলেন আন্তজাির্তকমানের। ষাটের দশকে ঢাকায় খেলা অবাঙালি ফুটবলারদের মধ্যে তোরাব আলী, আলী নেওয়াজ, কালা গফুর, কাদের বক্স, মাওলা বক্সসহ অনেকেই ছিলেন আন্তজাির্তক মানের। উঁচুমানের এসব ফুটবলারের খেলা দেখতে দশর্করা ঝড়-বৃষ্টি-বাদল, রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে মাঠে আসতেন ।

ষাটের দশকে ঢাকা মোহামেডান স্পোটিং এবং ঢাকা ওয়ান্ডাসর্ ক্লাব ছিল জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। ওই দশকে মোহামেডান ও ওয়ান্ডাসের্র খেলা মানে মহারণ। এ দুই ক্লাবের খেলার দিন মাঠে এবং পুরনো ঢাকায় উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যেত। সরকারি প্রতিষ্ঠান ইস্ট পাকিস্তান ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট করপোরেনেরও (ইপিআইডিসি) শক্তিশালী দল ছিল প্রথম বিভাগ লিগে। এ দলের খেলার দিনও প্রচুর দশের্কর সমাগম ঘটত। ষাটের দশকে এ তিন শক্তিশালী দলের খেলার দিন মাঠে দশর্ক উপচে পড়ত, গ্যালারিতে তিল ধারণের ঠঁঁাই থাকত না। সত্তর-আশি এবং নব্বইর দশকে মোহামেডান-আবাহনীর খেলার দিন ঢাকার অলি-গলির ঘরবাড়িতে দুদলের পতাকার ছড়াছড়ি, মাঠে সমথর্কদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা যেত। আবাহনী-মোহামেডানের খেলার দিন ঢাকা উৎসবের নগরীতে পরিণত হতো। ১৯৭৬ সালে প্রথম বিভাগে উঠা ব্রাদাসর্ ইউনিয়নও ভালো খেলার গুণে কয়েক বছরের মধ্যে দশর্কপ্রিয় দলে পরিণত হয়। ফুটবলের সুদিনকালে গ্যালারিতে প্রিয় দলের পতাকা উড়িয়ে, ঢোল-বাদ্য বাজিয়ে সমথর্কদের নাচানাচি-উল্লাস ছিল উপভোগ্য বিষয়। সত্তর-আশির দশকেও আন্তজাির্তকমানের বহু ফুটবলার ছিলেন। এনায়েত, কাজী সালাউদ্দীন, ছোট নাজির, মঞ্জু, নওশের, অমলেশ সেন, বাটু, নান্নু, টুটল, চুন্নু, সালাম, মহসিন, বাদল রায়, আশীষ ভদ্র, জনি, আবুল, সাব্বির, ওয়াসিম, নকিব, মোনেম মুন্না, কায়সার হামিদ, গোলরক্ষক শান্টু, পিন্টু, মহসিনসহ অনেক ফুটবলারই এ সময় ছিলেন যাদের খেলায় দশর্ক-সমথর্কদের প্রাণ জুড়াতো।

সত্তরের দশকে রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে কয়েকটি বিভাগের ফুটবল লিগসহ বিভিন্ন টুনাের্মন্ট নিয়মিত অনুষ্ঠিত হতো। সত্তরের দশকে আন্তজাির্তক ফুটবল টুনাের্মন্ট ‘আগা খান গোল্ড কাপ’, ‘প্রেসিডেন্ট কাপ’, ঘরোয়া ফুটবল টুনাের্মন্ট ‘ফেডারেশন কাপ’ ফুটবলের মানবৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। ঢাকার বাইরে অনুষ্ঠিত ফুটবলের আসরগুলো থেকে বেরিয়ে আসত অসংখ্য প্রতিশ্রæতিশীল ফুটবলার। ঢাকার বাইরের প্রতিভামান ফুটবলারদের ঢাকার ক্লাবগুলো খঁুজে এনে দলভুক্ত করত। জাতীয় দলের এক সময়কার অন্যতম সেরা খেলোয়াড় বাদল রায় কুমিল্লা প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের সুতাকল দলের খেলোয়াড় ছিলেন। ঢাকা মোহামেডানের হয়ে আগা খান গোল্ড কাপ’ টুনাের্মন্টে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে বাদল রায় ঢাকার ফুটবলে পা রাখেন। প্রতিভা গুণে এক সময়ে দেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হন বাদল রায়। আরো অনেকেই ছিলেন যারা জেলা বা বিভাগীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করে পরবতীর্ সময়ে খ্যাতিমান ফুটবলারে পরিণত হয়েছেন। বতর্মানে ঢাকাসহ জেলা-বিভাগীয় ফুটবলের করুণ চিত্র খোলামেলা। দেশের কোথাও এখন আগের মতো ফুটবলের জমজমাট আসর তেমন একটা দেখা যায় না। সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় কাজী সালাউদ্দীন কয়েক টামর্ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির পদে আছেন। তার সময়ে দেশের ফুটবলের মান অবনতি অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের ফুটবলের ছন্দপতন, জৌলুস হ্রাস বদনসিব। ফুটবলের হারিয়ে যাওয়া সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে কাযর্কর উদ্যোগ নেয়া দরকার ।

জহির চৌধুরী: কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<23062 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1