শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন বই নিয়ে অনিশ্চয়তা

দ্রæত কাযর্কর উদ্যোগ নিন
নতুনধারা
  ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

শিক্ষা জাতির মেরুদÐ। আর এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুশিক্ষার বিস্তার ঘটানো অত্যন্ত জরুরি। সঙ্গত কারণেই এই বিষয়টি আমলে নিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে যথাযথ পরিবেশে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত রাখতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। এ ক্ষেত্রে আমরা বলতে চাই, শিক্ষা ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা অত্যন্ত পরিতাপের। ফলে পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে দ্রæত সংকট নিরসন করা অপরিহাযর্। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, মাধ্যমিক পযাের্য় বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা ও বিতরণ নিয়ে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। দ্রæত এ সংকট নিরসন না হলে নিধাির্রত সময়ে শিক্ষাথীের্দর হাতে বই পেঁৗছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আমরা বলতে চাই, নিধাির্রত সময়ে শিক্ষাথীের্দর হাতে বই না পেঁৗছালে বিষয়টি নিশ্চিতভাবেই উদ্বেগজনক। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আমলে নিয়ে দ্রæত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। তথ্য মতে, এখনো নিধাির্রত সময়ে উপজেলা পযাের্য় বিনামূল্যের বই পেঁৗছায়নি। আর এর ফলে নতুন করে আরও ৩০ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে। এনসিটিবির তথ্যানুযায়ী, সারাদেশে বই পৌঁছেছে প্রায় ৬০ শতাংশ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উপজেলা পযাের্য় বই পেঁৗছেছে ৫৫ শতাংশের কাছাকাছি। ফলে ২০১৯ শিক্ষাবষের্র জন্য ছাপার আদেশ দেয়া ৩৬ কোটি ছয় লাখের বেশি বইয়ের মধ্যে এনসিটিবির তথ্যানুসারে অবশিষ্ট ২০ কোটি বা ৪০ শতাংশ বই কবে ছাপা হবে, কখন সেগুলো উপজেলা পযাের্য় বা বিদ্যালয়ে পেঁৗছবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে।

আমরা মনে করি, সৃষ্ট সংকটকে কোনোভাবেই এড়ানোর সুযোগ নেই। যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি নিরসন করতে হবে। বলা দরকার, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন, বই ছাপার কাগজ সংকট, পরিবহন সমস্যাসহ নানা কারণে অবশিষ্ট বই ছাপা নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছে তা উৎকণ্ঠাজনক। আর মুদ্রণ শিল্প সমিতির অভিযোগ, এনসিটিবি পাঠ্যবই ছাপার কাজ মনিটরিং, সরবরাহ, অনুমোদন এবং পরিবহনে অসহযোগিতাও বাধা সৃষ্টি করছে। সঙ্গত কারণেই এই অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে কাযর্কর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। এনসিটিবি ও মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে, প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপা ও সরবরাহ কিছুটা হলেও মাধ্যমিকের বই নিয়ে বেশি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সময় মতো বিল না পেলে এবং মিলগুলো সময়মতো কাগজ সরবরাহ না করলে মাধ্যমিকের বই ছাপা ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আমরা বলতে চাই, সরকার শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং দেশের শিক্ষার হার বাড়ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অগ্রগতির ধারায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এমতাবস্থায় বই নিয়ে এ ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে এটা হতে পারে না। আমলে নেয়া জরুরি, ঢাকা, রাজশাহী ও বগুড়ার সাতটি বড় প্রতিষ্ঠান এখন পযর্ন্ত একটি বইও দেয়নি বলে জানা গেছে। আর তারা বিল না পাওয়ায় বই ছাপার কাজ কমিয়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজ কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। এ ছাড়া বিলের টাকা দিচ্ছে না এনসিটিবি। আমরা মনে করি এই ধরনের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে হবে যেমন, তেমনিভাবে সংকট নিরসনের লক্ষ্যে দ্রæত উদ্যোগী হতে হবে। মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান সূত্র বলছে যে, রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বই পরিবহনে পুলিশের নানা ধরনের হয়রানির ব্যাপারে অন্য বছর এনসিটিবি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু এবার তা শেষ বেলায় এসে নেয়া হয়েছে। ফলে বই পরিবহনকারী ট্রাক-ভ্যানগুলো পথে পথে নানা ধরনের বাধার মুখে পড়ে। এ ছাড়া ফেরিতে দু-তিনদিন বিলম্ব এবং লাইনে পড়ে থাকতে হয়েছে এমন ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

সবোর্পরি আমরা বলতে চাই, বই নিয়ে কোনো জটিলতা বা সংকট সৃষ্টি কাম্য নয়। এখন যত দ্রæত সম্ভব সাবির্ক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে সংকট নিরসনে কাযর্কর উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার সামগ্রিক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ করা এবং যেসব অভিযোগ সামনে এসেছে তা আন্তরিকভাবে খতিয়ে দেখা। বই নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনের লক্ষ্যে যত দ্রæত সম্ভব প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিশ্চিত হবে এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<22756 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1