বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
নিবার্চন হোক অংশগ্রহণমূলক

গণতন্ত্রকে শক্তিশালী টেকসই করতে গেলে সুষ্ঠু নিবার্চনের কোনো বিকল্প নেই। এমন ধরনের সুষ্ঠু নিবার্চন প্রয়োজন যে নিবার্চনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রাথীর্রা সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে যাকে বলা হয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সবার ক্ষেত্রে সমান সুযোগের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্বমূলক নিবার্চনই হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উন্নতম দিক।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চনের দাবি এখন রাজনীতিতে মূল আলোচনার বিষয়। বিশেষ করে তত্ত¡াবধায়ক সরকারব্যবস্থা উচ্চ আদালত কতৃর্ক বাতিল হওয়ার পর থেকে এ দাবি রাজনীতিতে চলে এসেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংলাপ অতীতেও হয়েছে কিন্তু এর সুফল বয়ে আনেনি। ইতোমধ্যে সংলাপ শেষ হয়েছে। নিবার্চন কমিশনার নিবার্চনের তারিখও ঘোষণা করেছেন। তবে দেশেবাসী প্রত্যাশা করে একটি সুষ্ঠু নিবার্চন।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারাসহ কয়েকটি রাজনৈতিক জোট ও দল সংলাপে অংশগ্রহণ করে। অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে। প্রধানমন্ত্রী তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘দিন বদল হচ্ছে, এটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে’। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে মৌন সমথর্নও করেন। তাদের দাবি বেগম জিয়ার মুক্তি, নিবার্চনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, সংসদ ভেঙে দেয়াসহ সাত দফা দাবি পেশ করেন। প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের আলোকে দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার বহিভ‚র্ত দাবিগুলো তিনি পূরণ করতে পারবেন না একথাও জানিয়ে দেন। ড. কামাল হোসেন সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে আলোচনা ভালো হয়েছে বললেও বিএনপি নেতা মিজার্ ফখরুল ইসলাম সন্তষ্ট নয়। তবে আমরা মনে করি এতদিন সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব যা ছিল তার পরিবতর্ন হয়েছে। এমনকি যাদের সঙ্গে মুখ দেখাদেখি পযর্ন্ত বন্ধ ছিল সংলাপে সেই দূরত্ব কমিয়ে এসেছে। দীঘর্ সময় পর এক টেবিলে রাজনৈতিক নেতারাÑ এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ। তবে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলছেন, সংলাপে তাদের কোনো দাবি পূরণ হয়নি। তবুও তারা সরকারের কমর্কাÐকে পযের্বক্ষণ ও আবারও আলোচনায় বসতে চান। এ কারণে তারা তফশিল ঘোষণা না করতে বারণ করে। কিন্তু নিবার্চন কমিশন তফশিল ঘোষণাকে শাসক দল, জাপা, জাসদ (ইনু) সাধুবাদ জানালেও ঐক্যফ্রন্টসহ কিছু রাজনৈতিক দল নিবার্চন কমিশন ও সরকারের সমালোচনা করে। ইতোমধ্যে বিভাগীয় শহরে লংমাচর্, সমাবেশ শুরু করেছে। জন সমথর্ন আদায় ও আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য নেতাকমীের্দর উজ্জীবিত করছেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাত দফার মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগ স্বাধীন, যে মামলায় তিনি দÐিত হয়েছেন সে মামলা করেছেন সেনা সমথির্ত তত্ত¡াবধায়ক সরকার।’ প্রধানমন্ত্রীর এ যুক্তি হয়তো সংগত। কারণ বিগত সেনা সমথির্ত সরকারই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। কিন্তু তার পরও কথা থেকে যায়। আইন সব সময় একই গতিতে চলে না, চলেনি। ‘আইন সবার জন্য সমান’- সুশাসনের এই মমর্বাণীটি প্রায়োগিক দিক থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের দেশে দৃশ্যমান নয়, এমন নজির রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, বিগত নিবার্চনে বিএনপিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বতর্মান সরকারের পক্ষ থেকে দেয়ার কথা বললেও তখন বিএনপি জোট তা মেনে নেয়নি। তাই সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সে সময় একটি নিবার্চন করে সরকার। বিএনপি জোট সে নিবার্চনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। তারা হয়তো ভুল বুঝতে পেরে তাদের নেত্রী জেলে থাকা অবস্থায় সংলাপে অংশগ্রহণ করে, এটা প্রমাণ করে বিএনপি নিবার্চনে অংশগ্রহণে আগ্রহী। তাই সুষ্ঠু নিবার্চনের পরিবেশ সরকারকেই তৈরি করতে হবে। সরকারও চাচ্ছে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নিবার্চন। এ বিষয়ে সরকার আন্তরিক না হলে সংলাপের প্রস্তাব নাকচ করতেন। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো কোনো দাবি সরকারের এখতিয়ারের বাইরে বললেও তিনিও চান একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নিবার্চন। বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা ও সাতটি প্রস্তাব সংলাপে উত্থাপন করেন। সভা সমাবেশ করার অধিকার, নিবার্চনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া বা নিষ্ক্রিয় করা, নিবার্চনকালীন সরকার গঠন, সেনা মোতায়েন ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রী নিবার্চনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোসর্ হিসেবে থাকবে এবং বিকল্পধারা তথা যুক্তফ্রন্টের কিছু দাবি মেনে নেবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন। সংলাপ রাজনীতির একটি অংশে পরিণত হয়েছে। আগামী নিবার্চন কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায় সে লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলাপ-আলোচনা সংলাপ এটাকে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকর, সুশীল সমাজ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। বিরোধী জোট বা দল অবাধে সমাবেশ করতে পারবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী সংলাপে অংশগ্রহণকারী জোটকে জানিয়েছেন। গায়েবি মামলার কাগজ ও নথিপত্র প্রধানমন্ত্রী চাইলে মিজার্ ফখরুল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেন। প্রধানমন্ত্রী অবাধ, সুষ্ঠু, কারচুপিবিহীন নিবার্চনের নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, ‘আপনারা নিবার্চনে অংশগ্রহণ করুন।’ আমরাও মনে করি নিবার্চনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল চাই যে দলটি সংসদের ভিতর ও বাইরে গঠনমূলক সমালোচনার দ্বারা সংসদকে সত্যিকার অথের্ একটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ৪৬ বছর পাড়ি দিয়েছে। এ দীঘর্ সময় আমাদের অজর্ন অনেক। বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য রয়েছে। অথৈর্নতিক সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, রাজনৈতিক হানাহনি, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মধ্যে ও বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ধরে রাখা একেবারে হালকা করে দেখার বিষয় নয়। প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হওয়ায় জনগণের মাথা পিছু আয় বেড়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, বাংলাদেশ এখন নিম্নমধ্য আয় থেকে মধ্য আয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজাভর্ বেড়েছে, শিক্ষা হার বাড়ছে। নারী শিক্ষার প্রসার ঘটছে, কৃষি উৎপাদন বেড়েছে ও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। আথির্ক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে। এ সবই সম্ভব হয়েছে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে। বাংলাদেশ কখনো কোনো কালে রাজনৈতিক বিবাদ ছাড়া রাজনীতি চলেনি। যখন যে দল বা জোটই ক্ষমতায় এসেছে নানা দ্ব›দ্ব সংঘাতে, ঝগড়া-বিবাদ রাজনৈতিক হানাহানিতে শাসক দলকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হয়েছে। এরকম নানা প্রতিক‚লতার মধ্যেও বাংলাদেশ এখন অথৈর্নতিক উন্নয়নের সূচকে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সন্ত্রাস ও দুনীির্ত। তাই সন্ত্রাস ও দুনীির্তমুক্ত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবের্ক্ষত্রে সুশাসন ও প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই আমাদের মূল লক্ষ্য। কারণ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমতাভিত্তিক অথৈর্নতিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। আর প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়তে গেলে অবশ্যই যে কোনো নিবার্চন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হওয়া যাতে করে জনমতের প্রতিফলন ঘটে। আর সমাজের সবর্স্তরের সুশাসনের জন্য প্রয়োজন অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নিবার্চন।

অনেক চড়াইউতরাই পেরিয়ে বতর্মানে বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু আছে তা শত ভাগ স্বচ্ছ বলা যাবে না। তবুও যে গণতন্ত্রের ওপর রাষ্ট্র দঁাড়িয়ে তাকে আরও কীভাবে পরিশীলিত করা যায় কীভাবে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটানো যায় কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু নিবার্চন অনুষ্ঠিত করা যায় সেটাই বড় প্রশ্ন। কেননা একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় পরিচ্ছন্ন ও সুষ্ঠু নিবার্চন অপরিহাযর্ এর ব্যত্যয় হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না এবং অযোগ্য অসৎ দুনীির্তবাজরা জয়ী হলে সমাজে দুবৃত্তার্য়ন বাড়বে। সবের্ক্ষত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা দুরূহ হয়ে পড়বে। একটি টেকসই উন্নত গণতন্ত্র চাই যা একটি রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে। তবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে সৎ যোগ্য নেতৃত্বকে নিবার্চনের মাধ্যমে ভোটারদের বেছে নেয়া উচিত। একটি অংশগ্রহণমূলক নিবার্চনের মাধ্যমে যখন সৎ যোগ্য নেতৃত্বকে নিবাির্চত করার সুযোগ পাবে ভোটাররা তখন গণতন্ত্র সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। সামনে নিবার্চন তাই রাজনীতিবিদদের উচিত হবে সৎ যোগ্য ও সজ্জন ব্যক্তিকে নমিনেশন দেয়া যাতে জনগণ তাদের পছন্দের প্রাথীের্ক বেছে নিতে পারে। বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অথর্নীতিবিদ ড. কৌশিক বসু এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘গণতন্ত্রই সবচেয়ে কাক্সিক্ষত সরকার ব্যবস্থা’ তার মতে উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের প্রয়োজন। তাই গণতন্ত্রকে অব্যাহত রাখতে হবে। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা গেলে গণতন্ত্র ধরে রাখা যায়। তাই অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নিবার্চন গণতন্ত্রের পূবর্শতর্। গণতন্ত্র এখন সারা বিশ্বে উন্নত শাসনব্যবস্থার মডেল ও চলমান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়াকে শক্ত ভিত্তির ওপর দঁাড় করানো শক্তিশালী করা শুধু সরকারি দলেরই কাজ নয় এর বাইরে যে, প্রশাসনব্যবস্থা রয়েছে এবং বিরোধী জোট বা রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের সমন্বিত উদোগ ও প্রচেষ্টার প্রয়োজন। আমরা আশা করব সামনে নিবার্চনের মাধ্যমে আমাদের গণতন্ত্র যেমন আরও পরিশীলিত হবে তেমনি একটি শক্তিশালী বিরোধী দল পাব। কারণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দলকে ‘ছায়া সরকার’ বলা হয়।

গণতন্ত্রকে শক্তিশালী টেকসই করতে গেলে সুষ্ঠু নিবার্চনের কোনো বিকল্প নেই। এমন ধরনের সুষ্ঠু নিবার্চন প্রয়োজন যে নিবার্চনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রাথীর্রা সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে যাকে বলা হয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সবার ক্ষেত্রে সমান সুযোগের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্বমূলক নিবার্চনই হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উন্নতম দিক।

এখানে নিবার্চন কমিশনের গুরুত্বপূণর্ ভ‚মিকা রয়েছে। কারণ নিবার্চন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নিবার্চন জাতিকে উপহার দেয়া। মূলত নিবার্চন কমিশনের পক্ষপাতহীন আচরণই গণতন্ত্রকে টেকসই করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অজের্ন সক্ষম। সাধারণ মানুষের বা ভোটারদের ভোট নিয়ে কেউ যদি ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করে তাহলে সেটা হবে গণতন্ত্রের জন্য অশুভ ও সুষ্ঠু নিবার্চনের ক্ষেত্রে বড় বাধা। নিবার্চন গ্রহণযোগ্য হলে তা হবে দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য শুভ। তাই আগামী নিবার্চন সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। আগামী নিবার্চনে যদি সাধারণ ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রাথীের্ক শংকাহীনভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পায় এবং কোনো প্রকার বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি না হয় এ ব্যাপারে বতর্মান সরকার ও নিবার্চন কমিশনকে অবশ্যই নজরদারিী বাড়াতে হবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নিবার্চনের স্বাথের্ রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি ঐকমত্যে পেঁৗছতে হবে। এ ক্ষেত্রে মহাজোটের দায়-দায়িত্ব বেশি। সংলাপ বন্ধ হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনা চলতে পারে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বড় দুই দল জোট বা ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে একটি সমঝোতা হওয়া দরকার একটি অংশগ্রহণমূলক নিবার্চনের স্বাথের্। এর বিপরীত হলে এর ফল শুভ হবে না। রাজনীতিবিদদের মন-মানসিকতার পরিবতর্ন দরকার।

যাহোক, রাজনীতিবিদদের মনে রাখা দরকার দেশটা ষোল কোটি মানুষের, এ ষোল কোটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা চাই। চাই সুস্থ রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাক এটাও চাই। সময়ের পরিবতের্ন, প্রয়োজনে, ইতিহাসের গতিধারা বারবার পাল্টালেও উত্তম ও কীতির্মান হওয়ার সুযোগ ইতিহাস বারবার কাউকে দেয় না। কাজেই শান্তির পথ অগ্রগতির পথই আমাদের কাম্য।

মোহাম্মদ নজাবত আলী লেখক: শিক্ষক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<22632 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1