শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
মৃতু্য গুজবের অবসান

সব জল্পনা উড়িয়ে ২০ দিন পর প্রকাশ্যে কিম

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ মে ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ০৩ মে ২০২০, ১০:৪১
সার কারখানার উদ্বোধন করছেন কিম

বিশ্ব পরিমন্ডলে ছড়ানো সব ধরনের 'জল্পনা' আর 'গুঞ্জন'কে উড়িয়ে দিয়ে প্রকাশ্যে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন। তাকে ঘিরে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ দিনের 'ঘোর' ভেঙে শুক্রবার কিম একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। এর একদিন পর শনিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর খবরে এমনটি বলা হয়েছে। সংবাদসূত্র :বিবিসি কেসিএনএ জানায়, কিম ফিতা কেটে একটি সার কারখানার উদ্বোধন করেছেন। তাকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসতে দেখে 'উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে' উপস্থিত লোকজন। এ সময় তার সঙ্গে রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বোন কিম ইয়ো-জংও ছিলেন। গত ১২ এপ্রিলের পর থেকে কিমকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না। দাদা সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম ইল-সাংয়ের ১৫ এপ্রিলের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কিম অনুপস্থিত থাকলে গোটা বিশ্বের নজরে আসে বিষয়টি। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের গুঞ্জন এবং গুজব ছড়াতে থাকে। পক্ষত্যাগী উত্তর কোরীয়দের একটি ওয়েবসাইটে হৃদপিন্ডের অপারেশনের পর কিম অসুস্থ থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হলে ওই ওয়েবসাইটের সূত্রেই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম 'কিম গুরুতর অসুস্থ', 'অচেতন হয়ে আছেন' বলে খবর প্রকাশ করে। এ বিষয়ে গভীর নজর রাখা হচ্ছে, মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের এমন মন্তব্য গণমাধ্যমের জল্পনাকে আরও উসকে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনের তথ্যে 'অনাস্থা' জানালেও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে কিমের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায়, কিমের মৃতু্যর পর রাষ্ট্রের দায়িত্বে তার বোন ইয়ো-জং আসছেন বলেও খবর প্রচার হতে থাকে। যদিও এতসব গুঞ্জনের বিষয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কিছুই বলছিল না। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায়, এপ্রিলের শুরুতে এক দুর্গম গ্রামীণ এলাকায় সফরে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান কিম। এরপর তার হার্টে সার্জারির প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া গত আগস্ট থেকে কিম হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। 'পায়েকতু' নামের ওই পাহাড়ি এলাকা থেকে ঘুরে আসার পর থেকেই তার সেই সমস্যা আরও প্রকট হয়। সেজন্য চিকিৎসার স্বার্থে বা করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে তিনি আড়ালে গিয়ে থাকতে পারেন। কিমের মৃতু্যর খবর ছড়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমি মনে করি, এই খবরটি মিথ্যা।' এতদিনের 'ঘোর' ভেঙে একটি অনুষ্ঠানে কিমের যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের কর্মকর্তারা অবশ্য শুরু থেকেই উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার এক মন্ত্রী গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের এক শুনানিতে বলেন, করোনাভাইরাসজনিত উদ্বেগ থেকেই কিম লোকচক্ষুর আড়ালে আছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে