শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ভারতে লকডাউন

বাড়ির পথে ৩ দিন হাঁটার পর বালিকার মৃতু্য

যাযাদি ডেস্ক
  ২২ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২২ এপ্রিল ২০২০, ১১:২৪
জামলো মাকদাম

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্য থেকে ছত্তিশগড় রাজ্যে নিজ জেলা বিজাপুরে ফিরতে হেঁটে দেড়শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিল ১২ বছরের বালিকা জামলো মাকদাম। কিন্তু বাড়ি থেকে ঘণ্টাখানেক দূরে থাকতেই মৃতু্য এসে নিয়ে যায় তাকে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি বিশ্বজুড়ে মহামারি সৃষ্টি করা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ভারতজুড়ে চার সপ্তাহ ধরে লকডাউন চলছে, যার মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। লকডাউনের কারণে দেশটিতে শিল্প-কারখানা, দোকানপাটের পাশাপাশি ট্রেন, বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহণও বন্ধ আছে। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে ভারতের পরিযায়ী শ্রমিক, দরিদ্র গ্রামবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলো। তেলেঙ্গানার এক গ্রামের একটি মরিচ খেতের কর্মী জামলো ১৫ এপ্রিল বাড়ির উদ্দেশে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া শুরু করেছিল। সে একা ছিল না। তার সঙ্গে ওই মরিচ খেতে কাজ করা নিজ এলাকার আরও ১১ জন সঙ্গীও ছিল। পরিবারের জন্য একটু বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করতে সেখানে গিয়েছিল তারা। মহাসড়ক এড়িয়ে বনপথে সোজা বাড়ির দিকে চলতে শুরু করেছিল তারা। তিন দিন হেঁটে শনিবার বিকালে বাড়ির খুব কাছে এসেও আর পারেনি জামলো, তীব্র পেটব্যথা নিয়ে পথেই মৃতু্যর কোলে ঢলে পড়ে। এ সময় বাড়ি থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে ছিল সে। মারা যাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স এসে তার প্রাণহীন দেহটি বাড়ি পৌঁছে দেয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস ছিল না তার, তীব্র অপুষ্টি ও পানি শূন্যতার কারণে মৃতু্য হয়েছে। বিজাপুরের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা বিআর পূজারি বলেন, তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। সম্ভবত তার দেহে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতাও তৈরি হয়েছিল। জামলোর বাবা আনদোরাম মাকদাম বলেন, তার মেয়ে দুই মাস ধরে তেলেঙ্গানায় কাজ করছিল। তিনি বলেন, সে তিন দিন ধরে হেঁটেছিল। পেটব্যথা ও বমি হচ্ছিল। এদিকে, সঙ্গীরা জানায়, ঠিকমতো খাবার খাচ্ছিল না জামলো। এ ঘটনার পর জামলোর পরিবারকে এক লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ছত্তিশগড় রাজ্য সরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে