আজকের যায়যায়দিন

সৌদি আরবের রেস্তোরাঁগুলোতে নারী ও পুরুষের প্রবেশের পৃথক ব্যবস্থা রাখার আর দরকার হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এখন থেকে একসঙ্গেই রেস্তোরাঁয় ঢুকতে পারবে নারী-পুরুষ। সংবাদসূত্র : বিবিসি

এতদিন দেশটির রেস্তোরাঁগুলোতে নারী ও পরিবারগুলোর জন্য একটি এবং পুরুষদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। তবে বাস্তবে অনেক রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেতে এ ধরনের অন্য স্থানগুলোতে এই বিধিনিষেধ অনেকটা শিথিল হয়ে উঠেছিল; বিধিনিষেধের প্রয়োগ তেমন একটা করা হচ্ছিল না।

রোববার সৌদি আরবের পৌর মন্ত্রণালয় জানায়, রেস্তোরাঁগুলোকে আর নারী-পুরুষের জন্য পৃথক প্রবেশপথ ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে না। এক্ষেত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। স্কুল ও হাসপাতালগুলোয় নারী ও পুরুষের প্রবেশপথ ও থাকার আলাদা বন্দোবস্ত নিয়ে কোনো পরিবর্তন আছে কি-না তা কর্তৃপক্ষ জানায়নি।

এতদিন পর্যন্ত রেস্তোরাঁর ভেতরে নারী ও পরিবারগুলোর জন্য পৃথক বসার ব্যবস্থা ছিল। আর এই অংশটি পুরুষদের অংশ থেকে পর্দা দিয়ে পৃথক করা ছিল।

ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা / হামলায় ব্যাপক ক্ষতি, গোপন করছে ইসরাইল!

২০১৭ সালে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সৌদি আরবের যুবরাজ করার পর থেকে তিনি দেশটির কট্টর রক্ষণশীল সমাজকে সহজ করার উদ্যোগ নেন। তারপর থেকে দেশটিতে ধারাবাহিকভাবে সমাজ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের প্রথমদিকে রাজকীয় এক ফরমানে কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই সৌদি নারীদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়।

এর আগে ২০১৮ সালে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

তবে এসব পদক্ষেপের পাশাপাশি ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমনপীড়ন আরও কঠোর হয় দেশটিতে। নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা প্রখ্যাত কয়েকজন নারী আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।