আজকের যায়যায়দিন

যাযাদি ডেস্ক

ইরানে পেট্রলের ৫০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি ও রেশনের ঘোষণার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভে এরই মধ্যে একজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। তবে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুলস্নাহ আলি খামেনি বলেছেন, তিনি সরকারি সিদ্ধান্তের পক্ষে। বিদেশি শত্রম্নরা এই বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে বলে দাবি তার। সংবাদসূত্র : পার্স টুডে, আল-জাজিরা

রোববার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সরকারি সিদ্ধান্তে তার সমর্থনের কথা জানিয়ে বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে ইরানের যেসব শত্রম্ন ও বিরোধী রয়েছে, তারাই চক্রান্ত করে এই অন্তর্ঘাতমূলক বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছেন। তার মন্তব্য, যারা বিক্ষোভের সময় সরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা ইরানের বিরোধী পক্ষের লোক। তারা ইরানের বিরুদ্ধে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন উসকানি দিচ্ছে। তবে দেশে ও দেশের বাইরে এই বিরোধী শক্তিগুলো কারা, তার বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

খামেনি বলেন, 'সিদ্ধান্তের (পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধির) বিরুদ্ধে কিছু মানুষ যে অসন্তুষ্ট হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম ও অগ্নিসংযোগ আমাদের সাধারণ জনতা করেনি, করেছে ইরানবিরোধী গুন্ডারা। বিরোধীরা সবসময় এসব অন্তর্ঘাতে সমর্থন জুগিয়েছে এবং তারা উসকানি দিয়েই যাবে।' খামেনি দাবি করেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করেই পেট্রলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তকে সমর্থন করা উচিত।

নিহত ১৮ / ইউক্রেনে দফায় দফায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয় গত শুক্রবার। তারপর সেদিন রাত থেকেই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে দেশটির মানুষ। বিভিন্ন শহর ও শহরতলিতে সড়ক অবরোধ করে যানবাহনসহ সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগের

ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।