শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কর্ণাটকে চলছে টাকার খেলা অভিযোগ ওড়াল বিজেপি

যাযাদি ডেস্ক
  ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী ভালোই জানেন সংখ্যালঘু হয়ে গেছে তার সরকার। আজ না হোক দুদিন পরও আস্থা ভোট হলে পরাজয় অনিবার্য। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে ১০৫ জন বিধায়কের সমর্থন লাগলেও তাদের সঙ্গে রয়েছেন ১০০ জন। কিন্তু 'টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনে' সরকার গড়ার জন্য যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিজেপি, বিধানসভায় আলোচনাকে দীর্ঘ করে সে বিষয়টি প্রচারের আলোয় আনার কৌশল নিয়েছে জেডিএস ও কংগ্রেস। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি

শাসক দলের বিধায়করা সবিস্তার বর্ণনা করে চলেছেন, কীভাবে তাদের কোটি কোটি টাকার লোভ দেখিয়েছেন বিজেপির নেতারা। এমনকি এখনো আস্থা ভোটের বিরুদ্ধে রায় দেয়ার জন্য তাদের অর্থের লোভ দেখানো হচ্ছে। বিজেপি তার বিরোধিতাও করে উঠতে পারছে না, কারণ তাতে কালক্ষেপণ হয়ে আরও পিছিয়ে যাবে আস্থা ভোট।

এর মধ্যেই বিতর্ক উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের পরপর দুটি নির্দেশ নিয়ে। প্রথমটিতে রাজ্যপাল গত শুক্রবার বেলা দেড়টার মধ্যে আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্পিকার কেআর রমেশ কুমার তা খারিজ করে আস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চালিয়ে যান। বিকালে দ্বিতীয় চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল বাজুভাই বালার নির্দেশ, শুক্রবারের মধ্যেই আস্থা ভোট নিয়ে ফয়সালা করে ফেলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিউত্তরে বলেন, 'রাজ্যপালের কেন এত তাড়া? তিনি অভিযোগ করেন, 'ঘোড়া (বিধায়ক) কেনাবেচার খবর পাচ্ছি। সেটা যে বিজেপি করছে, সেই খবরও তাহলে তার কাছে রয়েছে! তাহলে কেন আস্থা ভোটে সময়সীমা বাঁধছেন?'

কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার দাবি, রাজ্যপালকে ব্যবহার করছে বিজেপি। দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপেই আস্থা ভোটের সময়সীমা বাঁধছেন রাজ্যপাল। শনিবার দুপুরে বিধানসভায় বিজেপি রাজ্যপালের নির্দেশের কথা তুলতেই কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির উপক্রম হয়। স্স্নোগান ওঠে 'রাজ্যপাল দূর হটো!' এরপর স্পিকার অধিবেশন মুলতবি করে দেয়ায় বিপাকে পড়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেন, 'রাজ্যপালের নিন্দা করছি না। কিন্তু বিধানসভা কীভাবে চলবে, রাজ্যপাল কি তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন?' এ নিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করেছেন।

এদিকে, বিজেপি মুখে বলছে, আস্থা ভোট পেছানো নিয়ে তারা আদৌ ভাবছেন না। আজ না হোক, দু-এক সপ্তাহ পর সেটা হবে। আর তার ফল নিয়েও সন্দেহের অবকাশ নেই। কারণ ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনার এত অভিযোগ যে উঠছে? বিজেপি বিধায়ক দলের নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, 'মানুষ বিশ্বাস করে না। দলের নেতাদের ওপর আস্থা হারিয়েই শাসক দলের বিধায়করা বিজেপিতে আসতে চেয়েছেন। মোদি-শাহের ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের প্রতি তারা আস্থা প্রকাশ করেছেন। কেউ টাকা দিয়ে কিনে আনেনি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<59148 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1