নরেন্দ্র মোদির নতুন সরকার ভারতের কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসার পর কয়েকটি রাজ্যে রাজ্যপাল রদবদলের সম্ভাবনার কথা ভাবা হচ্ছে বলে বিজেপির একটি সূত্র দাবি করেছে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যপাল বদলের চিন্তা থেকে তাদের সঙ্গে কথা বলাও শুরু করে দিয়েছেন। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ
অসুস্থতার কারণে অরুণ জেটলি নতুন মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে চাননি। কিন্তু সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মতো অভিজ্ঞ নেত্রীও যখন মন্ত্রিসভায় ডাক পাননি, সেই সময় থেকেই তার ঠিকানা রাজভবনে হবে বলে দিলিস্নতে জল্পনা শুরু হয়। কিন্তু তার নাম মিডিয়ায় আসায় সুষমা টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যপাল হচ্ছেন না। লোকসভার সাবেক স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে এবার প্রার্থী করা হয়নি। বিজেপির এই নেত্রীকেও রাজ্যপাল করা হতে পারে বলেও জল্পনা চলছে। শুধু রাজনীতিকই নন, কিছু আমলাকেও রাজ্যপাল করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ ও রাজস্ব সচিব হিসেবে কাজ করা হসমুখ আঢ়িয়ার নাম নিয়েও জল্পনা চলছে। 'নীতি আয়োগ'র সিইও অমিতাভ কান্তের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই। জল্পনা চলছে, তাকে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সচিব করার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে নৃপেন্দ্র মিশ্রেরও কি পরবর্তী ঠিকানা হবে কোনো রাজভবন?
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের মতে, এখনই চূড়ান্ত কোনো নাম স্থির না হলেও অনেক রাজ্যের রাজ্যপাল চার বছরের বেশি সময় কাটিয়ে দিয়েছেন। যেমন, পশ্চিমবঙ্গের কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, উত্তরপ্রদেশের রাম নাইক, গোয়ায় মৃদুলা সিন্?হা, গুজরাটে ওম প্রকাশ কোহলি, ঝাড়খন্ডের দ্রৌপদী মুর্মু, কর্ণাটকের বিজুভাই বালা, কেরালার পি সদাশিবম, মহারাষ্ট্রে বিদ্যাসাগর রাও, রাজস্থানে কল্যাণ সিং, নাগাল্যান্ডের পদ্মনাভ আচার্য। এ ছাড়া কিছু রাজ্যের রাজ্যপাল একসঙ্গে একাধিক রাজ্য সামলাচ্ছেন। যেমন তেলঙ্গানায় একজন পূর্ণ মেয়াদের রাজ্যপাল প্রয়োজন। ইএসএল নরসিংহন অন্ধ্রের পাশাপাশি তেলঙ্গানার দায়িত্বে রয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেলও ছত্তিশগড়ের ভার সামলাচ্ছেন। ফলে অবিলম্বে দুটি রাজ্যের জন্য রাজ্যপাল প্রয়োজন।
বিজেপির একটি সূত্রের মতে, পাঁচ বছর আগে নরেন্দ্র মোদি যখন প্রথমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেই সময় রাজ্যে-রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের নিযুক্ত রাজ্যপাল ছিলেন। ফলে তাদের অনেককে সরানোর তাগিদ ছিল। এবার সেটি নেই। সে সময় শীলা দীক্ষিত থেকে কে শঙ্কর নারায়ণনের মতো রাজ্যপালদের ওপর চাপ বাড়ানো হয়। শঙ্কর নারায়ণ সরতে রাজি ছিলেন না বলে তাকে মহারাষ্ট্র থেকে মিজোরামে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই রাজ্যে যেতে রাজি ছিলেন না তিনি। কেরালার রাজ্যপাল পদ থেকে শীলাকেও সরে যেতে বলা হয়। বেশ কয়েকদিন টালবাহানার পর অবশেষে তিনিও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে একে একে রাজ্যপালদের সঙ্গে বৈঠকও শুরু করে দিয়েছেন অমিত শাহ।