শ্রীলংকায় ইস্টার সানডের সকালে ৩২১ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া হামলায় যে ইসলামি চরমপন্থি দলটি জড়িত বলে দাবি করেছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা; সেই ন্যাশনাল তাওহিদ জামায়াত (এনটিজে) দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল ভারতের তামিলনাড়ুতে। সংবাদসূত্র : জি-নিউজ, ওয়ান ইনডিয়া
মঙ্গলবারও লংকান প্রতিরক্ষামন্ত্রী পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তৃতায় বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে তারা দেখতে পেয়েছেন, হামলার সঙ্গে ন্যাশনাল তাওহিদ জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তার দাবি, গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্ট চার্চের দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জনের প্রাণহানির ঘটনার প্রতিশোধ নিতে কলম্বোতে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি পার্লামেন্টে তিনি সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে এনটিজের নামও প্রকাশ করেছেন।
হামলার পর থেকে ঘুরে ফিরে আসছে এই সংগঠনের নাম। যার সঙ্গে জুড়ে আছে ভারত এবং তামিলনাড়ু।
এনটিজের আঁতুরঘর তামিলনাড়ু: ২০০৪ সালের ১৬ মে। ওইদিন ভারতের তামিলনাড়ুতে জন্ম ন্যাশনাল তাওহিদ জামায়াতের। ভারত ও শ্রীলংকাসহ এখন ১৭টি দেশে দলটির শাখা রয়েছে। গত বছর চেন্নাইয়ে এক মার্কিন নাগরিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল এই সংগঠনের বিরুদ্ধে।
শ্রীলংকায়ও এই সংগঠনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। দুই বছর আগে বৌদ্ধ ধর্মের বিরুদ্ধে মন্তব্যের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল শ্রীলংকা ন্যাশনাল তাওহিদ জামায়াতের সম্পাদক আবদুল রাজ্জাককে। গত বছর বৌদ্ধ স্থাপত্য ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে।
শ্রীলংকায় সাত শতাংশের কিছু বেশি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বসবাস। অধিকাংশই সুন্নি। ভাষাগত, জাতিগত বিদ্বেষের ইতিহাস শ্রীলংকায় পুরনো। কিন্তু ধর্মীয় সহিংসতার নজির সে দেশে খুব একটা ছিল না।