ভারতে ‘হ্যাশট্যাগ মি-টু’ আন্দোলনের প্রথম বলি হয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। নারীদের ক্রমাগত আন্দোলনের মুখে অবশেষে বুধবার পদত্যাগ করেছেন তিনি। আকবর যখন সংবাদপত্র ‘দি এশিয়ান এজ’র সম্পাদক ছিলেন, সে সময় নারী সাংবাদিকদের যৌন নিযার্তন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর আগে তিনি পদত্যাগে অস্বীকার করেছিলেন এবং প্রিয়া রামানি নামে যে নারী সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, তার বিরুদ্ধে গত সোমবার মানহানির মামলাও করেন। সংবাদসূত্র : টাইমস অব ইনডিয়া, পাসর্ টুডে, এনডিটিভি
বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কমপক্ষে ১৬ নারী যৌন নিযার্তনের অভিযোগ করেন। আকবর যখন সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন, সে সময় অনেক নারী সাংবাদিককে যৌন নিযার্তন করেছেন বলে ভুক্তভোগী নারীরা দাবি করেন। আকবর অবশ্য ওই দাবিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
এর আগে, আকবরের পদত্যাগ দাবি করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে চিঠি লেখেন নারী সাংবাদিকরা। বুধবার এই চিঠিটি পাঠায় নারী সাংবাদিকদের একটি সংগঠন। ‘ফাউন্ডেশন অফ মিডিয়া অ্যান্ড ব্রিহান মুম্বাই ইউনিয়ন অব জানাির্লস্ট’ নামে ওই সংগঠন সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের দায়ের করা মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে। ওই চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘ক্ষমতাশালীরা মানহানির মামলা করে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করে থাকেন। এটা আসলে নারীদের চুপ করিয়ে দেয়ার প্রয়াস মাত্র।’
এদিন আরও ২০ নারী সাংবাদিককে পাশে পেয়েছেন প্রিয়া রামানি। তারা সবাই প্রিয়া রামানির সহকমীর্ ছিলেন। তারা ‘দি এশিয়ান এজ’-এ কাজ করেছেন। এই ২০ নারী সাংবাদিকদের কেউ এখন ‘মুম্বাই মিরর’, ‘ডেকান ক্রনিক্যাল’ বা অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত। এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতিও দিয়েছেন ওই ২০ নারী সাংবাদিক। সেই যৌথ বিবৃতি শোনার জন্য বিচারককে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, বিজেপি নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়কদের হাত থেকে মেয়েদের রক্ষা করতে হবে। মঙ্গলবার বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে দলীয় এক জনসমাবেশে তিনি ওই মন্তব্য করেন।