শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
সাক্ষাৎকার

এখন মন খুলে চর্চা করতে পারছি

অভিনেতা মীর সাব্বির। ধারাবাহিক নাটকে তার অবস্থান কদর করার মতোই। পাশাপাশি নির্মাতা হিসেবেও তার সুনাম রয়েছে। এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক খন্ড নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। তবে করোনাভাইরাসের কারণে শুটিং বন্ধ থাকায় থাকছেন বাসাতেই। সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে গল্প করে। সমসাময়িক নানা বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- রায়হান রহমান
নতুনধারা
  ১৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

মন খুলে চর্চা... হোম কোয়ারেন্টিনে আছি। ঘরে থাকলেও কাজ কিন্তু চলছে। বিষয়টা একটু খুলেই বলি, শুটিংয়ে কেবল অভিনয় করাটাই কিন্তু মুখ্য উদ্দেশ্য না। চরিত্র নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়, গল্প-কবিতা সম্বন্ধে জানতে হয়। এখন বাসায় বসে সে কাজই করছি। আগে শুটিং ব্যস্ততার জন্য এসব করতে কম সময় পেতাম, এখন মন খুলে চর্চাটা করতে পারছি। এছাড়া আগে ছবি দেখার সময় হতো না, এখন সময় নিয়ে দেখতে পারছি। গান শুনছি, পরিবারের সঙ্গে গল্প করছি। নানাভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছি। এর সঙ্গে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সব ধরনের সচেতনতা গ্রহণ করেছি। এখন সবারই উচিত ঘরে থাকা, সচেতন থাকা। লেখালেখি করা... অনেকেই জানে, আমি অভিনয়ের পাশাপাশি চিত্রনাট্য লিখি। এই অবসরে এ কাজটিও এগিয়েছে। বেশ কয়েকটি খন্ড নাটকের চিত্রনাট্য শেষ করেছি। ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য নিয়েও অনেকখানি এগিয়ে গেছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সামনে আবারও নাটক নির্মাণ করব। সেটার কাজও এগিয়ে রাখছি। সত্যি বলতে আগে এত সময় পেতাম না। এখন যেহেতু সময় পেয়েছি, তার স্বাদ-ব্যবহার করছি। আটকে গেছে কাজ... এই সময়টায় কাজের জো বেশি থাকে। নাট্যপাড়ায় এ সময়টাকে মৌসুম বলেও ডাকা হয়। এরই মধ্যে ঈদ-নাটকের কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। করোনার কারণে শুটিং বন্ধ না হলে হয়তো আট থেকে দশটি নাটকের কাজ শেষ হয়ে যেত। পরিস্থিতি দ্রম্নত স্বাভাবিক না হলে, সংখ্যাটা আরও বেড়ে যাবে। ঈদের পরেও আমার বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। বেশির ভাগ পরিচালককে সময়ও দিয়ে রেখেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, তার কিছুই হবে না। শিডিউল জট... করোনাভাইরাসের প্রকৌপে আটকে থাকা কাজের জন্য একটা শিডিউল জট সবাইকে ফেস করতে হবে। শুধু যে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা পড়বে তা-ও নয়, পরিচালকরাও শিডিউল জটে পড়বে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবাইকে কথাবার্তা বলে বিষয়গুলো ম্যানেজ করতে হবে। এছাড়াতো কোনো উপায় নেই। রাতজাগা ফুল... 'রাতজাগা ফুল' চলচ্চিত্রটি আমার স্বপ্নের একটি প্রজেক্ট ছিল। অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম একটি চলচ্চিত্র বানাব। অবশেষে সে কাজ প্রায় শেষ। আর এক-দুই দিনের শুটিং হলেই পুরো কাজটি শেষ হয়ে যাবে। এরপর শুরু হবে কালার গ্রিডিং ও ডাবিংয়ের কাজ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে