শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেই ভয়াবহ রাতে প্রাণ হারান যারা

নতুনধারা
  ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:৪৫

যাযাদি ডেস্ক ২০১৬ সালের ১ জুলাই, সাপ্তাহিক ছুটির দিন, সঙ্গে মাহে রমজানও শেষদিকে। সব মিলিয়ে ঈদের আমেজে ছিল ঢাকাবাসী। ইফতার পর্যন্ত সবকিছু চলছিলও স্বাভাবিক। তখন কেউ জানত না, কী ভয়াবহতার মুখে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। ওইদিন রাতেই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি ও রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ নিহত হন ২২ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও। জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় আহত হন পুলিশের ৩০ থেকে ৩৫ সদস্য। পরদিন অর্থাৎ ২ জুলাই সকালে সেনা কমান্ডোদের 'থান্ডারবোল্ড' নামে উদ্ধার অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও রেস্তোরাঁর এক পাচক নিহত হন। এ অভিযানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শ্বাসরুদ্ধকর জিম্মি দশা। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির নাগরিক, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয়, একজন বাংলাদেশ-আমেরিকার দ্বৈত নাগরিক, দুজন বাংলাদেশি ও দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। এছাড়া পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের দুজন স্টাফ মারা যান। ইতালির নিহত ৯ নাগরিক হলেন- ক্রিশ্চিয়ান রসি, ক্লদিয়া মারিয়া ডি.অ্যান্টোনা, মার্কো টোনডাট, ভিনজেনজো ডি.অ্যালেস্ট্রো, সিমোনা মন্টি, মারিয়া রিবোলি, নাদিয়া বেনেভেট্ট, অ্যাডেলে পুগলিসি ও ক্লদিও ক্যাপেলি। জাপানের নিহত ৭ নাগরিক হলেন- মাকোটো ওকামুরা, হেরোশি তানাকা, ইয়োকি সাকাই, নোবুহিরো কোরুসাকি, রুই শিমোডাইরা, হিডেকি হাশিমোটা ও কোয়া ওগাসাওয়ারা। ভারতীয় নাগরিক তারিশি জৈন, বাংলাদেশ-আমেরিকার দ্বৈত নাগরিক- অবিন্তা কবির, বাংলাদেশি দুই নাগরিক ইশরাত জাহান আখন্দ ও ফারাজ আইয়াজ হোসেন নিহত হন। নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল করিম ও পুলিশ পরিদর্শক সালাউদ্দিন আহম্মেদ খান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হলি আর্টিজানের স্টাফ সাইফুল ও জাকির হোসেন শাওন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে