শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে কিছু কথা

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী যে অপরাধ করেছিল তা জার্মানির নাৎসি হিটলারের সঙ্গেই মিল দেখা যায়। হিটলারের দল নিষিদ্ধই হলো না শুধু, ফ্যাসিবাদী দলটির একটি সদস্যকেও জীবিত থাকতে দেয়া হয়নি। এখনো অনুসন্ধান করা হয় এবং কোনো একজনকেও যদি হিটলারের দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল বলে প্রমাণিত হয় তবে নির্ঘাত সাজা মৃতু্যদন্ড।
রণেশ মৈত্র
  ২১ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশের রাজনীতি কতটা স্বচ্ছ, নীতি ও আদর্শভিত্তিক হবে তা বুঝে ওঠা অত্যন্ত দুরূহ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অর্জিত অভিজ্ঞতায় দেশের রাজনৈতিক ভাবভঙ্গি এবং তার নানাবিধ পরিবর্তন মুক্তিযুদ্ধের ও গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শে বিশ্বাসীদের কাছে হতাশারই সৃষ্টি করে চলেছে, আশাবাদের সৃষ্টি করতে পারছে না। ফ্যাসিবাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক দল এবং ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিকে বঙ্গবন্ধু ও তার সহকর্মীরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ১৯৭২-এর সংবিধানের মাধ্যমে। দলটির নাম আমাদের সবারই জানা। আন্তর্জাতিক মহলেও কুখ্যাত জঙ্গি উৎপাদনকারী ধর্মান্ধ, উগ্র সাম্প্রদায়িক, স্বাধীনতা-বিরোধী রাজাকার-আলবদরদের জনক জামায়াত ইসলামী পরাজিত শত্রম্ন হয়েও বাংলাদেশের রাজনীতিতে বৈধ দল হিসেবে সক্রিয় থাকতে পারছে এবং সক্রিয় রয়েছে। কেননা, জানে এই দলটি পাকিস্তান আমলেও এক অ-জনসমর্থিত ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দলটি হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধকালে বিশাল দলে পরিণত পাকিস্তানের সামরিক সরকারের সক্রিয়, নৈতিক ও বৈষয়িক সহযোগিতায় এবং এভাবে প্রাণিত হয়ে তারা আমাদের বুদ্ধিজীবীেেদর নির্মমভাবে ও পৈশাচিক বর্বরতায় হত্যা করে দেশটাকে বুদ্ধিজীবীশূন্য করে ফেলেছিল। কে না জানে, জামায়াত কী করেছে একাত্তরে। মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস ধরে লাখ লাখ দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাকে পাকহানাদার বাহিনী পাখির মতো গুলি করে মেরেছে, পাক-বাহিনীকে পথ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে গেছে তারা। গ্রামকে গ্রাম আগুন দিয়ে পুড়িয়ে জ্বালিয়ে ছারখার করে দিয়েছে, গ্রাম ও শহরের বাসিন্দাদের অজস্র সম্পত্তি লুটপাট করেছে, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়ে এক কোটি মানুষকে গৃহহীন ও দেশছাড়া করেছে, তিন লক্ষাধিক নারীর ওপর অমানুষিক দৈহিক ও যৌন নির্যাতন জ্বালিয়ে পৃথিবীতে বর্বরতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। পাক-বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে অবরুদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ-লক্ষ বিবাহিত-অবিবাহিত সুন্দরী যুবতীকে তাদের যৌন লালনা মেটানোর জন্য। তাদের এহেন কার্যকলাপের দৃঢ় সমর্থক ছিল বাদ-বাকি তৎকালীন সব ইসলামপন্থি ধর্মাশ্রয়ী দল। বাংলাদেশের ওই ক্রান্তিলগ্নে জামায়াতে ইসলামীর ও ধর্মাশ্রয়ী অপরাপর দলগুলোর এহেন বর্বরোচিত, সভ্যতা-বিবর্জিত ক্রিয়াকলাপ, বাঙালির স্বার্থবিরোধীই শুধু নয়, পাক-বাহিনীর ভাষায় 'আদম্য নেহি, মাট্টি মাংতা'জাতীয় ভয়াবহ উক্তিকে কার্যকরকরণে সক্রিয় সহায়তা প্রদানের কাহিনী অবগত হয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২-এর সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে জামায়াতে ইসলামীসহ সব ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং ধর্মের নামে কোনো নতুন দল গড়াকেও অবৈধ ঘোষণা করেন। অতঃপর, ৭৫-এর ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যালীলা এবং সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে তথাকথিত সামরিক আইনে জোরে সংবিধানের শুরুতেই 'বিসমিলস্নাহ্‌ সংযোজন এবং জামায়াতে ইসলামীসহ সব ধর্মাশ্রীয় দলকে বৈধতা প্রদান করেন- জামায়াতের আমীর কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানের নাগরিককে পাকিস্তানি পাসপোর্টে বাংলাদেশের ভিসার সিল লাগিয়ে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী অধ্যাপক গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে অতঃপর এ দেশের নাগরিকত্ব অর্জনের সুযোগ করে দেন অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে লাখো শহীদের অবমাননা করে। ঘটনার শেষ এখানেও হলো না। পরে ক্ষমতা বেআইনিভাবে দখল করলেন দ্বিতীয় সামরিক এক নায়ক জেনারেল এইচএম এরশাদ। কোটি কোটি মুসলিমকে ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ীকরণের লক্ষ্যে তিনি 'রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম' কথাগুলো সংবিধানে তথাকথিত সংশোধনী মারফত সংযুক্ত করে সংবিধান ও রাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িকীকরণের সব আয়োজন করলেন বাদ বাকি সব ধর্মাবলম্বীকে বানিয়ে ফেললেন দুই নম্বর। রাজনীতিতে পাকিস্তানি ঘা আবারও দগদগে হয়ে উঠল। এগুলোর বিরুদ্ধে এবং বাহাত্তরের সংবিধান অবিকল পুনরুজ্জীবনের দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দল রাজপথে দীর্ঘ আন্দোলন করেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, ড. কামাল হোসেন, মতিয়া চৌধুরীসহ জাতীয় নেতাদের এরশাদ কামাল হোসেনের বাসভবনে ১৫ দলের গোপন বৈঠক চলাকালে অতর্কিতে পুলিশ ঢুকে চোখ বেঁধে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে নানাবিধ নির্যাতন চালান। আন্দোলন তাতে থেমে থাকেনি বরং সে আন্দোলন আরও শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে এবং দুর্নীতিবাজ স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটিয়েছে। অতঃপর শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার সম্মতিতে তদানীন্তন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন দুর্নীতি ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের দায়ে বহুসংখ্যক মামলা দায়ের করে এরশাদকে কারারুদ্ধ করলে ব্যাপক জনতা ও আন্দোলনের সব শক্তি, কর্মী-নেতা সাধারণ মানুষ সবাই এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানান। সর্বাত্মককরণে স্বাগত জানিয়েছিলেন, উৎফুলস্নচিত্তে অভিনন্দিত করেছিলেন। এই সামরিক শাসন তিনটি ব্যাপারে নোবেল পুবস্কার পাওয়ার যোগ্য বলে বিশ্ববাসীর বিরুদ্ধে করেন দুর্নীতি, নির্যাতন, নারী সম্ভোগ। এগুলোর অবিসংবাদিত নায়ক বলে পরিচিত এই শাসকটির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি দুর্নীতির মামলায় তার কয়েক বছরের জেল হয়। তা তাকে খাটতেই হয়। তখন ছিলেন খালেদা জিয়া ক্ষমতায়। তিনি আবার জামায়াতের ২-৩ জন এমপির সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। পরে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে স্বৈরতন্ত্রী এরশাদ কারামুক্ত হন এবং একে একে নীরবে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এবং বিচারাধীন ডজনখানেক দুর্নীতির মকদ্দমা দিব্যি প্রত্যাহার করেও নেয়া হয়। কেন এমনটি করা হলো তা আজতক কাউকে জানানো হয়নি। অতঃপর, দেখা যায় এরশাদ ও তার দল জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট গঠন করা হলো, নির্বাচনে বিএনপিকে হারানোর লক্ষ্যে যদিও সবাই জানতো আওয়ামী লীগ তার একক শক্তিতেই দিব্যি আরামে বিএনপিকে পরাজিত করতে পারত। এরশাদও একঘরে হয়ে যেত। রাজনীতির ধারাটাও স্বচ্ছ থাকতে পারত। বাংলাদেশের ধাতে তা সইলো না। তিনি দিব্যি আজ গণতন্ত্রের সিপাহ্‌সালার এবং সরকারি দলের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। আবার এবারে তো সরকারি সমর্থনে ভোটে জিতে, বিরোধী দলীয় নেতাও বটে, যা পৃথিবীর বুকে নজিরবিহীন। বিগত সংসদে তো আরও মজার ব্যাপার ঘটেছিল। এরশাদপত্নী রওশন এরশাদকে বানানো হলো বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির ৪-৫ জনকে দেয়া হলো মন্ত্রিত্ব আর এরশাদ হলেন মন্ত্রীর পদমর্যাদার একজন উপদেষ্টা। এরশাদের গোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত হলো। আমরা দিব্যি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে তা দেখছি আর মুখে বেদনার হাসি হাসছি। এবারে জামায়াতের কথায় আসি। বঙ্গবন্ধুর জামায়াতে ইসলামীসহ সব ধর্মাশ্রয়ী দলের অস্তিত্ব নিষিদ্ধ করলেও জিয়া সেই যে তুলে দিলেন আজও তা দিব্যি আমাদের সংশোধিত সংবিধানে শোভা পাচ্ছে এবং তার ব্যত্যয় ঘটার বা বেআইনি করার লক্ষণ আজও সুস্পষ্ট নয়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী যে অপরাধ করেছিল তা জার্মানির নাৎসি হিটলারের সঙ্গেই মিল দেখা যায়। হিটলারের দল নিষিদ্ধই হলো না শুধু, ফ্যাসিবাদী দলটির একটি সদস্যকেও জীবিত থাকতে দেয়া হয়নি। এখনো অনুসন্ধান করা হয় এবং কোনো একজনকেও যদি হিটলারের দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল বলে প্রমাণিত হয় তবে নির্ঘাত সাজা মৃতু্যদন্ড। এখানে মৃতুদন্ড দেয়া হয়নি তা নয়- মাত্র গুটি কয়েক নেতা যাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নয় মাস ধরে নরহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, লুটপাটের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে সংশ্লিষ্ট ট্রাইবু্যনাল তাদের ট্রাইবু্যনালের রায়ে মৃতু্যদন্ড হলে তা কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু একাত্তরের ওই নৃশংস ঘটনাগুলো কি শুধু ওই কয়জন মিলে করা সম্ভব ছিল? সেদিনকার হত্যা-ধ্বংসলীলা, লুটপাট ও ধর্ষণ এবং হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত আরও হাজার হাজার জামায়াতী অপরাধী তাদের দলের বৈধতার সুবাদে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, সমাজে ইমামতি ও মাদ্রাসায় শিক্ষকতাসহ সমাজজীবনে বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত থাকার সুযোগ পাচ্ছে। আবার কেউই ব্যক্তিগতভাবেই শুধু উপরোক্ত অপরাধগুলো সংঘটিত করেছিল তা নয়- বরং তারা সম্মিলিতভাবে গোটা জামায়াতে ইসলামী নামক দলকে সম্পৃক্ত করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাই মিলেই অপরাধগুলো সংঘটিত করেছিল। তাই দলটি এবং সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসায় তার অতীত ও বর্তমান সব সদস্যই যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে, রাষ্ট্র দ্রোহিতার দায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন না। তাদের অপরাধ যেমন ব্যক্তিগত, তেমনই সমষ্টিগত ও দলগত সাম্প্রদায়িক অর্থে। অন্যপক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষে রায় দানকালে একাধিক মামলায় জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ রয়েছে। সর্বোপরি একটি রিটের রায় দানকালে হাইকোর্ট 'বিসমিলস্নাহ', 'জামায়াত'সহ সব ধর্মাশ্রয়ী দলের বৈধতা, রাষ্ট্রধর্ম প্রভৃতি স্পষ্টাক্ষরে বেআইনি ঘোষণাই করেননি- তারা বলেছিলেন জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে যে অপরাধ করেছেন তা সুস্পষ্টভাবেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে এনে উপযুক্ত আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। জিয়াউর রহমান জীবিত না থাকায় মামলা তার বিরুদ্ধে না করলেও এরশাদ রেহাই পেতে পারেন না। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হলে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে মাননীয় বিচারকরা হাইকোর্টের রায় পুরোপুরি বহাল রাখেন। সমগ্র দেশবাসী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব দল, নেতাকর্মী, ৭১-এর ভুক্তভোগীদের পরিবার-পরিজন, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী সবাই এক বাক্যে ও রায়কে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করে স্বাগত জানিয়েছিলেন। ভীতসন্ত্রস্ত জামায়াতে ইসলামী সারা দেশে তাদের অফিসে তালা লাগালো, গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে গেল। সব প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতাবিরোধীশক্তি আতঙ্কিত হলো। তখন প্রয়োজন ছিল সরকারের পক্ষ থেকে একটি গেজেট প্রকাশের ওই রায় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত প্রকাশকল্পে। কিন্তু সরকার সে পথে না হেঁটে সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবাদে কুখ্যাত পঞ্চদল সংশোধনী পাস করিয়ে ওই সব পশ্চাৎমুখী বিষয়গুলোকে স্থান দিয়ে সবাইকে বৈধতা দিলেন। এ কারণে খুনি, ধর্ষক, স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীকে অতিশয় ভাগ্যবান দল বলতেই। এ দেশে মন্ত্রিত্বের স্বাদ তো তারা দিব্যি পেয়েছে। ভাগ্য কাকে বলে? আর এরশাদের কথা ভাবলে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। তৎকালীন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে চোখ বুলাই মহান এই উক্তিটির চারিত্রিক এবং সব তথ্য পাওয়া যাবে। দুর্নীতির যে মামলাগুলো তুলে নেয়া হলো তা কেন, দেশবাসীর তা জানার অধিকার আছে। তদুপরি সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী এরশাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অভিযোগে কেন মামলা দায়ের না করে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, তার বংশকে মন্ত্রীর স্বাদ গ্রহণের সুযোগদান সবই বিস্ময়কর এবং এরশাদের স্বর্ণালী ভাগ্যের ইঙ্গিতই দেয়। কিন্তু গণবিরোধীদের, রাষ্ট্রবিরোধীদের, স্বাধীনতারবিরোধী সাম্প্রদায়িক দলগুলোকে এভাবে মহিমান্বিত করে চলছি কেন তা অজানাই রয়ে গেল। রণেশ মৈত্র : সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত ৎধহবংযসধরঃৎধ@মসধরষ.পড়স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে