শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
হাইকোটের্ বিআরটিএর প্রতিবেদন

সারাদেশে ৩৩ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই

৫৬ শতাংশ বাসের গতি নিয়ন্ত্রক সাটিির্ফকেট নেই। সড়ক দুঘর্টনা রোধের কারণ ও রোধের বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত একটি পযের্বক্ষণ করতেও প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে
যাযাদি রিপোটর্
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:১২
রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে এ ধরনের লক্কড়-ঝক্কড় বাস। এতে ঘটছে দুঘর্টনা, বাড়ছে যানজট। তবুও প্রতিকার নেই Ñফাইল ছবি

সারাদেশের রাস্তায় চলাচল করা যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে ৩৩ শতাংশ বাসের ফিটনেস সাটিির্ফকেট নেই বলে হাইকোটের্ প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোটর্ অথরিটি (বিআরটিএ)। অন্যদিকে, ৫৬ শতাংশ বাসের গতি নিয়ন্ত্রক সাটিির্ফকেট নেই বলেও জানানো হয়েছে। রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমদ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রতিবেদন দাখিলের নিধাির্রত দিনেই হাইকোটের্র বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আদালতে বিআরটিএ’র পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম। এ সময় রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন আসিফ পারভেজ ও মইনুল হক হাওলাদার। ১৫০ পৃষ্ঠার উপরে দাখিল করা এ প্রতিবেদন ঢাকার বনানী, মাওয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় যানবাহনের ওপর জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তানভির আহমেদ বলেন, এর আগে গত ৩১ জুলাই অতিরিক্ত সচিব (এস্টেট) রওশন আরা বেগমকে সভাপতি ও বিআরটিএ-এর সচিব মো. আব্দুস সাত্তারকে সদস্য সচিব করে হাইকোটর্ ১৫ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। যা জাতীয়ভাবে সারাদেশের পরিবহনগুলোর ওপর একটি পযের্বক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করতে নিদের্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে ৩৩ শতাংশ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস নেই এবং ৫৬ শতাংশ বাসের গতি নিয়ন্ত্রক সাটিির্ফকেট নেই। এ ছাড়া সড়ক দুঘর্টনা রোধের কারণ ও রোধের বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত একটি পযের্বক্ষণ করতেও প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে। গত বছরের ৩১ জুলাই বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ চালিয়ে তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দিয়েছিলেন হাইকোটর্। একইসঙ্গে দ্রæত সময়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিবের নেতৃত্বে অভিজ্ঞদের দ্বারা কমপক্ষে ১৫ সদস্যের একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নিদের্শ দিয়েছিলেন। পরে ওই কমিটির দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ করে তিন মাসের মধ্যে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। রিটকারী আইনজীবী তানভির আহমেদ বলেন, এ মামলার শুনানিকালে তারেক মাসুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া সংক্রান্ত মামলার সিআইডি রিপোটর্ আদালতকে দেখিয়েছি। ওই রিপোটের্ গাড়ির ফিটনেসের অভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে। তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজিবের মামলার ছবিও আদালতকে দেখিয়েছি। সে বাসটিও আনফিট ছিল। এ ছাড়া গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুমিের্টালা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষাথীর্ নিহত ও আহত হওয়ার সঙ্গে জড়িত বাসের ছবিও আদালতকে দেখিয়েছি। দুঘর্টনার শিকার এসব বাসের একটিতেও ফিটনেস ছিল না। তাই এ বিষয়ে আদালতে রুল জারিসহ নিদের্শনা চাওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে