শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে তরুণী ধষের্ণর পর হত্যা

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:১৫

গাজীপুরের টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হয়েছে ছোট বোন। পরিবারের দাবি তাকে ধষের্ণর পর হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। পুলিশ শনিবার সকালে হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে। হতভাগ্য তরুণী হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার রসুল্লাহবাদ গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে সিমা আক্তার (১৭)। টঙ্গী থানার উপপরিদশর্ক (এসআই) রমজান আলী জানান, টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় সিমা আক্তারের বড় বোন তাসমিনা আক্তার ভাড়া থাকেন। গত ৩০ আগস্ট সিমা তার বোন তাহমিনা আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তাদের মামা খলিল মিয়া একই এলাকায় সপরিবারে বসবাস করেন। সিমার মামাতো ভাই সজল মিয়া ও সজীব মিয়া দুইজনেই সিমা আক্তারকে পছন্দ করে। তারা সিমাকে বিয়ে করতে চায়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। কয়েকদিন আগে সিমাকে তারা দুইভাই ভয়ভীতিও দেখায়। ওই কমর্কতার্ আরও জানান, প্রাথমিক সুরুতহাল রিপোটের্ ধষের্ণর আলামত পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সিমা বাড়ির ছাদে কাপড় আনার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সজল তাদের বাড়িতে ফোন করে জানান, সিমা অসুস্থ অবস্থায় টঙ্গী আবেদা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভতির্ আছে। পরে শনিবার সকালে সিমার পরিবার হাসপাতালে গিয়ে তার লাশ দেখতে পায়। এর আগেই সজল হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল ও পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মগের্ পাঠানো হয়। নিহতের বোন তাহমিনা বেগম জানান, তার মামাতো ভাই সজল ও সজীব পূবর্শত্রæতার জেরে তার বোনকে ধষের্ণর পর তাকে হত্যার পর হাসপাতালে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শনিবার সকালে তাহমিনা বাদী হয়ে তার ওই দুই মামাতোভাইসহ চারজনের নামোল্লেখ করে টঙ্গী থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে