মুক্তিযুদ্ধ আমার অহঙ্কার
বিপাশা হায়াত
মুক্তিযুদ্ধ আমার অহঙ্কার। এ চেতনা আমাকে বাঁচতে শেখায়। আমার মনে হয় আজকের আমি এই দেশের জন্য। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলি আমাকে কষ্ট দেয়। জাতি হিসেবে আমরা আরও অনেক উঁচুতে যেতে পারতাম। যদি স্বাধীনতার সত্যিকার স্বাদ গ্রহণ করতে পারতাম। এর জন্য আমরাই দায়ী। আমাদের সরকার ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা- সবকিছুই আরও আধুনিক করা উচিত ছিল। হয়তো সে কারণে কোনো ক্রান্তি আসবে না বাঙালি জাতির জীবনে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় নির্মিত এমন কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছি। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি 'আগুনের পরশমণি'তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আমার পথচলা শুরু। তারপর হুমায়ূন আহমেদের আরও একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবিতে অভিনয় করেছি। নাম 'শ্যামল ছায়া'। এরপর তৌকীর আহমেদের পরিচালনায় 'জয়যাত্রা' ছবিতেও অভিনয় করি।
তাদের সশ্রদ্ধ সালাম
মোশাররফ করিম
নয় মাসের দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন অনেকেই। কেউবা যুদ্ধে আহত হয়ে চিরজীবন পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। তাদের জন্য আমার সশ্রদ্ধ সালাম। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের কোনো নাটকের প্রস্তাব পেলে তা ছাড়ি না। এ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের অনেক নাটকেই অভিনয় করেছি। এগুলোর মধ্যে 'কাঁটা' (২০১০), 'পেজ সিক্সটিন' (২০১৪), 'কাকতারুয়া' (২০১৪) ও 'রতন ডাকাতের দেশটা' (২০১৫) উলেস্নখযোগ্য।
বিষাদ আবার গৌরবের মনে করি
সুমাইয়া শিমু
মুক্তিযুদ্ধকে আমি বিষাদ আবার গৌরবের মনে করি। এই মুক্তিযুদ্ধে আমরা লাখো মানুষকে হারিয়েছি। লাখো মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। আবার এই মুক্তিযুদ্ধের কারণেই আমরা পেয়েছি বাংলাদেশ। আসলে কিছু পেতে হলে কিছু ছাড়তে হয়। আমরা অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছি। এর মধ্যে অন্যতম- 'এবং অতঃপর', 'পতাকা'।
মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে অভিনয়ে আগ্রহ আছে
মাহিয়া মাহি
মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে অভিনয়ে দারুণ আগ্রহ রয়েছে আমার। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রস্তাব পাইনি। আমি অন্তর থেকে মুক্তিযুদ্ধকে অনুভব করি। ইস্ আমাকে কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব করত। মুক্তিযুদ্ধ না হলে আমরা আমাদের এই প্রাণের বাংলাদেশ পেতাম না। গভীর শ্রদ্ধা জানাই যাদের রক্তের বিনিময়ের আমরা এই দেশ পেয়েছি।