মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পোকেমন গেমিং

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

পোকেমন গেমিং জ্বরে ভুগছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মানুষজন। মোবাইলে এই গেম খেলতে খেলতে কেউ অন্যের বাসায় ঢুকে পড়ছে, কেউ রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির নিচে পড়ছে আবার কেউ কেউ গাড়ি চালানোর সময় গেম খেলতে গিয়ে দুঘর্টনা ঘটাচ্ছে।

এই পোকেমন পাগলামি সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন। তারা বারবার সতকর্ বাতার্ প্রচার করছে। রাস্তায় হঁাটার সময় বা গাড়ি চালানোর সময় পোকেমন না খেলতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

কী এমন আছে এই গেমে যার জন্য সবাই পাগল হয়ে গেছে? কারা তৈরি করেছে এই গেম?

পোকেমন গো গেমটি মূলত একটি লোকেশন-বেজড গেম। জাপানের প্রতিষ্ঠান দ্য পোকেমন কোম্পানির সঙ্গে মিলে এটি তৈরি করেছে মাকির্ন গেম ও সফটওয়্যার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান নিয়ান্তিক করপোরেশন। এ মাসেই অ্যানড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে চালিত স্মাটের্ফানের জন্য গেমটি উন্মুক্ত করা হয়। আর গেমটি মুক্তি পাওয়ার পরই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর আগে ক্যান্ডি ক্রাশ সাগা গেমটি এরকম জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সব বয়সী মানুষ আগ্রহ নিয়ে গেমটি খেলছে।

গেমটি খেলার জন্য স্মাটের্ফানের ইন্টারনেট সংযোগ, জিপিএস সিস্টেম ও ক্যামেরা চালু রাখতে হবে। কারণ আপনি যেখানে বসে গেমটি খেলছেন গুগল ম্যাপের সাহায্যে আপনার চারপাশের পরিবেশকেই ভাচুর্য়াল রিয়েলিটি হিসেবে আপনার ফোনের স্ক্রিনে তুলে আনা হবে। গেমটি গ্রাহকরা বিনামূল্যেই খেলতে পারবে। তবে গেমটি খেলার জন্য জিমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে লগইন করে নিতে হবে।

পোকেমন গোয়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তার পর আরেকটি নতুন সংস্করণ নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে এর নিমার্তারা। ‘পোকেমন গো প্লাস’ নামের এই সংস্করণে ব্লুটুথ সংযোগের মাধ্যমে আশপাশে আর কারা ফোনে পোকেমন খেলছে সেটিও জানা যাবে।

বিশ্বের ৩০টি দেশের গেমাররা গেমটি খেলার সুযোগ পাচ্ছে। তবে গেমিং বিষয়ক ওয়েবসাইট পলিগন জানিয়েছে এশিয়ার কোনো দেশে এখন পযর্ন্ত গেমটি খেলার সুযোগ নেই। অন্যান্য দেশের গেমাররা কবে নাগাদ গেমটি খেলার সুযোগ পাবে সে ব্যাপারে গেমটির নিমার্তাদের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

গেমটি শুরু করার পর প্রথমে আপনার লুকিয়ে থাকা পোকেমনদের খুঁজে বের করতে হবে। যেহেতু গেমটিতে সত্যিকারের লোকেশন ব্যবহার করা যায়, তাই গেমারের লোকেশন ব্যবহার করে তাকে ধঁা ধঁা দেয়া হয় তার আশপাশে লুকিয়ে থাকা পোকেমনগুলোকে খুঁজে বের করতে।

লোকেশন ম্যাপ দেখে হেঁটে হেঁটে নিদির্ষ্ট স্থানে গেলেই পোকেমনগুলোকে পাওয়া যাবে। পোকেমনগুলোকে খুঁজে পেলে আপনার একাউন্টে বিভিন্ন ধরনের পয়েন্ট ও পাওয়ার যোগ হবে। এভাবে পোকেমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আপনি তাদের আলাদা নাম দিতে পারবেন। তাদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন। একেক পোকেমনের রয়েছে একেক ধরনের চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য।

পোকেমন গো গেমটিতে বিভিন্ন লেভেল রয়েছে খেলার। শুরুতে পোকেমনগুলোকে মারতে হয়। আর এজন্য রয়েছে পোকে বল, যেগুলো পোকেমনকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারা যায়। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পোকেমন কয়েন, যেগুলোকে বলা হচ্ছে পোকে-কয়েন্স।

অনেকে বলছেন গেমটি খেললে তাদের ব্যাটারির চাজর্ দ্রæত শেষ হয়ে যায়। তবে গেম নিমার্তাদের দাবি পোকেমন গেমটি তেমন একটা চাজর্ নষ্ট করে না। গেমটি খেলার জন্য নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন।

৬৭৮. গুগলের ভিডিও কলিং অ্যাপ ‘গুগল ডুয়ো’তে এবার আসছে অডিও কলিং সুবিধা

গুগলের ভিডিও কলিং অ্যাপ ‘গুগল ডুয়ো’তে এবার আসছে অডিও কলিং সুবিধা। গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল স্টোরে ছাড়া হয়েছে এই ভিডিও কলিং অ্যাপটি।

প্রথমে এটিকে শুধু বিশেষায়িত ভিডিও কলিং অ্যাপ হিসেবে বলা হলেও গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শুধু অডিও কলিংয়ের সুবিধাও এতে যোগ হতে যাচ্ছে। এ বছরের গুগল আই/ও ডেভেলপার কনফারেন্সে প্রথমবারের মতো ‘গুগল ডুয়ো’ অ্যাপটি উন্মুক্ত করে গুগল।

গুগল প্রোডাক্ট লিড ফর কমিউনিকেশন অমিত ফুলয় জানিয়েছেন, ভিডিও কলিং অ্যাপ হিসেবে আনা হলেও শিগগিরই অ্যাপটিতে অডিও কলিংয়ের সুবিধাও চালু করা হবে। তবে সেটা কবে নাগাদ হতে পারে সে ব্যাপারে নিদির্ষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

অ্যাপলের ফেসটাইম, মাইক্রোসফটের স্কাইপে, ভাইবার ও ফেসবুকের মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপগুলোকে টেক্কা দিতেই গুগল এই অ্যাপটি নিয়ে এসেছে। ব্যবহারকারীর ফোনবুকই হবে গুগল ডুয়োর ফোনবুক।

গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রেও ভালো মানের ভিডিও কলিং করা যাবে অ্যাপটি ব্যবহার করে। শুরু থেকেই এইচডি ভিডিও কলিংয়ের অভিজ্ঞতা পাবেন ব্যবহারকারীরা।

এ ছাড়া ‘গুগল ডুয়ো’তে রয়েছে ‘নক নক’ নামের নতুন একটি ফিচারÑ যার মাধ্যমে ভিডিও কল গ্রহণ করার আগে স্ক্রিনে কল দাতার প্রিভিউ দেখা যাবে।

এর আগে গুগল ডুয়ো সম্পকের্ অমিত ফুলয় জানিয়েছিলেন, ‘ডুয়ো অ্যাপটি আপনার যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে খুবই কাযর্কর এবং এর ব্যবহারও সহজ। স্মাটের্ফান ব্যবহার করে যেমন কল দেয়া যায় সেভাবেই আপনি ডুয়ো থেকে ফোন দিতে পারবেন। একইসঙ্গে এটা বেশ কয়েকটি প্লাটফমের্র হয়ে কাজ করতে পারবে। ডুয়োর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এর কাজের গতি অনেক দ্রæত।’

৫৬৭৮৯. শাওমির তৈরি রেডমি সিরিজ

দক্ষিণ এশিয়ায় আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছে চীনা স্মাটের্ফান নিমার্তা প্রতিষ্ঠান শাওমির তৈরি রেডমি সিরিজ। এবার সেই সিরিজে তারা নিয়ে এলো নতুন একটি হ্যান্ডসেট, যেটি দামেও বেশ সস্তা।

রেডমি ৩ এস নামক স্মাটের্ফানটি এসেছে দুটি সংস্করণে। ভারতের বাজারে ২ জিবি র?্যামের সংস্করণটির দাম রাখা হয়েছে ৬ হাজার ৯৯৯ রুপি। আর ৩ জিবি র?্যামের সংস্করণটির দাম রাখা হয়েছে ৮ হাজার ৯৯৯ রুপি। ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে এ খবর।

অন্যান্য স্পেসিফিকেশনের মধ্যে শাওমি রেডমি ৩এস এ থাকছে ৭২০ী১২৮০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের ৫ ইঞ্চি এইচডি ডিসপ্লে। ডিভাইসটিতে শক্তি জোগাবে ১ দশমিক ৪ গিগাহাজর্ অক্টা-কোর কোয়ালকোম স্ন্যাপড্রাগন ৪৩০ প্রসেসর। ২ জিবি এবং ৩ জিবি র?্যামের সংস্করণ দুটিতে ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকবে যথাক্রমে ১৬ জিবি এবং ৩২ জিবি। তবে মাইক্রো এসডি কাডর্ ব্যবহার করে সেটি বাড়ানো যাবে ১২৮ জিবি পযর্ন্ত।

রেডমি ৩এস এ থাকছে হাইব্রিড ডুয়েল সিমের সাপোটর্। ডিভাইসটি চলবে অ্যানড্রয়েড মাশর্ম্যালো অপারেটিং সিস্টেমে। শাওমি রেডমি ৩এস-এ থাকছে ১৩ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরার সঙ্গে এলইডি ফ্ল্যাশ এবং ৫ মেগা পিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।

এ ছাড়া ফোরজি, এলটিই, থ্রিজি, ওয়াই-ফাই, বøুুটুথ এবং জিপিএসের মতো সব দরকারি কানেক্টিভিটি থাকছে হ্যান্ডসেটটিতে। ৪১০০ এমএএইচের নন রিমুভ্যাবল ব্যাটারি রয়েছে।

অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই শাওমি রেডমি সিরিজে তাদের দ্বিতীয় স্মাটের্ফান নিয়ে এলো। এর আগে গত সপ্তাহে চীনে উন্মুক্ত হয়েছিল রেডমি প্রো। ডুয়েল লেন্সের রিয়ার ক্যামেরা সেটআপের জন্য ইতোমধ্যে মোবাইলটি বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে প্রযুক্তি জগতে। শাওমি দাবি করছে, ডুয়েল লেন্স থাকার কারণে অন্যান্য সেটের তুলনায় রেডমি প্রোতে ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতা আরো ভালো হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<34834 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1