এখন কুতার্ পরার চল। এক লেগিংসের সঙ্গে মিলিয়েই তাই কিনে ফেলতে পারেন কয়েক রকম কুতার্। শুধু বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে এক রঙের যেমনÑ কালো, সাদা, গোলাপি, বাদামি রঙের লেগিংস কিনতে পারেন। আবার উল্টোটিও করতে পারেন। রংবেরঙের লেগিংসের সঙ্গে এক রঙের কুতার্, কামিজও ভালো লাগবে। সব বয়সের নারীই লেগিংস পরতে পারেন। তবে যাদের শারীরিক গড়ন মোটা ধরনের, তাদের কুতার্-কামিজের দৈঘর্্য হঁাটু বা তার নিচ পযর্ন্ত করতে হবে। কুতার্য় এখন ছোট চেকের লম্বা শাটর্ কাট, ফ্রক কাট, এ লাইন এমনকি লম্বা কামিজের হেম কোনাকুনি কাট চলছে। তাতের কাপড়ের পাশাপাশি আপনি চাইলে নেটের কাপড়ে কাতান কাপড়ের লেস, পাড় লাগিয়ে নিতে পারেন। তাতে কুন্দন, নানা ধরনের পুঁতি, চুমকি, কলকা যোগ করলে পোশাকটি জমকালো দেখাবে। অফিস শেষে কোনো অনুষ্ঠানে এ ধরনের পোশাক পরতে পারেন। সিল্ক, বেনারসি, কাতান কাপড় কিনেও লেগিংসের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লম্বা কামিজ বা কুতার্ তৈরি করতে পারেন। কম বয়সীরা লেগিংসের সঙ্গে লম্বা শাটর্ পরলে কোমরে চিকন রশির মতো বেল্ট পরতে পারেন। এসব পোশাক পরলে জুতা কী পরছেন, তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাম্প শু, ব্যালেরিনা শু, ফ্লিপফ্লপ স্যান্ডেলের পাশাপাশি একটু উঁচু জুতা বা স্যান্ডেলও পরতে পারেন।’
এ ধরনের পোশাকের সঙ্গে মুখের সাজটা হালকা ধরনের হবে। মুখের হালকা কোনো বেইস দিয়ে নিতে হবে। ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করুন। সাজের ক্ষেত্রে চোখ ও ঠেঁাটকে প্রাধান্য দিতে হবে। ঠেঁাটে লাল, কমলা-ব্রোঞ্জ রঙের লিপস্টিকের মিশ্রণ, খয়েরি, গোলাপি রঙের ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু ঠেঁাটে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করছেন, তাই চোখে হালকা সাজ হবে। তবে খেয়াল রাখবেন পোশাক আর সাজ যেন আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়।
ঢাকার বদরুদ্দোজা সুপার মাকের্ট, একস্ট্যাসি, ওটু ইত্যাদি পশ্চিমা ধঁাচের পোশাকের দোকানে পাবেন নানারকম লেগিংস। আর নানা ফ্যাশন হাউস ও গুলশান, বনানীর বুটিকগুলোয় পেয়ে যাবেন কুতার্। এ ছাড়া পছন্দমতো বানিয়েও নিতে পারেন।