শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রুপার গহনায় রুপালি

রঙ বেরঙ ডেস্ক
  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

হাল সময়ে নারীদের পছন্দের তালিকায় কিন্তু আবার সেই বহু আগের রুপার গহনা ফিরে এসেছে। ঐতিহ্য আর আভিজাত্য দুটোই প্রকাশ করার মাধ্যম হিসেবে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন নানান বাহারের রুপার গহনা। রুপার গহনার রুপালি রঙের আবেদন চিরায়ত। এখন অন্য ধাতু দিয়েও তৈরি হচ্ছে রুপালি গহনা। শাড়ি কিংবা ফতুয়া, সাধারণ অনুষ্ঠান কিংবা বিয়েবাড়ি, বর্ষা কিংবা হেমন্ত সবকিছুর সঙ্গে তাল মেলাতে রুপার গহনার জুড়ি নেই। আর তাই তো বাঙালি নারীর পছন্দের তালিকায় এখন অবস্থান করে রুপার তৈরি সব গহনা। অনেকে আবার রুপার গহনায় গোল্ড পেস্নটের কাজ করিয়ে গহনায় আনছেন নতুনত্ব।

গলার সঙ্গে আটকানো চোকার কিংবা ভারী ঝোলানো মালা- চলতি ধারায় চলছে অনেক কিছুই। তবে গোটা দুনিয়ায় এখন এথনিক নকশার জয়গান। যে কোনো পোশাকের সঙ্গেই পরা যায় এ ধরনের রুপালি গহনা। সাধারণ সুতি শাড়িও নজর কাড়ে যদি সঙ্গে থাকে ভারী রুপালি গহনা। সূক্ষ্ণ কাজের ফুল, লতাপাতা, জ্যামিতিক নকশা যেন নিজেদের মতো করে তৈরি করে ফেলে নানা গল্প।

রুপালি গহনাগুলো বানানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ধাতু দিয়ে। রুপা তো আছেই। দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম, জার্মান সিলভার, টাইটানিয়াম, টিন, নিকেল দিয়ে সরাসরি রুপালি রঙের গহনা তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া তামা, লোহা, পিতল, ইত্যাদি দিয়ে গহনা বানিয়ে উপরে দেয়া হচ্ছে রুপার প্রলেপ। দাম কম হওয়ায় এসব গহনার চাহিদা বেশি।

ঐতিহ্যবাহী, আধুনিক, এথনিক রুপালি গহনা দেখা যায় এই তিনটি ধারায়। এ রঙের কদর যেন চিরায়ত। গহনায় রুপার ব্যবহার সব সময়ই জনপ্রিয়। তবে রুপা ছাড়াও অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি হচ্ছে রুপার রঙের গহনা। সেগুলোর চাহিদাও কম নয়। প্রতিদিনের ব্যবহারে তো আছেই, অনুষ্ঠান বা দাওয়াতে তো পরা হচ্ছেই। বিয়ের সাজেও অনেক কনে বেছে নিচ্ছেন রুপালি গহনা। অনেক কনেই এখন বিয়ের জন্য বেছে নিচ্ছেন রুপালি রঙের গহনা। হলুদ, মেহেদি, আক্‌দ কিংবা বিয়ের মূল অনুষ্ঠানেই পরে নিচ্ছেন এ ধরনের গহনা। এতে পুরো লুকেই চলে আসছে স্নিগ্ধতা ও ভিন্নতা।

রুপালি রঙের গহনা মানিয়ে যায় সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই। সব রঙের সঙ্গেও। ভারী বা হালকা নকশার গহনাগুলোতে মূলত পুরনো ও আধুনিক নকশার সমন্বয়ে আনা হচ্ছে ফিউশনধর্মী নকশা।

ফাংকি নকশার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে তরুণ বা কিশোরীরা। অন্যদিকে পুরনো নকশার রুপালি গহনাগুলো বেছে নিচ্ছেন সব বয়সীরাই।

রুপার গহনা বললেই প্রথমে চলে আসে দেশি হাউস আড়ং-এর কথা। নানা ধরনের, নানা বাহারের রুপার গহনা পাবেন এখানে। রুপার মল, নাকফুল, আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট থেকে শুরু করে গলার হার পর্যন্ত নানা নকশার গহনা পাওয়া যাবে। দাম নির্ভর করবে কী কিনছেন, তার ওপর। ফ্যাশন হাউস অঞ্জন'স-এ পাবেন আধুনিক ডিজাইনের রুপার গহনা। এই ফ্যাশন হাউসের গহনার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা মোটিফ ডিজাইনে ব্যবহার হয়েছে। এছাড়া বসুন্ধরা সিটি, গাউসিয়া, ইস্টার্ন মলিস্নকা, মেট্রো শপিং মলেও পাবেন রুপার গহনা। আর চাইলে নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন রুপার গহনা। ডিজাইন ও আকার ভেদে প্রতিটি রুপার নাকফুলের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। কানের দুল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। বালা ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। টিকলি দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। ব্রেসলেট ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, খাড়ু ও বাজু ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, মাদুলি সেট আড়াই হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।

গহনার সেট কিনতে খরচ হবে দশ হাজার থেকে পনের হাজার টাকার মধ্যে। তবে জাঁকজমকপূর্ণ গহনার সেট কিনতে হলে খরচ করতে হবে ৫০ হাজার টাকার বেশি।

রুপার গহনার যত্নে জানা উচিত কিছু বিষয়। যেগুলো আপনাকে করবে ঝামেলামুক্ত আর চিন্তামুক্ত। শখ করে রুপার গহনা বানালেন কিন্তু কিছুদিন ব্যবহারের পরই তা কালো হয়ে গেল। নিশ্চয়ই তখন মন খারাপ হবে আপনার। এর চেয়ে বরং জেনে নিন কি করে রুপার গহনার যত্ন নেবেন। বাইরের থেকে ফিরে এসেই রুপার গহনাকে বাক্সে রেখে দেবেন না। বরং কিছুটা সময় বাইরে বাতাসে রাখুন। এরপর টিসু্য পেঁচিয়ে সুন্দর করে রাখুন। অন্যান্য গহনার সঙ্গে রুপার গহনাগুলো না রেখে সেগুলোকে আলাদা রাখুন। সোনা আর রুপার গহনা একসঙ্গে রাখলে রুপার বর্ন কালচে হয়ে যায়। রুপার গহনা কালো হয়ে গেলে একটি বাটিতে তেঁতুল গুলে নিয়ে সেই পানিতে গহনা ১০-১৫ মিনিট রেখে ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। হালকা গরম পানিতে সাদা টুথপেস্ট গুলিয়ে গহনা পরিষ্কার করুন। কালচেভাব চলে যাবে। গোল্ড পেস্নটেড গহনা কালো হয়ে গেলে সোনার দোকান থেকে রং করিয়ে নিন। হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়েও রুপার গহনা পরিষ্কার করে নিতে পারেন সহজে।

সাজে এবং সৌন্দর্যে রুপার গহনা জায়গা করে নিয়েছে নিজের গুণে। বাঙালি নারীর পছন্দে তাই রুপার গহনার অবস্থান শীর্ষে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<65818 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1