বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

নতুনধারা
  ১৯ মে ২০১৯, ০০:০০

সুতি কাপড়ের

যত্ন আত্তি

য় রঙ বেরঙ ডেস্ক

পরিষ্কার আর সুন্দর পোশাক মন সুন্দর রাখে। পোশাক পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে সঠিক উপায়ে ধোয়ার বিকল্প আর কিইবা হতে পারে। তবে সুতি কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন, তা যেন অনেকক্ষণ ডিটারজেন্ট মেশানো পানিতে ভিজিয়ে রাখা না হয়। এতে কাপড়ের আয়ু কমে যায়। সুতি কাপড়ের তৈরি নতুন জামাটি দর্জি বাড়ি থেকে এনেই নিশ্চয় গায়ে চাপাবেন না। তবে কাপড় প্রথমবার ধোয়ার সময় সাবান, সোডা ব্যবহার না করাই ভালো। পরিবর্তে শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে কাপড়ের উজ্জ্বলতা ঠিক থাকবে। অন্যদিকে প্রতিবার কাপড় ধোয়ার সময় সাবান, সোডার ব্যবহার কমানো উচিত। যতটা সম্ভব কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা ভালো। অনেক দিন ধরে আলমারিতে তুলে রাখা কাপড়ে কেমন একটা গন্ধ তৈরি হয়। আবার পোকামাকড়ের তো অভাব নেই। এসব থেকে সুরক্ষা পেতে সুতি কাপড় রাখা ড্রয়ারে কয়েকটি ন্যাফথলিন রেখে দিন। গন্ধ যেমন থাকবে না, তেমনি পোকামাকড়ও দূরে থাকবে। সুতি কাপড় অনেক দিন ব্যবহার না করে রেখে দিলে কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে পোকা বাসা বাঁধে। সে ক্ষেত্রে অনেক দিন নিয়মিত ব্যবহার করা হয় না, এমন কাপড় আলমারিতে তুলে রাখার আগে কাপড়ের সঙ্গে নিমপাতা রাখুন। পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচবে আপনার প্রিয় পোশাকটি। সুতি কাপড় ইস্ত্রি করার সময় পানি ছিটিয়ে নিন। এতে কাপড় মসৃণ হবে। তবে কাপড় ইস্ত্রি করার পর অবশ্যই পানি শুকিয়ে নিন। তা না হলে দাগ থেকে যাবে। আবার সবসময় ইস্ত্রি করুন কাপড় উল্টে। অন্যথায় কাপড়ের রং জ্বলে যেতে পারে। ঘামে ভেজা কাপড় না ধুয়ে কখনই তুলে রাখা উচিত নয়। এতে দুর্গন্ধ স্থায়ী হয়। আবার এভাবে রেখে দেয়া কাপড়ে দাগও পড়ে। সাদা কাপড় হলে তো সতর্ক আরও একটু বেশি থাকা চাই। তাই কাপড় তুলে রাখার আগে ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। সুতি কাপড় থেকে রং ওঠার ঝামেলায় থাকেন অনেকেই। এ ঝামেলা এড়াতে রঙিন কাপড় ব্যবহারের আগে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিন। এতে যতটা রং ওঠার তা উঠে যাবে। অন্যদিকে রঙিন কাপড় অপেক্ষাকৃত কম রঙিন কাপড়ের সঙ্গে ধোয়া উচিত নয়। ড্রাই ওয়াশ করা হলে সুতি কাপড়ের দৈর্ঘ্য কমে যায়। সে ক্ষেত্রে সুতি কাপড় ড্রাই ওয়াশ করতে না দেয়াই ভালো। অনেক ক্ষেত্রে পানি দিয়ে ধোয়ার পরও কাপড় সংকুচিত হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে কাপড় ধোয়ার পর হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে দিন। এতে কম সংকুচিত হবে কাপড় আবার শুকানোর পর কাপড় কুঁচকেও থাকবে না। কাপড় যত যত্ন করে ধোয়া যাবে, তত ভালো থাকবে।

এক টুকরো

শখের বাগান

য় রঙ বেরঙ ডেস্ক

কেউ কেউ আছেন যারা সব ব্যস্ততার ফাঁক গলে, ঘরের কোণের এক টুকরো বারান্দার মধ্যেই তৈরি করে নিয়েছেন নিজের মনের মতো সবুজের স্বর্গ। সময় আর স্থানের প্রতিবন্ধকতাকে তাদের মতো করে দূর করে নিতে পারবেন আপনিও। বারান্দায় বাগান তৈরি করতে হলে প্রথমেই যেটি বুঝে নেয়া বেশ জরুরি তা হলো, কী পরিমাণ আলো আপনার বারন্দাটি পাচ্ছে। কেউ কেউ কম বা বেশি আলোয় গাছ বাঁচবে কিনা, এ চিন্তায়ই বাগানের সাধ নিয়ে বাস্তবে আর এগোন না। অথচ সব ধরনের আলোয় লাগানোর জন্য আলাদা আলাদা গাছ রয়েছে। সেই মতো বুঝে গাছ লাগানো হলে কিন্তু খুব বেশি যত্ন ছাড়াও গাছ বেড়ে ওঠে নিজের ছন্দে। যেমন খুব বেশি সূর্যের আলো এসে পড়ে বারান্দার যে কোণে, সেখানে আপনি লাগাতে পারেন রসালো তৃণজাতীয় গাছগুলো। মর্নিং গোরি, স্ট্রবেরি, লেটুস, ল্যাভেন্ডার ফুলের গাছ বা ভুঁই-তুলসী ধরনের গাছগুলো এমন জায়গার জন্য একদম যথাযথ হবে। অন্যদিকে যে বারান্দার কোণটি একটু ছায়ায় ঘেরা, সে বারান্দায় নিয়ে আসা যায় রোজমেরি, ইংলিশ আইভি, পিস লিলি, বেগনিয়া ও নানা জাতের ফার্ন গাছ। যদি বাগানকে সাজানো যায় মনের মতো বাড়তি কিছু শৈল্পিক উপাদান দিয়ে, তবে সুনিশ্চিতভাবেই এটি আরও বেশি ভালো লাগায় পূর্ণ করে দেবে মনকে। তবে এ সময়ের ছোট আকারের বারান্দাগুলোয় এসবের জন্য স্থানসংকুলান করাটাই অনেক বড় একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য এটি খানিকটা সৃজনশীলভাবে আগানো যেতে পারে। অনেক দোকানেই বাগান সাজানোর জন্য একদমই ছোটখাটো, অথচ মনকাড়া সব খুচরা জিনিস পাওয়া যায়। যেমন নানা ধরনের ঝুলিয়ে রাখার বাতি, রংবেরঙের পাথর, উইন্ড চাইম অথবা একদমই আলাদা নকশার গাছ লাগানোর পাত্র। এগুলো কিনে বসিয়ে দিতে পারেন আপনার বারান্দায় গড়ে ওঠা বাগানের নানা কোণে। এতে এর সৌন্দর্য বেড়ে যাবে বহুমাত্রায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<50018 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1