ফুল শুধু বাগানের নয়, ঘরের সৌন্দযর্ বাড়ায় নিঃসন্দেহে। ফুলকে যারা সাজসজ্জার উপযোগী করে ঘরে সাজিয়ে রাখতে চান, তাদের জন্য ইকেবানা হচ্ছে সবচেয়ে সহজ উপায়। মূলত তাজা ফুলের শিল্পকমের্র নামই ইকেবানা। ফুলের আকৃতি কেমন হলে আরও সুন্দর হবে, কোন ধরনের পাত্রে রাখলে আরও মোহনীয় দেখাবে কিংবা কত ফুল নিতে হবে এ সম্পকের্ই আমাদের আজকের আটিের্কলটি।
ইকেবানা তৈরি হয় মূলত তিনটি ফুলের সমন্বয়ে। সবার উপরে থাকে কলি, যার প্রতীকী অথর্ স্বগর্। মাঝখানের ফুলটি হয় অধের্ফাটা, যার প্রতীকী অথর্ মানুষ এবং নিচের ফুলটি পূণর্ ফোটা, যার প্রতীকী অথর্ পৃথিবী। অথার্ৎ এর মূল ব্যাকরণ স্বগর্, মানুষ আর পৃথিবী। আজকাল ঘর সাজাতে অনেকেই ইকেবানা ব্যবহার করছেন। কারণ ঘরের সৌন্দযের্ বাড়তি মাত্রা যোগ করতে যে এর জুড়ি নেই। তবে কথায় আছে না যস্মিন দেশে যদাচার। যদি ঘরের সাজসজ্জা কিংবা মানানসই স্থানে ইকেবানা না রাখেন, তাহলে এর সৌন্দযর্ ¤øান হয়ে যায় অনেকখানি। তাই ঘরের সাজসজ্জা আর আকৃতির কথা মাথায় রেখে উপযুক্ত জায়গাতেই ইকেবানা রাখা উচিত।
ইকেবানা দিয়ে ঘরের প্রবেশদ্বার সাজানোর সময় একটু শক্ত ধঁাচের ফুল বেছে নেয়াই ভালো। সাধারণত প্রবেশদ্বারের সাজসজ্জায় গোল্ডেন হ্যাভেন নামের ফুলগুলো বেশ জুতসই। ফুলটা যেমন শক্ত, দেখতেও বেশ সুন্দর, তেমনি সহজে মরে যায় না। এর পাতাগুলো লম্বাটে আর বড় হওয়ায় প্রবেশদ্বারের সঙ্গে মানিয়ে যায় অনায়াসেই।
বসার ঘরের সৌন্দযের্ একটু ছড়ানো এবং বড় ধঁাচের ইকেবানা মানিয়ে যায় অনায়াসেই। চাইলে বসার ঘরের মাঝখানটায় একসঙ্গে দু-তিনটি পটারিতে ইকেবানা এবং তার সঙ্গে নরমাল ফ্লাওয়ার অ্যারেজমেন্ট করলেও মন্দ হয় না। তবে ইকেবানা ও ফ্লাওয়ার অ্যারেজমেন্টের মধ্যে কিন্তু খানিকটা পাথর্ক্য রয়েছে। ইকেবানা যেমন ব্যাকরণ মেনে চলে কিন্তু ফ্লাওয়ার অ্যারেজমেন্টের ক্ষেত্রে আপনি ফুল দিয়ে সাজাতে পারবেন নিজের ইচ্ছামতো। এ ছাড়া আরও একটি বিষয় মনে রাখা দরকার, ইকেবানার ফুলগুলো যেমন বসার ঘরের ইন্টেরিয়রের সঙ্গে মানানসই হয়। সে ক্ষেত্রে ঘরের ইন্টেরিয়র যদি খুব রংচঙে হয়, তাহলে হালকা রং কিংবা কন্ট্রাস্ট ফুল দিয়ে তৈরি ইকেবানা বেশ ভালো মানাবে। আর এর জন্য নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন রজনীগন্ধা কিংবা গø্যাডিওলাস।