ফেসিয়াল
ফেসিয়াল করতে হবে পূজার আগেই। সব সময় যে ধরনের ফেসিয়াল করেন, সেটিই করানো ভালো। তবে আগে এটি করানোর অভিজ্ঞতা না থাকলে রূপবিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামশর্ করা উচিত। ঘরে বসে ম্যানিকিউর-পেডিকিউর করাতে পারেন। হাতে সময় কম থাকলে চুলে কোনো প্যাক লাগিয়ে নিন। প্যাক শুকানোর সময়টা ম্যানিকিউর-পেডিকিউর করতে পারেন। নতুন কোনো ফেসিয়াল এ সময় করা ঠিক নয়। তাতে পাশ্বর্প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আপনার ত্বক সব সময় যে ধরনের ফেসিয়ালে অভ্যস্ত, সেটিই করান।
চুলে নতুন লুক
নতুন লুক আনতে চাইলে চুল কাটার কোনো বিকল্প নেই। আগেই চুল কাটিয়ে নিন। চুলে রং করাতে চাইলে করাতে পারেন। হাইলাইটের পরিবতের্ পুরো চুলে রং করানোর চল এসেছে এখন। এ ছাড়া ওয়্যাক্স, থ্রেডিং ও ভ্রæ প্লাক অন্তত দুদিন আগে করিয়ে নিন।
মুখের যতেœ
মুখের ত্বকের এ সময় বাড়তি যতœ নেয়া দরকার। প্রতিদিন শসার রস ও মধু মুখে লাগাতে পারেন। স্ক্রাবিংয়ের জন্য ওটমিলের সঙ্গে গুঁড়া দুধ ও শসার রসের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। সব ধরনের ত্বকের জন্য এটি উপযোগী। কমলার খোসা, মসুর ডালের পেস্ট ও ডিমের কুসুম শুষ্ক ত্বকের জন্য ভালো। ত্বক তৈলাক্ত হলে ডিমের কুসুমের পরিবতের্ সাদা অংশ ব্যবহার করবেন। এ ছাড়া তৈলাক্ত ত্বকে টকদইও কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললে সতেজ লাগবে। আর সব ধরনের ত্বকে প্রতিদিন অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে কোনো ক্লান্তির ছাপ থাকবে না ত্বকও ভালো থাকবে। মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। উৎসবের দিনগুলোয় মুখে অনেক মেকআপ করতে হয়। বাড়িতে ফিরে ভালোভাবে মেকআপ তুলে ফেলতে হবে। যদি মেকআপ ক্লেনজিং টিস্যু না থাকে, তা হলেও অসুবিধা নেই। বেবি লোশন বা জলপাই তেল তুলায় নিয়ে তা দিয়ে মেকআপ তুলে ফেলা যাবে। মৃদু ক্ষারের ক্লেনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তুলায় করে টোনার লাগাতে পারেন। তবে ত্বক তৈলাক্ত হলে অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন মুখে ব্যবহার করুন। এরপর হালকা কোনো ময়েশ্চারাইজার বা রাতের ক্রিম লাগিয়ে ঘুমাতে যান। মেকআপ বেশি ব্যবহার করলে টোনার বা অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন ব্যবহার করা ভালো। তবে সব সময় ব্যবহার করা ঠিক নয়।
হাত-পায়ের যতেœ
চাইলে ঘরে বসেও ম্যানিকিউর-পেডিকিউর করা সম্ভব। হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ঝামা বা ব্রাশ দিয়ে পা পরিষ্কার করতে পারেন। হাতের জন্য নরম দঁাতের ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাজারে হাত-পা পরিষ্কারের জন্য আলাদা ব্রাশ কিনতে পাওয়া যায়। নখ মনের মতো করে কেটে ফাইল করে নিতে হবে। এরপর ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার। নখ আকষর্ণীয় করতে পছন্দের রঙের নেইলপলিশ দিয়ে নকশা করতে পারেন। প্যাক হিসেবে হাত, পা ও শরীরের অন্যান্য জায়গায় লেবুর রস এবং আলুর পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে রোদে পোড়া ভাব কমাতে খুব কাযর্কর এটি। এছাড়া অ্যালোভেরা জেল সারা শরীরে ব্যবহার করা যেতে পারে। পাকা পেঁপে, পাকা কলা, মুলতানি মাটি ও চন্দনের প্যাকও সব সময়ের জন্য ভালো।
চুলের যতেœ
দুটি ডিম ও অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলে ঢেউ খেলানো ভাব আসবে। বাইরে থেকে এসে প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। সম্ভব হলে বিউটি পালাের্র গিয়ে চুল ধুয়ে সেট করে আনতে পারেন।
বাড়তি যতেœ
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রূপচচার্র পাশাপাশি গুরুত্ব দেয়া উচিত খাদ্যের প্রতিও। প্রতিদিন ভালোভাবে সকালের নাশতা করতে হবে। সারা দিনে দু-তিন লিটার পানি খেতে হবে। ঘুমটাও হতে হবে পযার্প্ত। গোসলের সময় সুগন্ধযুক্ত তেল পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে সারা দিন চনমনে ভাব থাকবে শরীর ও মনে।