শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অব্যাহত থাক নারীর অগ্রগতি

য় নন্দিনী ডেস্ক

সেনাবাহিনীসহ আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখায় নারী অফিসাররা অনেক বছর ধরে কাজ করছেন। নারীরা প্রশাসনের সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত হচ্ছেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদেও তারা সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে তারা রয়েছেন এবং উচ্চ পদগুলোতেও নিযুক্ত হচ্ছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর কর্মকান্ডেও বাংলাদেশের নারীরা অংশ নিচ্ছেন এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্ববাসীর বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযোগী প্রতিটি শিশুকে শ্রেণিকক্ষে আনার লক্ষ্য অর্জনে অন্য যে কোনো স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক বেশি সফল। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষণীয়, শহর-বন্দর-গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের পদচারণা। দিনমজুর থেকে বস্তিবাসী- সব পরিবারের কন্যাশিশুরা এখন স্কুলে যাচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মিলছে সব ধরনের সহায়তা। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন নারীশিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করে বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য রেখেছেন। আমরা জানি, বাংলাদেশে এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রী ও ছাত্রদের অনুপাত সমান এবং উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্র ও ছাত্রীদের অনুপাত এখন প্রায় সমান। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পরিচালনায় নারীরা দায়িত্ব পাচ্ছেন। একটা সময় নারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থার বিশেষ ভূমিকা ছিল। এখনও চাকরিক্ষেত্রে কোটা রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপুলসংখ্যক নারী যোগ্যতা ও দক্ষতা বলেই নিজের স্থান করে নিচ্ছেন। এ ধারা অব্যাহত রাখা চাই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও নারীর অংশগ্রহণ লক্ষণীয় ছিল। অথচ একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ছিল সীমিত। যেটুকু ছিল তাও ছিল বিতর্কিত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনীতিতে নারীর ক্রমবর্ধমান সাফল্য নিয়ে তর্ক করার আর কোনো অবকাশ নেই। এ দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আবার তাদের কাজের স্বীকৃতিতে পুরস্কৃতও হয়েছেন।

শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ

য় নন্দিনী ডেস্ক

আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ও কর্মসংস্থানের হার ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের কর্মক্ষম নারীর দুই-তৃতীয়াংশই অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ করেন না। শুধু তাই নয়, বেশির ভাগ নারীশ্রমিকের অংশগ্রহণ অল্প কয়েকটি সেক্টরে এবং পেশায় সীমাবদ্ধ। প্রায়ই দেখা যায় পুরুষের তুলনায় নারী কম উৎপাদনশীল এবং কম আয়ের পেশায় নিয়োগ পান। তৈরি পোশাকশিল্প খাতেও এ চিত্র ভিন্ন নয়। নারীর শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মাধ্যমিক ও এসএসসি/এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করা নারীদের চেয়ে কম শিক্ষিত ও উচ্চশিক্ষিত নারীরা বেশি হারে শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ করেন। এর মানে এসব নারীর শ্রমের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম।

এ বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে বোঝা যায় যে, নারীশ্রম সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে একটা উলেস্নখযোগ্য অসঙ্গতি আছে, ফলে শিক্ষিত নারীর একটি বড় গোষ্ঠী ক্রমবর্ধমান শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার পূর্ণ ও যথার্থ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারছে না। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ 'ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড'-এর সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ দক্ষ নারীশ্রমিকদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। নারীর ক্ষমতায়নের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। এখন কর্মক্ষম নারীদের স্বাস্থ্য তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে ভালো এবং পরিবার ছোট হওয়ায় তাদের হাতে বাড়তি সময়ও থাকে। এই উভয় শর্তই অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণের জন্য অনুকূল। তা সত্ত্বেও শ্রমবাজারের কাঠামোগুলো নারীর উপযুক্ত কর্মসংস্থান তৈরির জন্য যথেষ্ট পরিবর্তনশীল নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<70672 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1