শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

তথ্যপ্রযুক্তি ক্যারিয়ার

হোক নারীবান্ধব

নন্দিনী ডেস্ক

বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে এসেছেন তথ্যপ্রযুক্তিতে। যদিও পোশাকশিল্প, ক্ষুদ্রঋণ, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষকতা, গবেষণা, ব্যাংকিংসহ অন্যান্য খাতে নারীর পদচারণা তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়েছে। এমনিতেই বাংলাদেশে মোট কর্মসংস্থানের মাত্র শতকরা চার ভাগ তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত। সেখানে নারীর অবস্থান তো খুঁজে না পাওয়ারই কথা। আশার কথা- নারীরা এ খাতে অংশগ্রহণে কম হলেও যোগ্যতায় পিছিয়ে নেই। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়- ১০ থেকে ১৫ বছর আগেও আইসিটি বা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে একচেটিয়া বিচরণ ছিল পুরুষদের। মূল কারণ কম্পিউটার তথা আইসিটি খাতে শিক্ষা, সেবা ও ব্যবসায় যারা নিয়োজিত ছিলেন, তাদের বেশিরভাগই ছিলেন পুরুষ। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। পাল্টেছে এ চিত্র। যদিও কম্পিউটার কৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলের মতো বিষয়গুলো নারীদের তেমন অংশগ্রহণ এখনো চোখে পড়ার মতো নয়। তবে আইসিটি খাতে নারীদের সম্ভাবনা যথেষ্ট। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের তুলনায় উন্নয়নশীল দেশে এ সুযোগের সম্ভাবনা আরও বেশি। কারণ অর্থনীতিতে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা দেশের নারীরা আইসিটি খাতের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন এবং এ খাতেই কর্মজীবন ও পেশাজীবন গড়ার কথা ভাবছেন।

বাংলাদেশের গৌরব

নারী বৈমানিক

নন্দিনী ডেস্ক

বিমান চালনা পৃথিবীর অন্যতম সাহসী ও চ্যালেঞ্জিং কাজগুলোর একটি। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ, সাহসী ও দক্ষরাই কেবল বিমান চালনার জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন। একটা সময় ছিল যখন বিমান চালানোর মতো চ্যালেঞ্জিং কাজটি পুরুষের পক্ষেই সম্ভব বলে মেনে নেয়া হতো। নারীদের বিমান চালনায় দেখা যেত কালেভদ্রে। কিন্তু এ ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন বেসরকারি এয়ারলাইন্স রিজেন্টের পাইলট সাদিয়া আহমেদ, ফারিহা তাবাসসুম, জহুরা মাহ্‌জাবীন মন্দিরা, তাসনুভা ওয়াদুদ নীলর্মী ও গুলসেতাঈন আহমেদসহ দেশের নারী বৈমানিকরা। কমার্শিয়াল ফ্লাইট ছাড়াও সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধবিমানেও উড়ছেন কয়েকজন নারী পাইলট। প্রলয়ঙ্করী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ থেকে শুরু করে শত্রম্নপক্ষের ওপর বোমাবর্ষণসহ এখন সবই করছেন নারী বৈমানিকরা। বাংলাদেশ বিমান ও বেসরকারি এয়ারলাইন্স রিজেন্ট এয়ারওয়েজসহ সামরিক-বেসামরিক মিলে দেশে নারী পাইলটের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তারাও আকাশে রাজত্ব করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রথমবারের মতো আকাশ জয়ে ইতিহাস গড়েন বাংলাদেশের দুই নারী পাইলট। প্রথমবারের মতো তারা বৈমানিক হিসেবে যুক্ত হন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে। তারা হলেন- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক ও ফ্লাইং অফিসার তামান্না-ই-লুৎফি। তারা নিজ বাহিনীর জন্য বয়ে আনেন গৌরব।

বন্ধ হোক

বাল্যবিবাহ

নন্দিনী ডেস্ক

\হ

তিনি সবার প্রিয়, কণা আপা। চেনা নেই জানা নেই, যে কেউ ফোন করে বা অফিসে গিয়ে বাল্যবিয়ের তথ্য দিলেই কোনো অবহেলা নেই। সরাসরি কিংবা অফিসের লোক পাঠিয়ে বন্ধ করে দেন সেই বিয়ে। অনেক সময় নানা ধরনের হুমকি, ভয়ভীতি দেখানো হলেও দমে যাননি কণা আপা। প্রভাবশালীদের চাপের মুখেও বন্ধ করে দেন বাল্যবিয়ে। সমাজ থেকে বাল্যবিয়ে বন্ধ করাই তার একমাত্র লক্ষ্য।

মাদারীপুরের যেখানেই বাল্যবিয়ে সেখানেই কণা আপা। সেখানেই ছুটে যান তিনি। যে কোনো উপায়ে সেই বিয়ে বন্ধ করেন। আর বিয়ের অভিভাবক ও আয়োজকদের সাজার ব্যবস্থা করেন; যাতে সমাজ থেকে বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়। বিয়ে বন্ধ করতে তাকে পড়তে হয় নানা ধরনের হুমকিসহ বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে। তবুও তিনি থেমে নেই। চলছে তার পথচলা। বন্ধ হচ্ছে মাদারীপুরের বাল্যবিয়ে। কণা আপা চাকরির সুবাদে পটুয়াখালী, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, মাদারীপুরের শিবচর, রাজৈরসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন। বর্তমানে তিনি মাদারীপুরে কর্মরত। মাদারীপুর জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে আছেন। শহরের আচমত আলী খান সড়কের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। বড় মেয়ে নাজিয়া সুলতানা পানী বর্তমানে আর্কিটেক্সচার পড়াশোনায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে আছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি পানী বেসরকারি টিভি চ্যানেল জি-টিভিতে সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন। মেজ ছেলে নুরুস সাবা রাবিক দশম ও ছোট ছেলে নুরুস সাব্বির অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

স্বামী ব্যবসার কাজে সারাদিন ব্যস্ত থাকেন। কাজের সুবাদে কণা আপাকেও সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হয়। ছেলেমেয়েদের তেমন সময় দিতে পারেন না। তাই তাদের অভিযোগের শেষ নেই। তবুও তিনি সংসার জীবনের সুখ-শান্তি-অভিযোগ উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে সমাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<64974 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1