শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আদিবাসী নারীর ভাগ্য বদলে পালার্র

নন্দিনী ডেস্ক
  ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

সীমান্তবতীর্ শেরপুর জেলায় প্রায় ২৫ হাজার আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। জেলায় গারো, কোচ, হাজং, ঢালু, বানাই ও বমর্নসহ মোট ৬টি নৃ-গোষ্ঠী জাতির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গারো সম্প্রদায়। যুগ যুগ ধরে তারা নানাভাবে অবহেলিত রয়েছে। এসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা গারো আদিবাসী নারীরা এক সময় পিঠে তাদের সন্তানদের ঝুলিয়ে ক্ষেতে-খামার ও হাট-বাজারে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য খুব চোখে পড়ত। কিন্তু বতর্মানে সামাজিক নানা পরিবর্তন এবং সময়ের চাহিদার কারণে সে দৃশ্য এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। এখন তারা ফসলের ক্ষেতে কাদা-মাটি ছেড়ে উঠে আসছে শিক্ষিত সমাজের বিভিন্ন দপ্তর ও কমের্ক্ষত্রে। একই সঙ্গে তারা দক্ষতার সাক্ষর রেখে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠছে দিন দিন। জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার মরিয়ম নগর খ্রিষ্টান মিশন এলাকায় দুধনই ও ভারুয়া গ্রামের শত শত নারী নিজেদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে টিকে থাকতে নিজেদের সংস্কৃতি ও রীতিকে পাশ কাটিয়ে পালার্র ব্যবসায় গিয়ে স্বাবলম্বীর পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কয়েক বছর আগেও যাদের চুলোয় আগুন জ্বলতো দিনের এক বেলা বা দু’বেলা। এখন ওইসব পরিবারের বঁাশ ও খড়ের এক চালা ঘর পরিবতর্ন হয়ে ইটের দালান হচ্ছে। এসব নারীর মধ্যে বেশির ভাগই রয়েছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীর্। উল্লিখিত গ্রামের প্রতি বাড়িতেই ২ থেকে ৫ জন করে নারী এ পালার্য় ব্যবসা এবং শ্রমিক হিসেবে জেলা শহরের পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রামের শতাধিক পালাের্র বেশ সাফল্য অজর্ন করেছে। তাদের অনেকই এখন প্রথমে ঢাকা-চট্টগ্রামে কাজ শিখে শেরপুর এবং ঢাকাতেও নিজেরাই পালার্র ব্যবসার মালিক বনে গেছেন। ফলে তাদের ভাগ্যের চাকা এখন আকাশচুম্বীর দিকে ছুটে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<17501 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1