এক অনন্ত দুপুর যেন আমার জন্য অপেক্ষা করেছিল,
ধু-ধু নিঝুম শূন্য উদাস এক দুপুর-
একরাশ শূন্যতা নিয়ে কার জন্য তার এই ব্যাকুল প্রতীক্ষা,
এবং সে এক অন্তহীন প্রতীক্ষাই শুধু...
প্রসন্ন অথবা বিষণ্ন এই শান্ত দুপুর কিন্তু জমাট নির্জন,
তার কণ্ঠে ছিল অনেক অনেক গান
জলে জল খেলছিল আর বৃক্ষরাজিও ছিল নিমগ্ন
সম্পূর্ণ শিষ্টাচারী সুবোধ ভদ্র অমায়িক,
যা কিছু চারপাশের পরিবেশ হার্দ-একাত্ম তার সাথে,
এবং আমার এই শান্ত চোখ মনের জানালায় দেখেছিল
এই মধ্য দুপুরের নীরবতার আশ্চর্য্য জীবন্ত রূপ,
আর জীবনের কাব্যে কাব্যময় অটল সেই দীপ্ততা,
যেন কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে তার অস্ফুট আভাস-
অথবা কারো আগমন যেন এখনই আসবে কেউ,
যেন ঘুমুচ্ছে সে ঘুম ভাঙবে একটু পরেই এক আশ্চর্য ভঙ্গিমায়,
আর জেগে উঠবে এক উত্তাল মিছিল হয়ে
বিস্তৃত বিশাল কোনো জীবন্ত কলরবে।