একটা ছায়ামূর্তি সারাক্ষণই
নরম হাতে কপালে স্নেহের পরশ
বুলায় শত ঝঞ্ঝা যাতনায়
জানালার বাইরে নীল আকাশের মতন প্রলুব্ধ করে
সংকটে সংগ্রামে প্রতিবাদে-
নির্যাতন শঙ্কায় আগলে রাখে প্রাণপণ
শোনায় সাবধানবাণী গোপন মন্ত্রের মতন
কালো শক্তির উত্থানে খুলে দেয়
ইন্দ্রিয়ের চোখ কান
বজ্রমুষ্টিতে নিয়ে যায় আমার সমর্থকে
রক্তচক্ষু উপেক্ষা করতে শেখায়
সারাক্ষণ ছায়ামূর্তিটা
ইতিহাসের পাতায় পাতায়
সোনালি ভাঁজে খুঁজি তার অস্তিত্ব
হয়তো এক সিক্ত দুপুরে
দরজার কড়া নেড়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে
বলবে হে যুবক
এই নাও নীলমনি তোমাদের
নির্ভীক কালপুরুষ চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা
পরিপাটি কাঁচাপাকা চুলের
সেই ছায়ামূর্তিটা
আমার প্রেরণার বাতিঘর।