যখন মেঘ ডাকে, আমি ছুটে যাই মেঘের স্টেশনে
উঠে পড়ি অপেক্ষমান ট্রেনে।
মেঘের ট্রেন মেঘে মেঘে ছুটে যায়, ছুটে যায় মেঘের শহরে
মাঝে মাঝে ছেঁড়া তুলোর মতো মেঘেদের গ্রাম!
আমি ট্রেনের জানালা দিয়ে দেখতে থাকি কত দৃশ্য!
দেখি বৃষ্টির আশায় আকাশপানে তাকিয়ে থাকা জোয়ান বৃদ্ধ নারী
দুপুরে খরতাপে গলে যাওয়া রাস্তার পিচ
দেখি পালিয়ে যাওয়া হাওয়ার শোকে বিষণ্ন বৃক্ষরাজি!
মেঘের ট্রেন দেখে হাততালি,
নাড়াতে থাকে হাত আনন্দিত শিশু কিশোরেরা!
এক সময় গলতে থাকে মেঘগুলো, গলতে গলতে
ওরা হয় বৃষ্টির ফোঁটা। গলতে থাকে মেঘের ট্রেন
ট্রেনের ইঞ্জিন, কামরাগুলো গলে গলে ঝরতে থাকে
বৃষ্টি কাতর আমিও গলতে থাকি,
গলে গলে হতে থাকি উজ্জ্বল সব ফোঁটা
বৃষ্টির ফোঁটা হতে পেরে নিজেকে
মনে হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখী মানুষ!
আমি বেছে বেছে ঝরতে থাকি সে সব মাঠে
যেসব মাঠে শিশুরা মেতে ওঠে আনন্দ খেলায়!
আর মাঝরাতে, আমি শুধু ঝরতে থাকি তোমাদের ছাদে
ঝরতে থাকি, ঝরতে থাকি সারারাত
আফসোস্, তুমি একটিবারও টের পেলে না!