সে-এক সময় ছিল
যখন ঘোড়ায় চড়ে মানুষকে হত্যা করে
অস্ত্র হাতে পরের রাজ্য দখল করার পর
\হরক্তমাখা হাত মুছে নিয়ে পরক্ষণেই-
কী আনন্দে গোগ্রাসে খাবার খেত স্বনামধন্য হন্তারক,
পোশাকে তখনও কাঁচা রক্ত লেগে থাকত
অদূরে পুড়তো ঘর-বাড়ি
মা ও শিশুর ক্রন্দনও শোনা যেত।
এখন হয়তো এমন পরিস্থিতি নেই
\হআমাদের দেশে-
তবে, এর চেয়ে ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি
এখনো অনেক দেশের মানুষেরা-
তাদের অভিজ্ঞতায় বয়ান শুনলে
\হআমরা এখনো শিউরে উঠি!
তবে, গোপন ও অলক্ষে কপট বেশে
যে তোমাকে নিজ হস্তে রান্না করা খাবার খাওয়ায়
দাওয়াত দেয় দামি হোটেল বা রেস্তোরাঁয়
\হএকসঙ্গে তোমার সাথেও খায়-
সেই তোমাকে ফাঁদ পেতে
সুড়ঙ্গে নেওয়ার আয়োজন শেষ করে রাখে!
মহুয়ার মাতাল গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে কখন যে তুমিও
টুপ করে অন্ধকূপে পড়ে যাবে-টেরও পাবে না,
তোমার পতনের শব্দ শুনতে পারবে না অন্য কেউ!
এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আমরা প্রতিনিয়ত
\হগোপন হিংসায়-পরশ্রীকাতরতায়
\হচৈতন্য হারিয়ে-
ক্ষয়-ক্ষতি-দুর্ভাগ্য-পরাজয়-বিপর্যয় থেকে অন্যকে না বাঁচিয়ে
ভয়াবহ জিঘাংসার মধ্যে ডুব দিই!
গোপন অদ্ভুত আঁধির ভেতর থেকে
মড়াকাটা ঘরে নিজের জীবন্ত দেহ, মস্তিষ্ক ও হদয় রেখে
ফিটফাট পরিবেশে সাজানো-গোছানো টেবিলে
গান শুনতে শুনতে মুখে তুলে নিই
\হ-কত রকমের আহার!