অসাধারণ চোখের হাসি অগ্নিময় গতকাল
এক অলৌকিক স্টেশনে দঁাড়ানো একাকী দু’জন
একদিন জোছনায় ভিজে ছিল খুব
অনিদ্রার রাত ছিল বৃষ্টির কবিতা
হৃৎপিÐে প্রতিধ্বনি হতো নিজর্ন ছায়ার শব্দ
অথর্হীন অপ্রয়োজনীয় কথার বিখ্যাত অথর্ ছিল শুধু
দীঘর্ সান্নিধ্যের সময়ের হাত ধরে নিবিড় বসে থাকার
প্রতিদিন অনিবাযর্ পাঠ হতো অসমাপ্ত পুরনো গল্পের
অন্য এক শোভন অনিন্দ্য সংস্করণ
অজস্র রাত্রির কুয়াশায় ঢেকে গেছে সেই সব
দীঘর্শ্বাসের গোপন ইতিহাস
এতকাল পরে বেলা শেষে আত্মপ্রকৃতির পাশে
হেসে ওঠে সেই রঙিন বিহŸল মুখ, জানালার খোলাচুল,
দেহের সুতীব্র ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে ওঠে সন্ধ্যের বাতাস
এখন তো ঘর থেকে দেখতে হয় পুরো পৃথিবী
তরুতলে কে যায় কে আসে
বিকেলে আড্ডার সেই প্রিয় মুখ কোন দশকে কে
দঁাড়িয়ে আছে কে ঘুমিয়ে পড়েছে মৃত্যুর মতোন
এ’সব তো এখন স্মৃতি ও কল্পনার অস্পষ্ট অনুবাদ
সময়ের প্রান্তর থেকে মুছে যাবে এই সব স্মৃতির শিশির
জীবন মানেই তো অনন্ত শূন্যতার দীঘর্ ভিড়।