কত সাঁতার কেটেছি, মাতৃস্নেহা জলে!
কমল তুলেছি প্রাতে আঁচড় খেয়েছি,
ব্যাড়জাল দিয়ে হেথা কাতল ধরেছি;
মধুময় স্মৃতিগুলি যায়নি গো ভুলে।
দোলনা খেয়েছি পাড়ে, বট-মূলে ঝুলে
শতদল ভরা বুকে বারেক চেয়েছি,
শালুক পুড়িয়ে খেয়ে কি মজা পেয়েছি।
\হহেরেছি প্রিয়ার মুখ জলভরা ছলে।
কত দিন কেটেগেছে, হয়নিগো দেখা!
ভুলবনা জননী-গো; মনে রেখ দুঃখে,
ঠায় যেন হয় পাড়ে; জ্বেলে রেখো শিখা,
ঝরব নীরদ হয়ে তৃষ্ণা ভরা বুকে;
খুঁজে নিও জননী-গো, নাচে যবে কেকা;
দুরন্ত ছেলের স্নানে, সিক্ত লাল চোখে।
কতবার ডেকেছো গো; বুঝিনি তোমারে!
মজেছি ভব সংসারে; হেরেনি গো বাণী,
সঞ্চয় নাহি জীবনে বৃথা কানাকানি;
\হবাজে তব তার নাম শোভিত মিনারে।
হয়নি বচন কভু অনাবিল ঘরে
লোচনে যে অন্তরাল ঝরলনা পানি,
পাতকের শৈল শিরে, ক্ষমা নেয় জানি;
ছিঁড়ে খাবে শত কিটে, বিপিন কিনারে।
ক্ষমা করিও গো প্রভু পাপিষ্ঠ অধমে
হাজারে আসওয়াদ চুমে একবার
মিজানের পালা ভারী করিও নির্ধনে,
তিমিরে পুলসিরাত হয় যেন পার;
\হঐ হাওজে কাওসার পিয়াসি দুর্দিনে;
আরশের ছায়া যেন, মাস্তুল মাথার।