দেশে চিকিৎসা শিক্ষা ও চিকিৎসাব্যবস্থার পরিবর্তন এনে সময়োপযোগী এবং সংস্কারমুখী পাঠ্যসূচি চালু করার কথা বলছে ভারত সরকার। এ জন্য ১৯৫৬ সালের আইন বিলোপ করতে চাইছে তারা। লোকসভায় পাস হয়েছে 'ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন বিল'। অন্য কক্ষ রাজ্যসভায় পাস হলেই আইনের রূপ নেবে বিলটি।
প্রস্তাবিত আইনের বিরোধিতায় দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসকরা। কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে 'ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন'।
প্রস্তাবিত আইনের বিধান অনুযায়ী
জাতীয় স্তরে 'ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন' এবং ৩ বছরের মধ্যে রাজ্যস্তরে গঠিত হবে 'স্টেট মেডিকেল কমিশন'। চিকিৎসা শিক্ষা সংস্থা এবং চিকিৎসকদের পেশাগত নিয়ন্ত্রণ নীতি নির্ধারণ করবে কমিশন। বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আসনের ফি নির্ধারণ করবে এই কমিশন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার একটি 'মেডিকেল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল' গঠন করবে। গঠন করা হবে কয়েকটি স্বশাসিত বোর্ড। এই বোর্ডগুলো স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষার মান, পাঠ্যক্রম, নির্দেশিকা এবং ছাত্রছাত্রীদের যোগ্যতার স্বীকৃতি দেবে। এ ছাড়া গঠন করা হবে 'মেডিকেল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড রেটিং বোর্ড'। এই বোর্ডই দেশে নতুন মেডিকেল কলেজ তৈরি, স্নাতকোত্তর কোর্স চালু এবং আসন সংখ্যা বাড়ানোর অনুমোদন দেবে। গঠন করা হবে 'এথিক্স অ্যান্ড মেডিকেল রেজিস্ট্রেশন বোর্ড'। এই বোর্ডের কাজ হবে গোটা দেশের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের তালিকা তৈরি করা। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের পেশাদারি আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণ করা। এই বোর্ডই কমিউনিটি হেলথ প্রভাইডারদের একটি রেজিস্টার তৈরি করবে।