শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জেনে নিন কোটর্ ম্যারেজ নেই

নতুনধারা
  ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ‘কোটর্ ম্যারেজ’-এর বৈধতা নেই, এমনকি এর কোনো অস্তিত্বও নেই। অনেকে ২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কাযার্লয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত করে। অথচ এফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে। মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ বিধি ২০০৯-এর ৫(২) বিধি অনুযায়ী ‘নিকাহ রেজিস্ট্রার ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি যদি বিবাহ করান তাহলে বর ৩০ দিনের মধ্যে ওই নিকাহ রেজিস্ট্রারের নিকট অবহিত করবেন, যার এলাকায় ওই বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ আইন ১৯৭৪-এর ধারা ৫(৪) অনুযায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না করার জন্য সবোর্চ্চ দুই বছর পযর্ন্ত বিনাশ্রম কারাদÐ বা তিন হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দÐে দÐিত করার বিধান রয়েছে।

বিয়ে রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে সরকারের নিধাির্রত ফরমে লিখিত বর ও কনের বিবাহসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি সম্পকের্ আইনগত দলিল যা কাজী অফিসে সংরক্ষিত থাকে। সরকার কাজীদের বিবাহ রেজিস্ট্রি করার জন্য অনুমতি বা লাইসেন্স দিয়ে থাকেন। লাইসেন্সবিহীন কাজীর কাছে বিবাহ রেজিস্ট্রি করলে এর কোনো আইনগত মূল্য নেই। কাজীর কাছে গিয়ে কাবিন না করলে দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাবিননামা না থাকায় নারীরা অনেকক্ষেত্রে তাদের মোহরানার পরিমাণ প্রমাণ করে তা আদায়ে জটিলতার মুখে পরেন। আইনানুযায়ী বিবাহের আসরেই বিবাহ রেজিস্ট্রি করতে হয়। বিবাহর আসরে সম্ভব না হলে বিবাহ অনুষ্ঠানের দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে হয়। কাজীকে বাড়িতে ডেকে এনে অথবা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা যায়। এ ছাড়া কাবিননামার সব কলাম পূরণ করার পর বর, কনে, উকিল, সাক্ষী ও অন্যান্য ব্যক্তিদের স্বাক্ষর দিতে হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<31040 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1