যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জানাির্লস্টস (সিপিজে) এর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে ২০১৮ সালে দায়িত্ব পালনের কারণে কারাদÐ পাওয়া সাংবাদিকের সংখ্যা গত বছরের রেকডের্র প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এবছর খবর সংগ্রহের কারণে ২৫১ জন সাংবাদিককে কারাদÐ পেতে হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জানাির্লস্টস (সিপিজে) তাদের বাষির্ক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সিপিজে’র প্রতিবেদনে ১ ডিসেম্বর পযর্ন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, টানা তৃতীয় বছরের মতো কারাদÐ পাওয়া অধের্ক সাংবাদিক তুরস্ক, চীন ও মিসরের। এতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা গণহত্যার খবর সংগ্রহ করায় মিয়ানমারে কারাদÐ পাওয়া রয়টাসের্র দুই সাংবাদিকের বিষয়টি আন্তজাির্তক সমালোচনার মুখে পড়েছে।

প্রতিবেদনটি প্রস্তুতকারী এলানা বেইসার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এটা এখন প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন স্বাভাবিকতা বলে মনে হচ্ছে। ভুয়া খবরের জন্য কারাদÐ পাওয়া সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ২৮ জনে পৌঁছেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২১ জন এবং ২০১৬ সালে ছিল ৯ জন।

সিপিজে’র প্রতিবেদনে ট্রাম্প প্রশাসনকে নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রচারকে মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেক নিউজ হিসেবে বারবার আখ্যায়িত করার সমালোচনা করা হয়েছে। একই ভাবে তুরস্ক ও ফিলিপাইনেও সরকারবিরোধী খবরকে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।

চেক ডিসঅনার মামলা দায়েরে আদালতের অধিক্ষেত্রের প্রাসঙ্গিকতা

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণকারী হিসেবে সবচেয়ে খারাপ দেশ হিসেবে এখনো রয়েছে তুরস্ক। রাষ্ট্রবিরোধী কমর্কাÐের অভিযোগে দেশটিতে অন্তত ৬৮ জন সাংবাদিককে কারাগারে রাখা রয়েছে।

মিসরে কারাগারে রয়েছেন অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক।

গত বছর রেকডর্সংখ্যক ২৭২ জন সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। অবশ্য এই প্রতিবেদনে নিখেঁাজ সাংবাদিক বা রাষ্ট্রবহিভর্‚ত শক্তি দ্বারা আটক সাংবাদিকদের সংখ্যা অন্তভুর্ক্ত করা হয়নি। সিপিজে জানায়, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকার ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীরা অনেক সাংবাদিক নিখেঁাজ বা অপহরণের শিকার হয়েছে।