জামাির্নতে ছোট দলের নিবার্চনের খরচ জোগায় রাষ্ট্র
আইন ও বিচার ডেস্ক
জামার্ন আইন অনুযায়ী, একটি দলকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ৫০ হাজার ইউরোর বেশি অথর্ দান করলে সেটা ঘোষণা করতে হয়। অথার্ৎ দলটি কার কাছ থেকে একবারে এই টাকা পেয়েছে, সেটা জনগণ যাতে জানতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হয়। কিন্তু এই আইনে একটা ফঁাক রয়ে গেছে। সেটা হচ্ছে, পঞ্চাশ হাজার ইউরো বা তার নিচে যদি দান করা হয়, তাহলে সেটা আলাদাভাবে জানাতে হয় না। নিজেদের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে জামাির্নর অনেক প্রতিষ্ঠান তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে একবারে টাকা না দিয়ে সারা বছরজুড়ে টাকা দেয়।
নিবার্চনী প্রচারণার জন্য অনেক টাকার দরকার হয়। পোস্টার, টিভি বিজ্ঞাপন আর মিটিং-মিছিল আয়োজনের খরচ জোগাড় করা বড় দলগুলোর জন্য সহজ। কিন্তু ছোট দলগুলো যাতে পিছিয়ে না থাকে, সেজন্য আইন অনুযায়ী সহায়তা করে জামার্ন রাষ্ট্র। জামাির্নর বড় রাজনৈতিক দলগুলো নিবার্চনী প্রচারণা চালানোর জন্য নানাভাবে অথর্ পেয়ে থাকে। বিভিন্ন দলের সদস্যরা দল থেকে নিধাির্রত ফি পরিশোধ করেন, যা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও আলাদাভাবে দান গ্রহণের সুযোগ আছে। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা লবি গ্রæপের এই দান গ্রহণ করতে গিয়ে অনেক সময় রাজনৈতিক দলগুলো চালাকির আশ্রয় গ্রহণ করে। একটি প্রতিষ্ঠান তার পছন্দের দলকে বড় অংকের টাকা নিবার্চনী প্রচারণা চালানোর জন্য দিতে পারে। সুবিধা হচ্ছে, এতে প্রতিষ্ঠানটির রাজনৈতিক আনুগত্যের ব্যাপারটি সাধারণ মানুষ জানতে পারে না। তবে এর নেতিবাচক দিক হলো, একটি দল এভাবে অথর্ সংগ্রহ করে ক্ষমতায় যাওয়ার পর যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সহায়তা নিয়েছে, তাদের জন্য সুবিধাজনক কাজ করার একটা দায়বদ্ধতা তৈরি হয়। সাধারণ ভোটারদের সেটা না জানিয়ে করা হলে তা এক ধরনের প্রতারণার মধ্যেই পড়ে।
ফলে, জামাির্নর এই আইন পরিবতের্নর দাবিও উঠেছে কোনো কোনো মহল থেকে। তাদের কথা হচ্ছে, আইনটা এমনভাবে করা হোক যাতে কোনো প্রতিষ্ঠান একটি নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো দলকে সবোর্চ্চ পঞ্চাশ হাজার ইউরোর বেশি দিতে না পারে। পাশাপাশি কেউ যাতে বেনামে কোনো দলকে অথর্ দিতে না পারে, সেই দাবিও উঠেছে। বতর্মানে একবারে পাঁচশ ইউরো পযর্ন্ত নিজের নাম পরিচয় গোপন রেখে যে কোনো দলকে দান করা যায়।
তবে নিবার্চনী প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে যাতে শুধু বড় দলগুলোই এগিয়ে না থাকে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখে জামার্ন রাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে কিছুটা সমতা আনতে ছোট দলগুলোকে রাষ্ট্রীয় অনুদান দেয়া হয়। ছোট দলগুলো, এমনকি যাদের সংসদে কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই, তারাও এই অনুদান পেতে পারে। তবে সেই দলকে আগের নিবার্চনে নিদির্ষ্ট সংখ্যক ভোট পেতে হবে। সেই ভোটের হিসাবে দলটিকে অনুদান দেয়া হয়, যা দলটির নিজস্ব আয়ের চেয়ে বেশি হতে পারবে না।
জামাির্নতে ছোট দলগুলোকে সহায়তার এই উদ্যোগ ইতিবাচক হলেও বড় দলগুলোর নিবার্চনী প্রচারণা চালানোর অথের্র উৎস সম্পকের্ আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি।
কিশোরকে বিয়ে করে বিপাকে নারী
আইন ও বিচার ডেস্ক
ভারতের মুম্বাইয়ে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে বিয়ে করার অভিযোগে ২০ বছর বয়সী এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই দম্পতির পঁাচ মাস বয়সী মেয়ে মায়ের সঙ্গে বতর্মানে কারাগারে আছে। ওই কিশোরের মায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে। ওই নারীর বিরুদ্ধে শিশু যৌন হয়রানিবিষয়ক আইনের ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার নারী দাবি করেছেন, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে তাদের সম্পকর্ গড়ে উঠেছে। তার স্বামীর প্রকৃত বয়স ১৭ নয় বলেও তিনি দাবি করেন।
ভারতে আইন অনুযায়ী, বিয়ের বয়স নারীদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর ও পুরুষের ক্ষেত্রে ২১ বছর। তবে ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পকের্ জড়াতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তরুণের বয়স কম হওয়ায় ওই নারীর বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধবিষয়ক আইনের ধারায়ও অভিযোগ আনা হয়েছে। মুম্বাইয়ের এক পুলিশ কমর্কতার্ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে কিশোরের মা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, এক নারী তার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছেন এবং তাকে জোর করে বিয়ে করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে এবং আইনি পরামশর্ নিয়ে তারা ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছেন।
তবে ওই নারী জামিনের আবেদনে বলেছেন, তার স্বামীর বয়স ১৮ বছরের বেশি। তারা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বতর্মান সম্পকের্ আছেন। তিনি যুক্তি দেন, তার স্বামীর ২৯ ও ১৮ বছর
বয়সী দুই বোন আছে।
তাই তার স্বামীর বয়স
১৭ বছর হওয়া সম্ভব নয়।