বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

নতুনধারা
  ২০ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে স্বীকারোক্তি

আইন ও বিচার ডেস্ক

পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেদের অপরাধের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভ‚ত চার মাকির্ন নাগরিক। দÐপ্রাপ্ত চারজন সম্পকের্ পরস্পরের ভাই। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটে স্বল্প আয়ের মানুষকে সরকারি খাদ্য সহায়তা বা ‘ফুড স্ট্যাম্প’ জালিয়াতিতে যুক্ত ছিলেন চার ভাই। আদালতের পক্ষ থেকে তাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অপরাধের স্বীকারোক্তি এবং অন্যদেরও এ ধরনের কাজ না করার ব্যাপারে সতকর্ করার নিদের্শ দেয়া হয়। সেই নিদের্শনা অনুযায়ী দÐপ্রাপ্ত চারজন নিজেদের নাম উল্লেখ করে কমিউনিটি পত্রিকায় এসংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষায় লেখা ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘পাঠকদের কাছে, আমাদের কথা শুনুন। আপনি যদি খাদ্য স্ট্যাম্পে প্রতারণা করেন তবে আপনি একটি ফেডারেল অপরাধ করছেন এবং এটি করার জন্য শাস্তি পাবেন। আমরা জানি: আমাদের খাদ্য স্ট্যাম্পে প্রতারণার জন্য শাস্তি দেয়া হয়েছে। আলী আহমেদ, মুসতাক আহমেদ, নাজার আহমেদ, মোহাম্মদ আহমেদ।’ দ্য রিভিউ নামের হ্যামট্যার্ক শহরের স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রথম পাতায় এ বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। আদালতের নিদেের্শ আগামী তিন সপ্তাহ ধরে এটি প্রচার করা হবে। এর ব্যয়ভার বহন করবেন দÐপ্রাপ্ত চার ভাই। ডিভি লটারির মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছিলেন। দÐপ্রাপ্ত চার ভাই ডেট্রয়টের হ্যামট্যাের্ক ‘দেশি বাজার’ নামে একটি দোকান পরিচালনা করেন। অভিযোগ রয়েছে, তারা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরবরাহ করা খাদ্য সহায়তার স্ট্যাম্প কিনে নিতেন। এর বদলে তাদের নগদ অথর্, মোবাইল ফোন কাডর্ ইত্যাদি সরবরাহ করতেন। তবে মাকির্ন আইনে এটি অবৈধ।

মৃত্যুদÐ অনুমোদনের সাতশ মামলা ঝুলে আছে

আইন ও বিচার ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন কারাগারে চলতি বছরের ২২ অক্টোবর পযর্ন্ত মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত ১ হাজার ৬৬৬ আসামি ছিলেন। তাদের অনেকেই চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে অপেক্ষার পালা ১৫ বছর পযর্ন্তও গড়িয়েছে। কারা অধিদপ্তর সূত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে। বিচারিক আদালতে কোনো মামলায় আসামির মৃত্যুদÐ হলে তা কাযর্করে হাইকোটের্র অনুমোদন লাগে, যা ‘ডেথ রেফারেন্স মামলা’ হিসেবে পরিচিত। বিচারিক আদালত রায় ঘোষণার পর তা অনুমোদনের জন্য রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোটের্ পাঠানো হয়, যা একটি নম্বরের মাধ্যমে ‘ডেথ রেফারেন্স’ হিসেবে নথিভুক্ত হয়। কোনো মামলায় এক বা একাধিক জন দÐিত থাকলে সে ক্ষেত্রে তা একটি নম্বরে নথিভুক্ত হয়। তবে বিচারিক আদালতের মৃত্যুদÐের রায়ের পর আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল ও জেল আপিল করতে পারে। তা সাধারণত ডেথ রেফারেন্সের সঙ্গে শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। ডেথ রেফারেন্স শুনানির পূবর্প্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরি করতে হয়, যেখানে মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের বক্তব্য ও বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলার তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকে। হাইকোটের্র রায়ের পর সংক্ষুব্ধপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করতে পারে। আর আপিলে আসা সিদ্ধান্তের পর তা পুনবিের্বচনা (রিভিউ) চেয়ে সংক্ষুব্ধপক্ষের আবেদনও করার সুযোগ আছে। সুপ্রিম কোটর্ সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গেল ১৪ বছরে ডেথ রেফারেন্সের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

বয়স কমাতে আদালতে!

আইন ও বিচার ডেস্ক

আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনেকেই নাম পরিবতর্ন করেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিঙ্গও পরিবতর্ন করেছেন কেউ কেউ। নেদারল্যান্ডসের এক ব্যক্তি এসব নয়, আদালতে গেছেন বয়স কমাতে। ৬৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মনে করেন, এখন তার বয়স হওয়া উচিত ৪৯ বছর। নেদারল্যান্ডসের টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এমিল রাটেলব্যান্ডের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১১ মাচর্। তিনি আদালতে আবেদনে বলেছেন, তার জন্মতারিখ যেন ১৯৬৯ সালের ১১ মাচর্ নিধার্রণ করা হয়। নেদারল্যান্ডসের পূবার্ঞ্চলীয় একটি শহরের স্থানীয় আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি নিস্পত্তি করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। কমর্কতার্রা মনে করছেন, বয়স কমানোর আইনি লড়াইয়ে রাটেলব্যান্ডের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে রাটেলব্যান্ড বলেন, ‘বয়স যখন ৬৯, আমার অনেক সীমাবদ্ধতা থাকবে। কিন্তু আমার বয়স যদি ৪৯ বছর হয়, তাহলে আমি নতুন বাড়ি কিনতে পারি, ভিন্ন ধরনের গাড়ি চালাতে পারি, আরও বেশি কাজ করতে পারি।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<23218 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1