সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুন্ড
১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাক হানাদার ও তাদের দোসরদের তাড়িয়ে একটি মানচিত্র ও নতুন সূর্য ছিনিয়ে আনার দিন সোমবার (১৬ ডিসেম্বর)। বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশমাতৃকার তরে প্রাণ বিলিয়ে দেওয়া শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার আশায় বুক বেঁধে সোমবার সকালে শহিদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম সীতাকুন্ডের বন্ধুরা। এরপর উপস্থিত সব বন্ধুরা বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপস্থিত বন্ধুরা বিজয়ের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় মেতে উঠেন।
জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ মামুনের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন ফ্রেন্ডস ফোরাম বন্ধু মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন সামি, সোহেল আরমান জাহেদুল ইসলাম মোহাম্মদ এন ইসলাম নুরু, রাজ দ্বীপ, আক্তার হোসেন, মো. আবু নাছের সোহেল, মো. গিয়াস উদ্দিন, ইফতেখার আলম, শহিদুল ইসলাম, মো. হেলাল উদ্দিন, মো. মোরশেদ আলম প্রমুখ।
আলোচনায় ফ্রেন্ডস ফোরাম বন্ধু জাহেদুল ইসলাম বলেন, আজ ষোলই ডিসেম্বর। বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। এ স্বাধীনতার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। ৩০ লাখ বাঙালি প্রাণ দিয়েছেন। ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। আমরা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তাদের স্মরণ করি।
মিনহাজ উদ্দিন সামি বলেন, বছর ঘুরে আবার ফিরে এসেছে সেই গৌরবের দিন ১৬ ডিসেম্বর। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব প্রকাশের দিন আজ। ৪৮ বছর আগে এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিল বিজয়ী বাঙালির সামনে। সেদিন তারা স্বাক্ষর করেছিল পরাজয়ের সনদে। আর বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল বাঙালির।
অপর বন্ধু মোরশেদ আলম বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জনের পেছনে রয়েছে শোষণ-বঞ্চনা এবং রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস। লাখো শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
উপদেষ্টা
জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম
সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।