শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

নতুনধারা
  ০৪ মার্চ ২০২০, ০০:০০

মূত্রথলির ক্যানসার

ও উপসর্গ

মানব শরীরে অনেক রকমের ক্যানসার হয়ে থাকে। এ নিয়ে ক্যানসার গবেষক ও চিকিৎসকরা কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুরুষের মৃতু্য হয় মূত্রথলির ক্যানসারেই। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূত্রথলির ক্যানসারের কোনো লক্ষণ বোঝা সম্ভব হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ে এই রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা পড়লে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। তবে ধরা না পড়লেই বিপদ!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সোরোস রাইস বাহরামি জানান, সাধারণত পুরুষদের বয়স ৫০ পার হলে মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষ ধরনের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মূত্রথলির ক্যানসার নির্ধারণ করা হয়। অধ্যাপক বাহরামি জানান, রক্তে পিএসএ-র মাত্রা সাধারণত ১ থেকে ৪ এর মধ্যেই থাক। তবে এর বেশি হলেই মূত্রথলির ক্যানসার হয়েছে এটা ভাবা যাবে না। বরং এর সঙ্গে ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট করাতে হবে। এই টেস্টে মূত্রথলির কোনো রকম স্ফীতি বা ফোলা ভাব লক্ষ্য করলে বায়োপ্সি করানো জরুরি। তাহলে মূত্রথলির ক্যানসারের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মূত্রথলির ক্যানসারের কিছু উপসর্গ রয়েছে- যা আপনাকে আগাম সতর্ক হতে সহায়তা করবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই লক্ষণগুলো-

১. প্রস্রাবের সময় যদি সমস্যা হয় বা মূত্রত্যাগের গতি কমে যায়, সে ক্ষেত্রে দ্রম্নত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। এ ধরনের সমস্যা মূত্রনালির সংক্রমণের কারণেও হতে পারে।

২. প্রস্রাবের রং স্বাভাবিকের থেকে গাঢ় হলে, মূত্রত্যাগের সময় তলপেটে ব্যথা বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

৩. প্রস্রাবের সময় যদি রক্ত বের হয় বা কোনো রকম ব্যথা বা জ্বালা অনুভূত হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।

৪. হাড়ে ব্যথা বিশেষ করে মেরুদন্ডে বা কোমরে তীব্র ব্যথা হলে সেটাও মূত্রথলির ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

এ ছাড়াও তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি মূত্রথলির ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ। একটা কথা সব সময়ই বলে থাকি ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে নিজেই এর প্রতিরোধ সম্ভব। আপনি ক্যানসার সম্পর্কে সচেতন হন, নিজের ক্যানসার সূচনাতেই শনাক্ত করার চেষ্টা করুন এবং সঠিক জায়গায় চিকিৎসা নিন।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

কোল্ডড্রিঙ্ক বাড়িয়ে দেয় কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা

আপনি যদি অতিরিক্ত কোল্ডড্রিঙ্কপ্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে আজই সাবধান হোন। গরমের হাত থেকে বাঁচতে অথবা নেহাতই শখে কোল্ডড্রিঙ্ক আপনার রোজকার ডায়েটের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ কোল্ডড্রিঙ্ক? তাহলে এবার একটু সাবধান হন। সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশ্যে এসেছে কোল্ডড্রিঙ্ক (যে কোনো সফট ড্রিঙ্ক) আপনার কিডনির পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিনিও কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হ্রাস করে।

জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাদের সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন দিনে দুই বোতল কোল্ডড্রিঙ্ক প্রোটিনিউরিয়ার (মূত্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রোটিনের নির্গমন) কারণ হয়। প্রোটিনিউরিয়া কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়ার নির্দেশক। ওহেই ইয়ামোতোর নেতৃত্বাধীন একটি গবেষক দল তিন ধাপে স্বাভাবিক কিডনি ক্ষমতাযুক্ত ৩৫৭৯ জনকে, ৩০৫৫ জনকে ও ১৩৪২ জনকে পর্যায়ক্রমে দিনে শূন্য, এক, একাধিকবার কোল্ডড্রিঙ্ক খাইয়ে দেখেছেন প্রথম ক্ষেত্রে ৮.৪%, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ৮.৯% ও তৃতীয় ক্ষেত্রে ১০.৭% প্রোটিনিউরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রায় তিনবছরব্যাপী এই পরীক্ষাটি চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন কোল্ডড্রিঙ্কে মিষ্টিস্বাদ তৈরি করার জন্য যে পরিমাণ ফ্রুকটোস সিরাপ ব্যবহার করা হয় তা কিডনি বিকল করতে যথেষ্ট। কিডনির কোষগুলো অতিরিক্ত নুন পুনঃশোষণ করে। এ ছাড়া এর ফলে ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, হাইপার টেনশনও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<91013 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1