শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
  ২২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

কোমর ব্যথা

থেকে সাবধান

কোমর ব্যথাকে মেডিকেল পরিভাষায় বলা হয় লো-ব্যাক পেইন। পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশ মানুষ জীবনের কখনো না কখনো একবার বা একাধিকবার এ ধরনের ব্যথায় ভুগে থাকেন। আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা যায়, এ রোগের পেছনে বছরে খরচ হয় ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। তবে আশার কথা এই যে, ৯০ ভাগ ব্যথার কারণ যান্ত্রিক- যা সহজেই নিরাময়যোগ্য। অতএব, খুব বেশি ভয়ের কিছু নেই।

কোথায় হয়?

পিঠের মেরুদন্ডের একেবারে নিচে কোমরের কাছে সাধারণত এ ধরনের ব্যথা হয়। ব্যথাটা অনেক সময় মেরুদন্ডের মাঝখান থেকে কিছুটা ডানে বা বামে অনুভূত হয়। এ ছাড়াও ব্যথাটা কোমর থেকে ডান বা বাম পায়ের উরুর সামনে বা পেছনে এমনকি আরো নিচ পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে।

কেন হয়?

আমরা জানি, নিজের শরীরের ওজন থেকে শুরু করে আমরা যে কোনো কিছু হাতে, মাথায় বা কাঁধে বহন করি না কেন, তার ওজন মেরুদন্ডের মধ্য দিয়ে পা হয়ে মাটিতে চলে যায়। যার ফলে মেরুদন্ডের নিচের অংশে কোমরের কাছে চাপ বেশি পড়ে। মেরুদন্ড আবার ৩৩টি ছোট ছোট হাড় বা ভার্টিব্রা দিয়ে তৈরি। দুটি ভার্টিব্রার মধ্যে একটি করে গোল চাকতি বা ডিস্ক থাকে যা মেরুদন্ডের দু'পাশ দিয়ে অনেক স্নায়ু বা নার্ভে নেমে আসে। যদি কোনো কারণে ভার্টিব্রার ডিস্কের ওপর চাপ পড়ে ডিস্কটি সামনে-পেছনে সরে গিয়ে মেরুদন্ডের দুপাশ থেকে নেমে আসা স্নায়ুগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয় হয়ে যায় (সাধারণত বেশি বয়স হলে) অথবা হঠাৎ করে মেরুদন্ডের দু'পাশের মাংসপেশীর ওপর টান পড়ে (মাসকুলার স্প্যাজম) তবে সাধারণত এ ধরনের ব্যথা হয়। এ ছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন- মেরুদন্ডের হাড়ে ইনফেকশন, অস্টিওপোরোসিস (হাড়ে ক্যালসিয়াম কমে হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া), বোন বা হাড়ের টিবি, বোন বা হাড়ে টিউমার ইত্যাদি কারণে ব্যথা হয়।

রোগ নির্ণয়

বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সহজেই এ রোগ ধরা যায়। যেমন- রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, মাইলোগ্রাম ইত্যাদি। তবে সবসময় সব পরীক্ষার দরকার হয় না। বেশির ভাগ সময়ই দুটি মাত্র এক্স-রের সাহায্যে এ রোগ নির্ণয় করা যায়।

চিকিৎসা

হঠাৎ করে এ ধরনের ব্যথা হলে একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক। কেননা, দেখা যায় সঠিক রোগ নির্ণয় করতে না পারলে দীর্ঘস্থায়ী জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তবে আগেই বলেছি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো জটিলতার সৃষ্টি না হলে এ রোগের চিকিৎসা সহজ। সাধারণত শক্ত বিছানায় সম্পূর্ণ বিশ্রাম, রোগীকে রোগ সারার নিশ্চয়তা প্রদান, ব্যথানাশক ওষুধ বা মাসুল। রিল্যাক্সান্ট ওষুধ এবং সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত হওয়ার পর কিছু নির্দিষ্ট ব্যয়াম এ রোগ থেকে আপনাকে দিতে পারে ব্যথামুক্ত সচল জীবন।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

ফলেট

প্যাপিলাইটিস

মুখের ভেতরেসহ বিভিন্ন স্থানের আলসার বা ঘায়ের মতো জিহ্বায় আলসার বা ঘা দেখা যায়। মুখের ভেতরে সবচেয়ে বেশি যে আলসার দেখা যায় তার নাম অ্যাপথাস আলসার। অ্যাপথাস আলসার সাধারণত এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে সমস্যা বেশি হলে ভিটামিন বি-২ ট্যাবলেট একটি করে তিনবার ১৫ দিন খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে পোভিডন আয়োডিন ১% মাউথওয়াশও ব্যবহার করা ভালো। তবে কোনো রোগী বেশি দুশ্চিন্তা করলে বা কেউ যদি সারাক্ষণ মানসিক চাপে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে অ্যাপথাস আলসার বার বার হতে পারে। এ ছাড়া রোগীর যক্ষ্ণা হলেও মুখে ঘা দেখা যেতে পারে। এ ধরনের আলসারকে টিউবারকুলাস আলসার বলে। জিহ্বার পেছনের দিকে এক ধরনের ঘা দেখা যায়। অনেক সময় ফোলাভাব লক্ষ্য করা যায়। তবে এই ফোলাভাব জিহ্বার পেছনের এক পাশে অথবা উভয় পাশেও হতে পারে। সাধারণত যেসব রোগীর জিহ্বায় পেছনের দিকে এক পাশে ফোলাভাব আছে কিন্তু অন্যপাশ স্বাভাবিক, তাদের ক্ষেত্রে রোগীরা তো বটেই নবীন ডাক্তাররা পর্যন্ত মুখের ক্যান্সারের প্রাথমিক অবস্থা ভেবে ভুল করেন।

আসলে এ অবস্থাটির নাম ফলেট প্যাপিলাইটিস। জিহ্বার পেছনের অংশে ফলেট প্যাপিলা থাকে। ধূমপান, পান সেবন, অ্যালকোহল গ্রহণ অথবা নেশাজাতীয় যে কোনো দ্রব্য সেবনে ফলেট প্যাপিলার প্রদাহ হলে জিহ্বার পেছনে এই অংশে আলসারের মতো লালচেভাব দেখা যায় এবং সামান্য ফুলে যেতে পারে। ফলেট প্যাপিলাইটিসের ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে স্থানীয়ভাবে প্রয়োগকারী মলম ১৫ দিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

সঙ্গে সঙ্গে স্টেরয়েড ইনহেলার প্রতিদিন এক পাফ পরিমাণ সকালে এবং রাতে মুখে সীমাবদ্ধ রেখে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া সবধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য বর্জন করতে হবে। আশা করা যায় এভাবে চিকিৎসা নিলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে এর পরও সুস্থতা না এলে অবশ্যই বায়োপসি করা উচিত। সর্বোপরি, যে কোনো রোগীর উচিত নিজে ওষুধ না খেয়ে অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নেয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<85366 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1