খাবার বারবার গরম করা
বিষ খাচ্ছেন
না তো!
কাজের চাপ আর ব্যস্ততা এতটাই যে দম ফেলার সময় নেই। তাই রোজ দুবেলা রান্না করতে ইচ্ছে করে না। ফ্রিজেই রেখে দিলেন ভাত, তরকারি। এ বেলার অবশিষ্টটা অন্য বেলায় গরম করে খেয়ে নেবেন। এখানেই ভুল করছেন আপনি। ডেকে আনছেন বিপদ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বারবার খাবার গরম করে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তার মধ্যে ভাত কখনোই বারবার গরম করে খাওয়া উচিত নয়।
'ব্যাসিলাস সেরেয়াস' নামক ব্যাকটেরিয়ার বিষাক্ত 'টক্সিন' চাল সেদ্ধ করে ভাত রান্নার পরও বেঁচে থাকে। এই ভাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিলে ব্যাকটেরিয়া বংশ বিস্তার করে। ভাত যখন আবার গরম করা হয় তখন এ ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে।
শুধু সেদ্ধ করা ভাতই নয়, বাসি ফ্রায়েডরাইসেও এ ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হতে পারে। বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকে বাড়িতে কিনে আনা খাবার আবার গরম করে খেলে ব্যাকটেরিয়ার 'টক্সিন' সক্রিয় হয়। ফলে ডায়রিয়া, বমি, আমাশয়সহ নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই সবসময় টাটকা খাবার খাওয়াই আদর্শ।
পাশাপাশি রান্না করা যেকোনো খাবার নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। যেকোনো খাবার পুনরায় গরম করা হলে তা দ্রম্নত ঠান্ডা করতে হবে। এতে ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
বিকল হতে
পারে কিডনি
কামরাঙা খেলে বিকল হতে পারে কিডনি। এ ধরনের তথ্য দিয়েছেন কিডনি বিশেষজ্ঞরা। কিডনি বিশেষজ্ঞরা জানান, কামরাঙায় থাকা প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট ও নিউরো টক্সিন কিডনির জন্য ডেকে আনে বিপদ। এমনকি মৃতু্যও।
তারা বলেন, বিশেষ করে যাদের পরিবারে কিডনি রোগের ইতিহাস, তাদের জন্য এ ফল খেলে বিপদ হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপেও কামরাঙা বিপজ্জনক।
'কিডনি কেয়ার সোসাইটি'র প্রতিষ্ঠাতা ডা. প্রতিম সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, গ্রামবাংলায় এই ফলটির জনপ্রিয়তা বেশ তুঙ্গে। এ ফল হালকা লবণ দিয়ে মেখে খাওয়া হয়। কিডনির সমস্যা না থাকলে এক-আধটু খাওয়া যেতেই পারে এ ফল।
তিনি আরও বলেন, তবে যাদের সমস্যা আছে, তারা এ ফল না খেলেই ভালো। কাঁচা বা টক কামরাঙার রস বেশি ক্ষতিকর। মিষ্টি কামরাঙা তেমন ক্ষতিকর নয়। তবে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অতিরিক্ত স্থূলকায় ভুগছেন এবং কিডনির রোগের ঝুঁকিতে আছেন অথবা যাদের কিডনিজনিত রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, তাদের কামরাঙা না খাওয়াই ভালো।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১০০ মিলিলিটার কামরাঙার জুসে ০.৫০ গ্রাম অক্সিলিক এসিড রয়েছে। কামরাঙার মধ্যে নিউরো টক্সিনও রয়েছে। যাদের কিডনি দুর্বল বা অকার্যকর তাদের এই মারাত্মক নিউরো টক্সিনকে বের করে দিতে পারে না। তখন এটি ব্রেন ও নার্ভাস সিস্টেমের ওপর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ফলে মাথা ঘোরা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, খিচুনি হওয়া, অজ্ঞান হয়ে পড়া- এমনকি কোমায় চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
গবেষণা থেকে আরও জানা গেছে, যাদের ডায়ালাইসিস চলছে বা কিডনিতে পাথর রয়েছে, তারা কামরাঙা গ্রহণ করলে মৃতু্য পর্যন্ত হতে পারে। গর্ভবতী মায়েদেরও কামরাঙা এড়িয়ে চলা উচিত। খেলে গর্ভজাত শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
শক্তি বাড়িয়ে ওজন
কমাবে লাল আলু
প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আলু থাকবে। তরকারি রান্না থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাবার তৈরিতে আলু খাওয়া হয়ে থাকে। পুষ্টির দিক দিয়ে সাদা বা লাল আলুর খুব বেশি পার্থক্য নেই।
লাল আলুর খোসায় সাধারণত আলুর চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। লাল আলু খোসাসহ খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
১. লাল আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
২. লাল আলুতে থাকা ভিটামিন 'বি', যা যে কোনো ধরনের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩. লাল আলুতে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।
৪. লাল আলু ভিটামিন 'সি'-এর দারুণ উৎস, যা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে লাল আলু খেতে পারেন।
৫. ফাইবারে পূর্ণ লাল আলুতে ফ্যাট নেই বললেই চলে। এ কারণে এটি খেলে ওজন কমে।
৬. লাল আলুতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক