শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রূপ-লাবণ্য বৃদ্ধিতে তেলের নানাগুণ

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
  ১৯ জুন ২০১৯, ০০:০০

তেলে চুল তাজা অর্থাৎ চুলের যত্নে তেল বিশেষ উপকারী ভূমিকা পালন করে। অনেকেই মনে করেন চুলের খাদ্য হলো তেল। তা নয়, তেল আসলে চুলকে কোমল ও তেলতেলে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া তেল এক ধরনের পরিষ্কারক। চুল ও মাথার ত্বকে কিছু ময়লা থাকে সেগুলো পানিতে দ্রবীভূত হয় না কিন্তু তেলে হয়। তাই তেল মাখার পর চুলে শ্যাম্পু করলে সহজেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়।

তবে তেল যে শুধু চুলকে তাজা রাখতে ব্যবহৃত হয় তা নয়। বিভিন্ন রকম তেলের বিভিন্ন ব্যবহারও উপকারিতা রয়েছে। সুপ্রাচীনকাল থেকেই তেলের বহুল ব্যবহার চলছে। রূপচর্চার ক্ষেত্রে ত্বক ও চুল দুটোতেই সমান ফলপ্রসূ তেল। রূপচর্চার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন ফেসিয়াল, ম্যাসাজ, মেনিকিউর, পেডিকিউর, স্কাল্প থেরাপি ইত্যাদি সৌন্দর্যের সব ধাপেই তেল বিশেষত অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই প্রতিদিনের জীবনযাপনে বিভিন্ন ধরনের তেলের ব্যবহার বেড়েছে। প্রচলিত নারিকেল তেল, সয়াবিন তেল, সরিষার তেলের পাশাপাশি এখন যোগ হয়েছে সূর্যমুখী তেল, তিলের তেল, নিম তেল, তিসির তেল, ভুট্টার তেল ইত্যাদি। এসব তেলের সঙ্গে আবার ফুল, লতাপাতার মূলের নির্যাস যোগ করে সুগন্ধিযুক্ত উপকারী তেলও তৈরি করা হচ্ছে। তাই আজ নানা রকম তেলের ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।

নারিকেল তেল

সৌন্দর্য চর্চায় বিশেষ করে চুলের যত্নে যুগে যুগে সেরা হিসেবে খ্যাত নারিকেল তেল। চুলের গোড়া শক্ত করে এই তেল। এ ছাড়া ত্বকে মালিশ করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। ত্বকে বিস্নচ ও ক্লিনজারের কাজ করে নারিকেল তেল। নারিকেলের তেল দিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর হয়।

অলিভ অয়েল

শুষ্ক মাথার তালু প্রাণ ফিরে পায় অলিভ অয়েলের গুণে। তবে চুলে না লাগানই ভালো। অলিভ অয়েল অতিরিক্ত শুষ্ক ও ছোপ ছোপ ত্বক কোমল এবং মসৃণ করে তোলে।

ক্যাস্টর অয়েল

চোখ এবং ভ্রুপলস্নব ঘন করতে নিয়মিত দু-তিন ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল ধৈর্য ধরে তিন মাস লাগান। ফল পাবেন।

আমন্ড অয়েল

চোখের নিচের কালি, ব্যথা, ফোলা ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে এই তেল।

সরিষার তেল

গরম করে মাথার তালুতে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। দেখবেন খুশকি একেবারেই উধাও হবে। এই তেল ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়। তাই শীতে ফাটা ত্বকে এর মালিশ খুব উপকারী। শিশুর ত্বকেও খাঁটি সরিষার তেলের ম্যাসাজ অন্য রাসায়নিকযুক্ত তেলের তুলনায় নিরাপদ।

এপ্রিকট অয়েল

ময়েশ্চারাইজার ও ত্বকের পুষ্টির জন্য এই তেল খুবই উপকারী।

ইভনিং প্রিমরোজ

এই তেল অ্যাকনে, অ্যাকজিমা এবং খুশকির ক্ষেত্রে বেশ উপকারী।

ক্যারট অয়েল

বয়সের ছাপ কমানো ও পুড়ে যাওয়া রোধে ব্যবহৃত হয় এই তেল।

হ্যাজেলনাট অয়েল

ত্বকের শৈথিল্য দূর করে নতুন কোষ উৎপন্ন করে এই তেল।

তিলের তেল

তিলের তেলের ব্যবহারে ত্বক সজীব হয়। যাদের ত্বকে রোদে পোড়া ভাব রয়েছে তারা এই পোড়া দাগ দূর করতে পারেন এ তেল ম্যাসাজের মাধ্যমে। এই তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়। মাথা ঠান্ডা থাকে।

সূর্যমুখী তেল

এই তেলের সুবিধা হলো, ত্বকে ব্যবহার করলে কোনো অস্বস্তিকর তেলতেলে অনুভূতি হয় না। বরং বেশ ভালো বোধ হয়। ত্বক সজীব ও লাবণ্যময় করতে সূর্যমুখী তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।

নিম তেল

যাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা আছে, তারা নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে দুদিন।

এসেন্সিয়াল অয়েল

তেলের ব্যবহার এখন শুধু খাওয়া আর রূপচর্চায় সীমাবদ্ধ নেই। এখন মনকে প্রফুলস্ন করতেও তেলের ব্যবহার দেখা যায়। তেলের সঙ্গে বিভিন্ন গাছের ফুল, লতাপাতা, মূলের নির্যাস মিশিয়ে এখন তৈরি করা হচ্ছে এসেন্সিয়াল অয়েল। সুগন্ধির পাশাপাশি এই তেল ব্যবহৃত হয় অ্যারোমাথেরাপির জন্য। নানারকম এসেন্সিয়াল অয়েল পাওয়া যায় যে কোনো সুগন্ধির দোকানে। এ ছাড়া বিউটি পার্লারগুলোতেও এসব তেল কিনতে পাওয়া যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<54223 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1