বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নারীর মধ্য বয়সের সমস্যা মেনোপজ

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
  ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

মধ্য বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার সময় নারী দেহে কিছু কিছু পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে। মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি বা ঋতুস্রাব বন্ধের আগে এসব পরিবর্তন দেখা দিতে থাকে। এসব পরিবর্তন সাধারণভাবে ৪৫ এরপর নারীরা অনুভব করতে থাকেন। সাধারণত গড়ে ৫১ বছর বয়সে মেনোপজ হয়ে থাকে, তবে কোনো কোনো নারীর ক্ষেত্রে তা ৪০ বছরে আবার কারো ক্ষেত্রে ৫০ বছর বয়সে তা ঘটতে পারে। মেনোপজ কোনো অসুখ নয় বরং এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। শারীরিক অসুস্থতা না হলেও যদি এর উপসর্গগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই এর চিকিৎসা করাতে হবে।

মেনোপজ কী

সাধারণত শেষ মাসিক আবর্তনের ১২ মাস পরের সময়কেই মেনোপজ বলে। এর ফলে মাসিক স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং গর্ভবতীও হওয়া যায় না। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেনোপজের বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ দেখা যায়। এর ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, শক্তির ক্ষয় হয় এবং মানসিক অবসাদ দেখা দেয়।

মেনোপজের ধাপ

মেনোপজের দুইটি ধাপ আছে। যেমন :

পেরিমেনোপজ (চবৎরসবহড়ঢ়ধঁংব) : এ ক্ষেত্রে মাসিক চলতে থাকে তবে এর সঙ্গে মেনোপজের উপসর্গও দেখা দেয়। হরমোনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে ওঠা-নামা করে। এছাড়া অতিরিক্ত গরম লাগা (ঐড়ঃ ভষধংয) ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়। চবৎরসবহড়ঢ়ধঁংব ৪-৫ বছর বা এর বেশি সময় স্থায়ী হয়। এসময় গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা খুব বেশি দেখা যায় না।

পোস্টমেনোপজ (চড়ংঃসবহড়ঢ়ধঁংব)

শেষ মাসিক হওয়ার ১২ মাস পর পোস্টমেনোপজ হতে দেখা যায়। এসময় ডিম্বাশয় (ঙাধৎু) থেকে খুব কম ইস্ট্রোজেন (ঊংঃৎড়মবহ) এবং প্রোজেস্টেরন (চৎড়মবংঃধৎড়হব) উৎপাদিত হয়।

মেনোপজের লক্ষণ ও উপসর্গ

মাসিক শেষ হওয়ার এক বছর হওয়ার দীর্ঘ সময় পর সাধারণত মেনোপজের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন :

অনিয়মিত মাসিক, অনূর্বরতা (উবপৎবধংবফ ভবৎঃরষরঃু), যোনিপথ শুষ্ক থাকা, অতিরিক্ত গরম লাগা (ঐড়ঃ ভষধংয), অনিদ্রা বা ঘুমে ব্যাঘাত, মেজাজ ওঠা-নামা করা (গড়ড়ফ ংরিহমং), মেদ বৃদ্ধি পাওয়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, স্তন ছোট হয়ে যাওয়া।

কখন ডাক্তার দেখাবেন

মেনোপজ সংক্রান্ত বিষয়ে যখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে:

মেনোপজ হতে পারে এমন সময়ে (পেরিমেনোপজ) এবং মেনোপজের পরবর্তী সময়গুলোতে (পোস্টমেনোপজ) নিবৃত্তিমূলক শারীরিক যত্ন এবং বয়সজনিত স্বাস্থ্যের যত্নের জন্য মেনোপজ শুরু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত না হলে এবং তার আগের মাসে মাসিক বন্ধ থাকলে মেনোপজ চলা অবস্থায় যোনিপথে রক্ত গেলে কোথায় চিকিৎসা করাবেন-

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স, জেলা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বেসরকারি হাসপাতাল।

কি ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে

রক্তের পরীক্ষা। রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের হরমোনের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

কি ধরনের চিকিৎসা আছে

মেনোপজের জন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী নিচের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে :

হরমোন চিকিৎসা (ঐড়ৎসড়হব :যবৎধঢ়ু)

স্বল্পমাত্রার বিষাদ প্রতিরোধক (অহঃরফবঢ়ৎবংংধহঃং) ওষুধ সেবন।

জীবনযাপন পদ্ধতি

নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং অতিরিক্ত গরম যাতে না লাগে এমন কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকা

বিশ্রাম বা আরাম করা। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘশ্বাস নেয়া, মাংসপেশি শিথিল করা বেশ ফলদায়ক, তলপেটের মাংসপেশির ব্যায়াম করা, শাকসবজি, ফলমূলসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া

সচরাচর জিজ্ঞাসা

মেনোপজের ফলে কী ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে?

উত্তর . মেনোপজের ফলে নিচের জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে : হৃদযন্ত্র ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের রোগ (ঈধৎফরড়াধংপঁষধৎ উরংবধংব) হয়, শরীরের হাড় ভঙ্গুর ও দুর্বল হয়ে যায় (ঙংঃবড়ঢ়ড়ৎড়ংরং), মূত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসামর্থ্যতা (টৎরহধৎু রহপড়হঃরহবহপব) দেখা দেয়, ওজন বৃদ্ধি পায়।

মেনোপজ হওয়ার কারণগুলো কী কী?

উত্তর. মেনোপজ হওয়ার কারণগুলো হলো-

মাসিক প্রাকৃতিকভাবে যখন বন্ধ হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই ডিম্বাশয় (ঙাধৎরবং) কম হরমোন (ঊংঃৎড়মবহ এবং চৎড়মবংঃবৎড়হব) তৈরি করে। প্রাকৃতিকভাবে প্রজনন হরমোনগুলোর (ৎবঢ়ৎড়ফঁপঃরাব যড়ৎসড়হবং) হ্রাসের (ফবপষরহব) কারণে মেনোপজ হয়। অপারেশনের মাধ্যমে জরায়ু এবং ডিম্বাশয় অপসারণের ফলে মেনোপজ হয়ে থাকে। ক্যান্সারের চিকিৎসা যেমন- কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি করালে মেনোপজ হতে পারে। ৪০ বছর বয়সের আগে অনেক সময় ডিম্বাশয় (ওভারি) থেকে স্বাভাবিকমাত্রার জনন হরমোন (ৎবঢ়ৎড়ফঁপঃরাব যড়ৎসড়হবং) উৎপন্ন না হলে মেনোপজ হতে পারে।

রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে হরমোন সম্পর্কে কোন বিষয়গুলো জানা যায়?

উত্তর. রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে হরমোন সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানা যায় সেগুলো হলো-

ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোনের পরিমাণ (ঋড়ষষরপষব-ঝঃরসঁষধঃরহম ঐড়ৎসড়হব (ঋঝঐ), ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ (ঊংঃৎড়মবহ), থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোনের পরিমাণ (ঞযুৎড়রফ-ঝঃরসঁষধঃরহম ঐড়ৎসড়হব)।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<44140 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1