ক্যান্সার একটি মারাত্মক ব্যাধি। এই ব্যাধিটি শরীরে দানা বঁাধলে চিকিৎসাব্যবস্থার মাধ্যমে তা রোধ করা সম্ভব। কিন্তু এই ব্যাধিটি প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা আমাদের কতর্ব্য। অনেকেই ক্যান্সার শব্দটি শুনে অঁাতকে ওঠেন। তবে একটি কথা বলে রাখি শুরুতেই ক্যান্সার ধরা পড়লে এবং এর সুচিকিৎসা হলে অনেক ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা ভালো হয়ে ওঠেন। ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য ইচ্ছাশক্তি ও প্রতিরোধের উপায়গুলো সম্পকের্ ধারণা থাকা একান্ত প্রয়োজন।
* ফরমালিনবিহীন ফলমূল, টাটকা শাক-সবজি, প্রচুর ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
* ধূমপান, মদ্যপান, মাদকাসক্তি, জদার্, সাদাপাতা, গুল, কিমাম, দোক্তা ইত্যাদি বিজাতীয় খাবার ও পানীয় পরিত্যাগ করতে হবে।
* ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকতে হলে, ৩০ বছর বয়স থেকে নিয়মিত নিজের ব্রেস্ট পরীক্ষা করতে হবে।
* একাধারে দীঘির্দন জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি বা ইনজেকশন পরিহার করতে হবে।
* পুরুষ বা মহিলা উভয়েরই বহুগামিতা পরিহার করতে হবে।
* কৃত্রিম সারযুক্ত খাবার, দীঘির্দন পলিথিন মোড়ানো খাবার পরিত্যাগ করতে হবে।
* জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে ও জরায়ু পরীক্ষা করতে হবে।
* শরীরের ছোট-খাটো ক্ষত, ঘা, কঁাটা বিঁধলে বা কেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে এর সঠিক পরিচযার্ করুন।
* ঘরের ভেতর মশানাশক স্প্রে, অতিরিক্ত চুলে কলপ, মেকাপ, ক্ষতিকর পারফিউম ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক, শরীরের যতœ, রুটিন মাফিক ঘুম ও খাওয়ার অভ্যাস জরুরি। পরিমিত সুষম খাদ্য গ্রহণ, শরীরচচার্ ও ধমীর্য় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।