শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সোরিয়াসিস ত্বকের জটিল ব্যাধি

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
  ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সোরিয়াসিস ত্বকের এক ধরনের দীঘর্স্থায়ী প্রদাহজনিত অসংক্রামক রোগ। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় বিশেষত কপালে, মাথা, পিঠে, হাত- পায়ের তালু, নাক ও স্তনের নিচে লাল রংয়ের উঁচু প্লাকের মতো চুলকানি সৃষ্টি হয় এবং এটা রুপালি অঁাশ দিয়ে ঢাকা থাকে। এ রোগে আক্রান্ত বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা দুই ভাগ। বাংলাদেশের বিভিন্ন গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী এ রোগে প্রকোপের হার শতকরা ১.৮ থেকে দুই ভাগ। তিন ধরনের সোরিয়াসিস খুব বেশি দেখা যায়। প্লেক সোরিয়াসিস, গাটা সোরিয়াসিস, পাসচুলার সোরিয়াসিস। সোরিয়াসিসের প্রকৃত কারণ অজানাÑ তবে কিছু বিষয় এ রোগের প্রকাশ ও লক্ষণ ত্বরান্বিত করতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ জেনেটিক বা বংশগত

যদি বাবা-মার কোনো একজনের সোরিয়াসিস থাকে তাহলে বাচ্চাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৫০ ভাগ। যদি ইতোমধ্যে পরিবারের কোনো বাচ্চার এ রোগ হয়ে থাকে তাহলে এর হার আরো বেশি হবে। যদি মনোজাইগোটিক যমজ হয় তাহলে এ রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা শতকরা ৮০ ভাগ।

আঘাত প্রাপ্তি : যখন এ লাল রুপালি অঁাশযুক্ত লেসিওন বের হয় তখন ওই স্থানে কোনো আঘাত বা চুলকালে এ রোগের বিস্তৃতি ঘটে।

ইনফেকশন বা প্রদাহ : বিশেষত বিটা হেমোলাইটিকাস স্ট্রেপটোক্কাল প্রদাহের কারণে এর প্রকোপ বাড়তে পারে।

সূযর্রশ্মি : সূযর্রশ্মি বিশেষত আলট্রাভায়োলেট রশ্মি সোরিয়াসিসের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়।

মানসিক অস্থিরতা : বিশেষ দুশ্চিন্তা এর বিস্তৃতি ঘটায়।

ওষুধ : যেমন অ্যান্টিম্যালেরিয়াল, বিটা ব-কারস, লিথিয়াম এ রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়।

জননের কারণ : প্রধানত দুই কারণে এ রোগ হয়। একটি হলো চামড়ার কোষ বা কেরটিনোসাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি বা প্রলিফারেশন এবং এর সঙ্গে অস্বাভাবিক মাইটেসিস দ্বিতীয়টা হলো বেশি প্রদাহের কারণে ইনফ্লামেটরি সেল যেমন নিউট্রোফিল, টি-লিমফোসাইট এবং প্রদাহ সৃষ্টিকারী কোষের কারণে এটা তৈরি হয়।

লক্ষণসমূহ : ৬০ ভাগ রোগীর কপালে এ লালপ্লাক যা রুপালি অঁাশ দিয়ে ঢাকা থাকে প্রকাশ পায়। কী কারণে কপালে বেশি হয় এটা স্পষ্ট নয়।

নখ : নখ, নিচের নখের বিছানা থেকে আলাদা হওয়া এবং ছোট্ট ছোট্ট গতর্ বা লিটিং তৈরি হয়।

তালু : হাত ও পায়ের তালুতে শুধু লালচে প্লাফ কোনো কোনো সময় এটা দেখা যায় না।

ফ্লেক্সার সারফেস : যেমন স্তন ও বগলের নিচে লালচে প্লাক তৈরি হয় এটা রুপালি অঁাশ দিয়ে ঢাকা থাকতেও পারে, নাও পারে।

রোগ নিণর্য় : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ক্লিনিক্যাল ও ফিজিক্যাল পরীক্ষা করার পর নিদের্শমতো নিচের টেস্টগুলো করতে হবে।

থ্রোট সোয়ারব বিটা হেমোলইটিক্সস শনাক্তকরণের জন্য। বায়োপসিÑ চামড়ার বায়োপিস সবোর্ত্তম এবং রোগ নিণর্য় টেস্ট।

চিকিৎসা : রোগীকে আশ্বস্ত করা, সান্ত¡না দেয়া সঠিক ওষুধ সেবন এ রোগের জন্য খুবই জরুরি। মদ্যপান কমানো বা বাদ দেয়া। যেসব কারণে সোরিয়াসিসের প্রকোপ বাড়ে সেগুলো থেকে দূরে থাকা।

ওষুধ : স্থানীয়ভাবে লাগানোর জন্য ক্রিম যেমন অ্যামেলিয়েন্ট কটিকোস্টরয়েড, ভিটামিন ডি প্রতিরোধক, হাল্কাটার চিকিৎসকের পরামশর্মতো আল্টাডায়েনেট থেরাপি যেমন ইউপিএ পিইউডিএ সিস্টেমিক এজেন্ট যেমন সাইক্লোস্পেরিন মেথোট্রেকজেট, ওরাল রেটিনসেভস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<25939 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1