সমস্যা যখন
পেটের মেদ
না খেয়ে থাকলে মেদ কমেÑ এটা খুবই ভুল ধারণা। উল্টো না খেয়ে থাকার জন্য কিংবা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে পেটে মেদ জমে বেশি। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন আপনাকে সাহায্য করবে সুস্থ ও ফিট থাকতে। জেনে নিন কিছু টিপসÑ
খাবার খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করবেন না। ধীরে সুস্থে অনেকক্ষণ ধরে খাবার চিবিয়ে তারপর খাবেন।
কোনো কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় খাবেন না। এতে পরিমাণের বেশি খাওয়া হয়ে যায় অনেক সময়।
ফাস্টফুড ও কোল্ড ড্রিংক একদম না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস সঙ্গে রাখুন সবসময়। এতে হুট করে ক্ষুধা লাগলে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
বেশি পরিমাণ প্রোটিন খান। এতে ক্যালোরি ইনটেক কমবে।
ঠাÐা পানি পান করার অভ্যাস থাকলে সেটা বাদ দিন আজই। সময় মতো খাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতে ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খান।
ভেজিটেবল স্যুপ কিংবা তাজা ফল ও সবজির সালাদ খেতে পারেন প্রতিদিন।
ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন ডায়েট মেন্যুতে। পেট ভরবে, মেদও বাড়বে না। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়ম মেনে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমও জরুরি।
নিয়মিত শরীরচচার্র বিকল্প নেই। খুব বেশি ব্যায়াম করতে হবে এমন নয়। প্রতিদিন কিছু সময় হঁাটলেও থাকতে পারবেন ফিট।
য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
গায়ে নিয়মিত রোদ
লাগাচ্ছেন তো?
ভিটামিন ‘ডি’ এর চমৎকার প্রাকৃতিক উৎস রোদ। মাকির্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে, দিনে অন্তত কিছুক্ষণ গায়ে রোদ লাগালে তা শরীরের জন্য বয়ে আনে বেশ কিছু সুফল।
চিকিৎসকরা বলছেন, পুরুষের রক্তে যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরন ভিটামিন ডি’র মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়। আর ভিটামিন ডি’র প্রধান উৎস হলো সূযাের্লাক। গবেষকদের মতে, প্রতি মিলিলিটারে ভিটামিন ডি’র পরিমাণ যত বেশি হবে পুরুষের যৌন ক্ষমতা তত বাড়বে।
চার সপ্তাহ অল্পসময়ের জন্য সূযের্র আলো গায়ে লাগালে সোরিয়াসিসসহ একাধিক ত্বকের রোগ সেরে যায় বলে দাবি করছেন গবেষকরা। তবে বেলা ১২টার আগে রোদ লাগাবেন। এরপর উল্টো রোদের তাপে পুড়ে যেতে পারে ত্বক!
ব্রেস্ট, কোলোন এবং প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে সূযের্র আলোর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়ে ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করে ফেলে সূযের্র আলো। তবে বেলা বাড়ার পর বেশিক্ষণ সূযের্র নিচে থাকবেন না। সূযের্র আলো গায়ে লাগলে আমাদের মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় যা নিমেষে মনকে ভালো করে দেয়।
কিছু সময় রোদে কাটালে শরীরে এনাজির্র ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে দেহের কমর্ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
লোহিত রক্ত কণিকা বেশি বেশি করে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত শরীরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিয়ে শরীরকে যাতে চাঙ্গা রাখতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে সূযাের্লাক। যাদের পরিবারে ডিমেনশিয়া বা অ্যালজাইমারের মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের প্রতিদিন কিছুটা সময় সূযের্র সঙ্গে কাটান।
য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
রোজকার পাতে
ডাল থাকছে তো?
প্রোটিনের চমৎকার উৎস হচ্ছে নানা ধরনের ডাল। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কোনো না কোনো ডাল রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে। মোটর ডালে প্রচুর ফাইবার আর প্রোটিন আছে। ভিটামিন কে আর বি ওয়ানও পাওয়া যায় এই ডাল থেকে।
কাবুলি ছোলা দিয়ে স্যুপ, সালাদ যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি মুখরোচক চটপটিও বানিয়ে ফেলা যায়। ওজন কমানোর জন্য এই ডাল খুব সহায়ক। ঠেকায় কোষ্ঠকাঠিন্যও। রক্তে শকর্রার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও জুড়ি নেই এই ডালের।
মসুর ডাল পুষ্টিগুণের ক্ষেত্রে পাল্লা দিতে পারে মাছ-মাংসের সঙ্গে। মসুর ডাল হজম করা তুলনামূলকভাবে সহজ, রান্নাও হয় তাড়াতাড়ি।
অড়হর ডালে ডায়েটারি ফাইবার আর ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে এই ডাল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মুগ ডালও সহজে হজম হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও থাকে।
য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক